পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় - পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়

আজকে  আর্টিকেলে থাকছে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়। অনেক তরুণ তরুণীরা আছে এবং বাচ্চারা আছে পড়াশোনায় মন বসাতে পারেনা। কিছু বাজে অভ্যাস থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে তাহলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় কাজে লাগবে।

পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়

পোস্ট সূচিপত্রঃঅনেক স্টুডেন্টরা এই প্রশ্নটা বেশি করে থাকে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় অথবা পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়। পড়াশোনায় মনোযোগ হওয়ার জন্য নিরিবিলির জায়গাটা বেশ।নিরিবিলি জায়গায় আপনি ভালো করে পড়তে পারবেন এবং পড়া মুখস্ত রাখতে পারবেন।

পড়াশোনায় ভালো করার উপায়

আজকের আর্টকেলে থাকতে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়। প্রতিটি ভালো ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষেত্রে একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে খারাপ ছাত্রছাত্রী থেকে আলাদা সেটা হল নিয়মিত ও অনিয়মিত।পড়াশোনা কে তুমি যত ভালবাসবে তোমার মন ও পড়াশোনায় বসবে। প্রতিদিন পড়ার জন্য একটি রুটিন তৈরি কর তাহলে তুমি বুঝবে কোন দিনে কোন সাবজেক্টে পরলে তোমার ভালো হয়।

অযথা কারো পেছনে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনার পেছনে সময় নষ্ট করো এতে করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হবে। যেসব বিষয়ে তুমি পরবে তুমি আলাদা খাতায় একটি নোট তৈরি করে রাখ। প্রত্যেকটা বিষয়ে আলাদা নোট থাকবে। এতে করে তোমার সুবিধা হবে মুখস্থ করা এবং পরে রিভিশন করা। পরীক্ষার সময় সমস্ত নোট বের করে তুমি রিভিশন করতে পারবে।

হোম টিচার রাখলে আরো সুবিধা হয় সে বুঝবে তোমার কোন সাবজেক্ট গুলোতে তোমার দুর্বলতা। সে বুঝতে পারবে তোমার কোন সাবজেক্ট গুলোই দুর্বলতা রয়েছে তাহলে তোমাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে পারবে। স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে তাহলে পড়াশোনার জন্য স্যারদের সাথে কথা বলতে হবে তুমি কোন বিষয়টি বুঝতে পারছ না তারা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেবে।

তুমি স্যারদের কাছে ভালোভাবে পড়া দিলে তাহলে তুমি স্যারদের প্রিয় স্টুডেন্ট হতে পারবে। আর অবশ্যই নিরিবিলি জায়গাতে পড়তে হবে তাহলে পড়া মুখস্ত হবে। গ্যাঞ্জামে পড়া মুখস্ত হয় না। প্রতিটি অধ্যায় নোট করতে শিখো এতে করে তোমার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আনতে সাহায্য করবে। 

পড়ায় মন বসানোর দোয়া

প্রিয় পাঠক আমরা পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এখন জানবো কি দোয়া পড়লে পড়ায় মন বসবে তোমরা যা কিছুই পড়ো তা স্মরণ থাকবে অল্প তোমরা পরোটা মাথার মধ্যে ধরে রাখতে পারবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। বিশেষ করে যারা পরীক্ষা দেবে এবং পরীক্ষার সময় অনেক পড়া পড়েন কিন্তু মনে থাকে না পরীক্ষার হলে গিয়ে ভুলে যান।

আরো পড়ুনঃ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবে

পড়া যেন মনে থাকে অল্প পড়লেও সে পড়াটি যেন মনে থাকে। এমন একটি দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। এ দোয়াটি পরতে পারলে তোমাদের পড়াশোনা স্মরণ থাকবে বা মনে থাকবে। অবশ্যই দোয়া করে আল্লাহ পাকের কাছে চেয়ে নিতে হবে। যখন তোমরা করতে বসবে পড়ার আগ মুহূর্তে তিনবার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। যে কোন দুরুদ শরীফ পাঠ করতে পারো।

ছোট দরুদ শরীফটি পড়তে পারো- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটি তিন বার পড়তে হবে তারপর দোয়া পড়তে হবে। নিচে দোয়াটি দেওয়া হল কোরআনে এই দোয়াটি উল্লেখ করা রয়েছে।

দোয়া- রব্বি যিদনি ইলমা। এই দোয়াটি তিনবার পড়তে হবে। এরপরে আবার তিনবার দুরুদ শরীফ পড়তে হবে। এরপরে বুকের মধ্যে ফু দিয়ে দিতে হবে। এরপরে প্রতিদিন পড়ার টেবিল চেয়ার এই দোয়াটি পাঠ করলে ইনশাল্লাহ পড়াই মন বসবে এবং পড়া মনে থাকবে।

শিশুদের পড়াশোনায় মন বসানোর উপায়

শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানব।অনেক অভিভাবক আছেন শিশুদের পড়াশোনার ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করেন ভালো রেজাল্টের জন্য। কিন্তু এটা করা একদমই ঠিক নয় এটা ব্রেনে আঘাত লাগে। মানসিক চাপ দেওয়া কোন শিশুর জন্যই ভালো নয়। আজকে আমরা শিশুদের কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানাবো।

