জেনে নিন আয়াতুল কুরসি ফজিলত
পবিত্র কোরআন শরীফের দ্বিতীয় সূরা বাকারা। এটি কোরআন শরীফের প্রসিদ্ধ আয়াত । আল্লাহর একত্ববাদ মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকার কারণে আল্লাহতালা এই আয়াতের মধ্যে অনেক ফজিলত রেখেছেন । এটি পাঠ করলে অসংখ্য পূর্ন লাভ হয় ।
পোস্ট সূচিপত্রঃআল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুন কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম | লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি মান জাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী ইয়া'লামু মা বাইনা আইদিহীম ওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইয়াহীতূনা বিশািইয়িম কি ফজিলতমিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ, ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আযীম*****অর্থাৎ,আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই,তিনি জীবিত, সবকিছু ধারক । তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারেনা এবং নিদ্রাও নয় । আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে,সবই তার । কে আছো এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন । তার জ্ঞান সীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারেনা, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন । কুৱসি সিংহাসন সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে । আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
আয়তুল কুরসি এর বিশেষ সব ১০টি ফযিলতঃ
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেশতা চারদিক থেকে রক্ষা তাকে করে |
- এটি পড়ে বাড়িতে প্রবেশ করলে বাড়িতে দরিদ্রতা প্রবেশ করতে পারে না ।
- এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেশতা তাকে পাহারা দেয় ।
- ফরজ নামাজেৱ পৱ পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে, তা হলো মৃত্যু | এবং মৃত্যুর আযাব এতই হালকা হয়, যেন একটি পিঁপড়ার কামড় ।
- অজুর পর পরলে আল্লাহর নিকট সত্তর গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে ।
- আবু উমামা (ৱা:) থেকে বর্ণিত | রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যাক্তি ফরজ নামাজ শেষে আয়তাল কুরসি পরে, তাৱ ন্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না ।
- হযরত আলী (ৱা:) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু (সা:) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দেখ ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে,তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যু অন্তরায় হয়ে আছে । যে ব্যক্তি এই আয়াতটি বিছানায় শয়তানের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে প্রতি প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবে ।
- মর্যাদা সম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব জানাদা ৱা: , রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহুর রাসূল (সা:) আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদা সম্পন্ন কোন আয়াতটি নাযিল হয়েছে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন আয়াতুল কুরসি।
- উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মাজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন,(আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাই রুম কাইয়ুম) তারপর রাসুলুল্লাহ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন আব্দুল মুনযিৱ এই ইসলামের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ।
- যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমান। সুবহানাল্লাহ
আরো পড়ুনঃ কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়
রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় দিয়েছেন, একটা মাত্র আয়াত এত সুন্দর চমৎকার করে রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয়টা একটা আয়াতে দিয়েছেন । গোটা কোরআন তন্ন তন্ন করে তালাশ কোরলে কোন জায়গায় আল্লাহর পরিচয় এত সুন্দর করে পাওয়া যায় না । আল্লাহ একত্ববাদ এর ঘোষণা দিলেন তিনি যে এক এবং একক এই ঘোষণাটি আয়াতের মধ্যে আছে, তাই এই আয়াতের মর্যাদা এত বাড়িয়ে দিয়েছেন আল্লাহ ।
এই একটা আয়াতের মধ্যে রাব্বুল আলামিন তিনি যে কত ক্ষমতাবান তার কুদরত যে কত বড়,তার জ্ঞানের সীমানা যে কত বড়,এগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন এই আয়াতের মধ্যে ।আবার এই আয়াতের মধ্যে কুরসির বর্ণনা দিয়েছেন।আল্লাহ যে চারটা জিনিস পৃথিবীতে সর্বপ্রথম তৈরি করেছেন আর্স,কুৱসি,লাউ,কালাম, এই চারটা জিনিসকে মহাবিশ্বে আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম তৈরি করেছেন । এ আয়াতের মধ্যে আল্লাহর চারটি সিফাতি নাম রয়েছে ১, আল হাইয়্যুম ২. আল কাইয়্যুম ৩. আল আলীহ ৪ .আল আযীম
তাই নামায শেষে ও ঘুমানোর আগে বেশি করে আয়তুল কুরসি পাঠ করুন ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url