ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে

আজকে আমরা জানব ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে। আমরা অনেক সময় অনেক রকম  খাবার খেয়ে থাকি তারপরও আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবটা থেকে যায়। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে অনেকেই সঠিকভাবে জানে না। আজকের আলোচনায় জানবো ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে  দূর হবে

পোস্ট সূচিপত্রঃবর্তমান সময়ে ছোট বড় সব ধরনের মানুষের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে  দূর হবে সে বুঝবে আজকে জানবো। অনেক সময় শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে  দূর হবে সঠিক নিয়মে জানবো আজকের আলোচনার বিষয়ে

পা হাঁটুর ব্যাথা প্রতিরোধ করণীয়

পা হাঁটুর ব্যাথা প্রতিরোধ করণীয় আজকের বিষয়ে জানব। পা হাঁটুর ব্যথা ভালো করতে সব সময় শরীরকে ফিট রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে  দূর হবে এ বিষয়ে আমরা অনেকে জানি না। বয়স হলে পা হাঁটুর কমজোরি দেখা দেয়। পা হাঁটুর হাড় ক্ষয় হয়ে যায় অনেক সময়। এটা চিকিৎসা করে ঠিক হয় আবার অনেক সময় ঠিক নাও হতে পারে। অনেক সময় ক্যালসিয়ামের অভাবে এটি হয়ে থাকে ছোটদের। কিন্তু সঠিক নিয়মে ক্যালসিয়ামের খাবারগুলো খেলে তা পূরণ করা সম্ভব।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে সেসব খাবারগুলি হল, বেদনা, অলিভ অয়েল, সবুজ সবুজ শাকসবজি এবং অবশ্যই ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো খেতে হবে যেমন পেয়ারা, কমলালেবু, স্ট্রবেরি খেতে ভুলবেন না। এরপর কোলাজেন যুক্ত খাবার যেগুলোতে রয়েছে বেরি রসুন লাউ এবং হলুদ শাকসবজি ও মাছ প্রচুর খেতে হবে। ইনশাআল্লাহ পা হাঁটুর ব্যথা অবশ্যই প্রতিরোধ করবে এবং বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।

হাড় জয়েন্ট ব্যাথা প্রতিরোধ করনীয়

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে, আপনার শরীরে স্বাভাবিকভাবে যদি ওজন বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে হার জয়েন্ট ব্যথার হতে পারে। তাই আজকে জানবো হার জয়েন্ট ব্যথা প্রতিরোধ করনীয়। আবার হরমন জনিত সমস্যা যদি থেকে থাকে তাহলে হাড় জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। আর একটা হল রক্তের ইউরিক এসিড এর মাত্রা যদি বেড়ে যায় তাহলে হারের জয়েন্টে ব্যথা হয়। আর জয়েন্টে ব্যথা যদি অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই ওজনটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আবার আপনার ক্যালসিয়াম টা পরীক্ষা করে দেখতে হবে ক্যালসিয়াম লেভেলটা কতদূর পর্যন্ত আছে।

আরো পড়ুনঃ পাতলা চুল ঘন করার উপায়

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে এবং হাড় জয়েন্ট ব্যথা প্রতিরোধ করনীয় এসব সম্পর্কে জানব। বণ মেট্রিকস ডেনসিটিটা কি অবস্থা তে আছে সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভালো ডাক্তারের কাছে যেয়ে ডাক্তার পরীক্ষা করতে দেবে  রিপোর্ট দেখে ওষুধ দেবে অবশ্যই সেভাবে জীবনযাত্রা শুরু করতে হবে ইনশাআল্লাহ হার্ট জয়েন্ট ব্যথা প্রতিরোধ হবে। এবং তার সাথে পা হাত ব্যায়াম করতে হবে। সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে শরীরে আরো অসুখ বাঁধবে। অবশ্যই আপনাকে সকালে শরীরকে একটা ব্যায়াম দিতে হবে।

কোমর ব্যাথা প্রতিরোধ করণীয়

কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করনীয় ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা করব।কোমরে ব্যথা খুব কমন একটি সমস্যা। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতী চারজনের মধ্যে তিনজন জীবনে কোন না কোন সময় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে জানুন।অনেক সময় দেখা যায় এটি মেকানিক্যাল ব্যাক পেইন। মেকানিক্যাল ব্যাক পেইন উপসর্গ; এটি পাঁচটি উপসর্গ আছে।

প্রথম উপসর্গ- এ ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং ঝুঁকি বা ভারি কিছু উঠালে এ ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয়। 

দ্বিতীয়- ব্যথাটা থাকে কোমরের নিচের অংশে অথবা পায়ের উপরের অংশে। এবং ব্যাথাটা কখনো পায়ের হাতে নিচ পর্যন্ত যায় না। 

তৃতীয়- ব্যাথাটা যখন হয় তখন দেখা যায় আপনি যখন কাজকর্ম করবেন তার সাথে সাথে ব্যথাটা বাড়ে, রেস্ট নিলে ব্যথাটা কমে যায়। 

