ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার - চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার
আজকে আমরা জানাবো ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার। এর সাথে চুলে
ভিটামিন ই এর ব্যবহার।ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার জানা
প্রয়োজনীয়। চুলে পুরো স্কিনে ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার অত্যন্ত
জরুরি। ভিটামিন ই ক্যাপে সঠিক নিয়মে ব্যবহার জানা থাকে না। আবার
অনেকেই আছেন চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে পারেনা।
পোস্ট সূচিপত্রঃআজকের আলোচ্য বিষয় ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মের ব্যবহার এবং চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার। আবার অনেকেই জানতে চেয়েছেন বাজারে তো অনেক ভিটামিন ই ক্যাপ পাওয়া যায় কসমেটিকের দোকানে ফার্মেসির দোকানে আপনি কোনটা নিবেন। তাই আজকে জানাবো ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার।
ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার
আমরা অনেকেই আছি ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে জানিনা। অনেকেই জানতে চেয়েছে ভিটামিন ই কিভাবে ব্যবহার করব। কোন কোন পদ্ধতিতে ব্যবহার করব কখন ব্যবহার করব কোথায় ব্যবহার করব। ভিটামিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে ব্যবহার অবশ্যই জানতে হবে। ই ক্যাপসুল শুধু যে ত্বক বা চুলের জন্য সাহায্য করে তাই নয় এটা আমাদের শরীরকেও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তবে এটা বলে রাখি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিজে নিজে কখনোই খাবেন না,
কারন আপনি জানেন না যে আপনার শরীরে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের প্রয়োজন আছে
কিনা। সব সময় যেকোন ওষুধ খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ডাক্তার
যদি রেকমেন্ড করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার জন্য তবে আপনি খেতে পারেন। ভিটামিন ই
ক্যাপসুল দুই ধরনের পাওয়া যায় যেটা খাবার উপযুক্ত সেটা হলো ফার্মেসিতে পাওয়া
যায়। আর কসমেটিকের দোকানে যেটা পাওয়া যায় সেটা আপনি স্কিনের ব্যবহার করতে
পারবেন।
প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ই শরীরে গ্রহণ করুন
আজকে জানাবো প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ই শরীরে গ্রহণ করুন। শুধু ভিটামিন ই ক্যাপসুল
খেলে শরীরের ক্ষতিপূরণ হবে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় শরীরের ভেতরেও ভিটামিন
ই দরকার। অনেকেই জানতে চাই ভিটামিন ই কিভাবে পাব, আপনারা প্রাকৃতিকভাবে
ভিটামিন ই শরীরে গ্রহণ করুন। আজকে আমরা জানাবো কোন কোন খাবারে ভিটামিন
ই রয়েছে এবং কত গ্রাম ভিটামিন ই পাওয়া যাবে।
১। পাম তেল- ৩৩.১২ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২। কডলিভার তেল - ৩০ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৩। শুকনা মরিচ - ১৯.৭১ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৪। মেয়োনিজ নোনতা - ১৬.৮৭ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৫। সয়াবিন তেল - ১৬.০৬ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৬। চিনা বাদাম - ১০.০৯ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৭। সরিষা - ৫.০৭ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৮। দেশি মুরগির ডিমের কুসুম - ৪.১৬ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৯। কালো কচুর শাক - ৩.৩৬ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১০। ঘি - ৩.৩১ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১১। হলুদ - ৩.১ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১২। দারুচিনি গুড়া - ২.৩২ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১৩। ছোলার ডাল - ২.৮৮ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায় ।
১৪। কচুর মুখি - ২.৩৮ মিলি ভিটামিটি ই পাওয়া যায় ।
১৫। পালং শাক - ২.০৩ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১৬। সবুজ কচুর শাক - ২.০২ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১৭। পেস্তা বাদাম - ২.০৩ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১৮। মাসকালায় ডাল ও মুগ ডাল - ১.০৯ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
১৯। পাকা জলপাই - ১.৬৫ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২০। তিল - ২ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২১। গম - ২০ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২২। কাঠবাদাম - ২৬ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৩। সূর্যমুখীর বীজ এবং তেল - ৩৫ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৪। চিনা বাদাম - ৮.০৩ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৫। কাজুবাদাম - ১৪ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৬। আখরোট - ২৮ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৭। কুমড়োর বিচ - ৫ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৮। অলিভ অয়েল - ৩ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২৯। পাকা আম - ৩ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৩০। সামুদ্রিক মাছ - ৩.০৫ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৩১। অ্যাভোকাডো - ৩ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
৩২। কিভি ফল - ২.০৫ মিলি ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
তাই শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণের জন্য নিয়মিত প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ই শরীরে গ্রহণ করুন ও এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবেন।
চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার
চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার অপরিসীম। চুল লালচে হয়ে যাচ্ছে প্রাণ
হারিয়ে যাচ্ছে। চুলে কোন সিল্কি নাই চুল অনেক ড্রাই। চুলে কোন পুষ্টি
নেই। এরপরে দেখা যাচ্ছে মাথায় অনেক খুশকি দেখা
দিচ্ছে। বিভিন্ন রকম সমস্যা ভিটামিন ই এর কারণে হয়ে থাকে। সবকিছু
থেকে মুক্তি পেতে আজকের বিষয় চ্যাট এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত
জানুন। ভিটামিন ই ক্যাপ ব্যাপারে অবশ্যই বোতল চুল গজাবে।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
ফার্মেসিতে যে ভিটামিন ই ক্যাপ পাওয়া যায় সেটাই ব্যবহার করার চেষ্টা
করবেন। এই ভিটামিন ই ক্যাপে থাকে ন্যাচারাল এন্টিঅক্সিজেন যেটা চুল
পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আর চুলের গোড়া মজবুত রাখতে
ভীষণভাবে প্রয়োজনীয় উপকারী এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এটা তুলে
ব্যবহারের জন্য প্রথমে নারকেল তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে বা
কেটে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। চুলের ভলিউম অনুযায়ী ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হবে চারটা পাঁচটা এরকম ভাবে।
এরপর চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ২০ মিনিট ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। এরপর সারা
রাতের জন্য রেখে দিতে হবে পরের দিন ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার
করে দিতে হবে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট
পাবেন। চুল পড়ার সমস্যা খুব সহজেই দূর হয় এবং বস্তুর গজাতে দ্রুত কাজ
করে। আর যাদের মাথার সামনে চুল পড়ে যায় তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল
কেটে সরাসরি চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারবেন। চুলে ভিটামিন ই
ক্যাপ এর ব্যবহার করে দ্রুত চুলের গ্রোথ হবে।
স্কিনে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার
স্কিনে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার ফলে স্কিন হেলদি হয় চোখের নিচের কালো দাগ এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। সব রকম স্কিনে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায়। অনেক সমস্যা থাকে ব্রণ একমি স্কিন প্রচন্ড ড্যামেজ হয়ে যায় ডাল হয়ে যায় এবং বয়সের ছাপ বোঝা যায় এবং রোদে ট্যান পরে সেই উজ্জ্বলতা থাকে না। এসব কিছু দূর করতে পারে স্কিনে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার।
এইজন্য ৩টি স্টেপ ফলো করতে হবে। আর অবশ্যই রাতের বেলা ইউজ করতে হবে। কারণ রাতে স্কিনটা রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। আর রাতে শোবার আগে এই স্কিন কেয়ারটি করতে হবে। এই স্কিন কেয়ার টা ছোট কিন্তু এর কার্যকারিতা অনেক।
১। প্রথম স্টেপ মুখটাকে ক্লিনজিং করা খুবই দরকার। সেজন্য তিন চামচ কাঁচা দুধ এবং লেবুর রস ফোটা ভালোভাবে মিশিয়ে একটি তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে ক্লিনজিং করে নিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পরিমান মত এলোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে মিশে মুখে নাইট ক্রিম এর মত ব্যবহার করতে পারেন। যে ভালো কাজ করে ব্রণ খেয়ে বলিরেখা বয়সের ছাপ চোখের নিচে কালো অনেক কিছু কমাতে সাহায্য করে।
২। দ্বিতীয় স্টেপ মুখটাকে ভালোভাবে আসতে হবে । এরপর রোজ ওয়াটার ও তার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। মাসাজ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।এরপর রাতে ঘুমিয়ে যেতে হবে।
৩। তৃতীয় স্টেপ স্কিনে ভিটামিন ই ক্যাপ এর ব্যবহার। ভালো হবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাদের ড্রাই স্কিন এবং মুখে হালকা হালকা চামড়া উঠছে তারা ভিটামিন ই ক্যাপ কেটে হাতে তালুতে নিয়ে সরাসরি মাসাজ করতে হবে। আর যাদের ঠোঁট কাল যে ভাব আছে তারা সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপ ঠোঁটে লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে যেতে হবে। এভাবে স্কিন সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে হবে।
ভিটামিন ই এর অভাবে যেসব সমস্যা হয়
ভিটামিন ই এর অভাবে যেসব সমস্যা হয় সেগুলো আজকে বলবো। ভিটামিন ই এর অভাবে চুল পড়া ও চুল পাতলা হয়ে যায়। অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিটামিন ই এর অভাবে মায়োপ্যাথি হয়। মূলত শরীরে পেশির দুর্বলতা হলে এ সমস্যা হয়।ভিটামিন ই এর অভাবে যেসব সমস্যা হয়, শরীরের ভারসাম্যহীনতা বোধ হয়। মূলত ভিটামিন ই এর অভাবে স্নায়ু গুলোতে অক্সিডেটিভ ট্রেস বেড়ে যায়।এজন্য এ কারণে এই সমস্যাগুলো হয়। অনেক সময় চোখে ঝাপসা দেখা যায় ভিটামিন ই এর অভাবে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
বিশেষ করে রাতে এমনটা হতে পারে। ভিটামিন ই এর এন্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনা সুরক্ষা দেয়। এর অভাবে চোখ ঝাপসা দেখা যায় অনেক সময়। তাছাড়া ভিটামিন ই এর অভাবে সামান্য রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হল ভিটামিন ই। এর অভাবে চুল পড়ে যাওয়া, বেশি দুর্বল হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, ইত্যাদি নানান রকম সমস্যা হয়ে থাকে। ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। অনিয়মিত হৃদপিন্ডের সমস্যার সৃষ্টি দেয়। এবং অকালে চুল পেকে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়।
হাত পা হাত পা মাঝে মাঝে ঝিনঝিন করতে থাকে। ডায়রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। অন্যাশয় কার্যকারিতা নষ্ট হয় এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এসব সমস্যা থেকে পেত মুক্তি পেতে, খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ই রাখা প্রয়োজন। সেজন্য খাদ্যের তালিকায় ভিটামিন ই রাখা প্রয়োজনীয়।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url