চতুর্থ- ব্যথাটা মাঝে মাঝে হয় আমরা এটাকে বলি রেকুরেন্ট পেইন। গবেষণায় দেখা গেছে পেইন এপিসড হওয়ার পরে ছয় মাস পরে আবার পেইন দেখা দিতে পারে।

পঞ্চম- ব্যথায় প্রগ্নসিস খুবই ভালো। দেখা যায় মানুষের অনেক তাড়াতাড়ি রিকভার হয়ে যায়। আবার ১০% মানুষের ব্যথা অনেকদিন পর্যন্ত থাকে।

ঘরোয়া ভাবে ৫ টি ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করে আপনার কোমর ব্যাথা সারিয়ে তুলতে পারেন-

১। বেড রেস্ট করলে ব্যাক পেইন প্রতিকার হবে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে বেশি রেস্ট নেন উপকারের চাইতে অপকার বেশি হবে। ব্যাথা কিছুটা কন্ট্রোলে আসলে আগের নিয়মে কাজকর্ম শুরু করতে পারবেন। 

২। কোমরে মাসাজ অথবা গরম শেক দিলে ব্যথা নিরাময় হয়। সেজন্য আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। ব্যাথার ঔষুধ খাবে ব্যাথা না সারলে প্যারাসিটামল খাবে তাও যদি না সারে স্ট্রং ব্যথা সারার ওষুধ খাবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।

৪। ফিজিক্যাল থেরাপি এটি যখন আপনার ব্যথা হলো তখন করতে হবে। কোমরে বেশি চাপ দিয়ে কাজ করা যাবে না কিছুক্ষণ গ্যাপ দিয়ে আবার কাজ করতে হবে।  সামনে ঝুকে বেশি কাজ করা যাবে না কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে কাজ করতে।

মাসল ব্যাথা প্রতিরোধ করনীয়

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে  দূর হবে ও মাসল ব্যাথা প্রতিরোধ করনীয় জেনে নিন। মাসল ব্যথা এমন ব্যথা করে তখন মনে হয় যে রগ ছিড়ে যাবে রক্ত বের হয়ে যাবে এমন মনে হয়। মাসলের ভিতরে যখন পানি কমে যায় পানিশূন্যতা দেখা যায় তখন ব্যথা করে। যখন মাসল ব্যথা করে তখন মাসলের উপরে প্রেসার কম দিবেন নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মাসল ব্যাথা থেকে বাঁচার জন্য সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে বেশি করে। সুস্থ মানুষের জন্য যতটুকু পানি দরকার সারাদিনের শরীরের জন্য ততটুক পানি  খাবেন তাহলে আপনার শরীর হাইড্রেট থাকবে।

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

মাসল ব্যথার অনেক কারণ আছে যেমন- বডি যদি হাইড্রেট হয়ে যায় তখন মাসল ব্যথা করে। রাতে অথবা সারাদিনে ঘুম কাভার নাহলে মাসল ব্যাথা করবে। শরীরে যদি সোডিয়াম পটাশিয়াম এর ঘাটতি থাকে তাহলে মাসল ব্যথা করতে পারে। এমন আছে যে মাসল ব্যাথা অনেক দিন পর্যন্ত থাকে এটি সহজে ভালো হতে চাই না। এ ব্যাথার জন্য আপনি হাটা চলা করতে পারেন না কাজ করতে পারেন না শুধুমাত্র কিছু ভুলের জন্য। 

প্রতিদিন সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাবেন । পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাবেন যেমন কলা, ডালিম। আর বেশি করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। কারণ পানি কমে গেলে মাসল ব্যথা করবে সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। আর যাদের বয়স বেশি তাদের মাসল রিকভার করতে অনেক টাইম লেগে যাবে। তাই চেষ্টা করবেন মাসল ব্যাথা না করে সেজন্য আপনাকে বডিতে হাই্ড্রেট রাখতে হবে  ও সোডিয়াম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে।

শেষ কথার আলোচনা

আলোচনা বিষয়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে তা অবশ্যই জানতে পেরেছি, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে সে বিষয়ে জেনে কিছুটা আইডিয়া নিতে পেরেছে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন এবং ভাড়ি জিনিসপত্র উঠাবেন না। হালকা পাতলা কাজ করবেন দেখবেন দৈনন্দিন জীবনে অবশ্যই সুস্থ থাকবে। আর সারাদিন শুয়ে বসে থাকবেন তাহলে শরীররে রোগ বাসা বাঁধবে চেষ্টা করবেন কাজ কর্মের ভিতরে থাকার।

শুধু ওষুধ খেলে হবে না অবশ্যই ভালো মন্দ খাবার খেতে হবে যেমন- নানা রকম ফলমূল, দুধ, ডিম, বাদাম, মাছ, মাংশ, শাক-সবজি ইত্যাদি খাবার গুলো খেতে হবে। আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন বাইরের খাবার না খাওয়া। কারণ বাইরের খাবার খেলে শরীরে অনেক ধরনের রোগ আক্রান্ত হতে পারে এটা কিন্তু আমরা কেউ বুঝতে পারি না। তাই চেষ্টা করবেন সাধারণ ভাবে ছড়া বেশি জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবেনা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url