  1. অনেক শিশুই নাচ গান অভিনয় এবং বিভিন্ন তালে তালে আনন্দের উৎসাহে খুব ভালো শিখতে পারবে। আপনার শিশু কোনটি পছন্দ করে সেটা জেনে কাজে লাগান।
  2. আপনার শিশু কোন কোন বিষয়ে পড়তে পছন্দ করে সেটি তার কাছ থেকে জানুন। সে বিষয়ে যদি আপনার নিজের ধারণা থাকে তাহলে তাকে গল্পের মাধ্যমে বলুন। এভাবে পারস্পারিক তথ্য বিনিময়ে আপনার সন্তান সহজেই শিক্ষা লাভ করতে পারবে
  3. সন্তানের সাথে নিজেও পড়াশোনা করুন এতে করে সন্তান উৎসাহিত হবে।
  4. আপনার শিশুর জন্য সব রকমের বই রাখবেন যেমন ফুল ফলের ও পশু পাখি মাছ, মাছ স্বরবর্ণ অলফাবেট এসব ধরনের বই রাখুন এতে করে সে তার ইচ্ছেমতো বই পড়তে পারবে। একই বই পড়লে শিশু একঘেয়ে হয়ে যাবে। তখন আর করতে চাইবে না।
  5. শিশুর পড়াশোনার টেবিল এমন স্থানে রাখুন যাতে করে সে কোন ধরনের টিভির সাউন্ড ও মানুষের গ্যাঞ্জাম থেকে দূরে রাখুন। তাহলে শিশুর মনোযোগ নষ্ট হবে না। 
  6. উৎসাহ ও প্রশংসা পেলে শিশুর পড়াশোনায় মনোযোগ আরো বেড়ে যায়। তাই শিশুকে অল্পতেই প্রশংসা করুন এতে করে তার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
  7. বাসার দেয়ালে পড়ার বিষয় টাঙ্গানো ভালো এতে করে শিশু চিনতে পারবে এবং সহজে বলতেও শিখবে।
  8. শিশুর অগ্রগতি খেয়াল করুন। কোন কারনে অমনোযোগিতায় বা পিছিয়ে গেলে পরবর্তীতে তা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। সেজন্য শিশুর সবকিছু খেয়াল করুন।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়

আজকের আলোচ্য বিষয়ে থাকছে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় ও পড়াশোনা মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়। ইসলামিক উপায়ে মেনে চললে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার তোমাদের মেধা শক্তি, স্মৃতিশক্তি, ব্রেইন শক্তি বাড়িয়ে দেবে। নবীজি বলেছেন মেসওয়াক সম্পর্কে। গাছের ডালের মেসওয়াক ব্যবহার করতে হবে। গাছের ডালের মেসওয়াক ব্যবহার করবে স্মৃতিশক্তি মেধাসক্তি বাড়িয়ে দেবে আল্লাহ।
দাঁতের সাথে সম্পর্ক ব্রেইনের। ব্রেনকে সাফ করে দেবে ক্লিয়ার করে দেবে আল্লাহ। এরপরে আসি খাঁটি গরুর দুধ খাবে। এর ফাঁকে ফাঁকে খাঁটি মধু খাওয়া লাগবে। আর নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে। একটানা বেশিক্ষণ পরলেও পড়াশোনা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। এর ফলে শেষের দিকে পড়া মনে থাকে না। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই বিচিত্র এবং বিচিত্র তাদের মস্তিষ্ক। তুমি ঠিক করবে যে তোমার কোন সময় পড়লে পড়াশোনা বেশি মনে থাকে। সে সময়টি ঠিক করে তুমি অল্প সময়ে পড়া মনে রাখতে পারবে।
অনেকক্ষণ একবারে না পড়ে তুমি এর ফাঁকে ফাঁকে নামাজ আদায় করতে পারো। কোরআন তেলয়াত করতে পারো এবং হাদিসি বার্তা শুনে কিছু সময় কাটিয়ে এরপরে তুমি পড়তে বসতে পারো। এতে করে মাইন্ড ফ্রেশ হয় এবং পড়াতে মন বসে। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে পড়াশোনা বিষয়ে আলাপ আলোচনা করলে পড়া মনে থাকে। ব্রেনের বিশ্রাম অনেক প্রয়োজন আজকাল মোবাইল ব্যবহার করাতে ব্রেনের বিশ্রাম হয় না।
মোবাইলের আলোতে ঘুম কম হয় এবং ব্রেইনের ক্ষতি করে। সেজন্য সময়মতো ঘুমাতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে নির্দিষ্ট একটা রুটিন তৈরি করে নাও এতে করে তোমার সুবিধা হবে। এরপরে তুমি খেলাধুলার জন্য কিছুক্ষণ সময় বের করবে। খেলাধুলা অথবা ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ মুক্তি দিতে অনেকটা সাহায্য করে।

পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়। এখন আমরা জানবো পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল। অনেক স্টুডেন্টরা আছে অনেকক্ষণ ধরে পড়লে পড়া মনে রাখতে পারে না পরীক্ষার হলে যে ভুলে যায়। আবার অনেক স্টুডেন্ট আছে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে সবসময় ভালো রেজাল্ট করে। একেক জনার একেক রকম প্রতিটি মানুষই বিচিত্র।
যে অধ্যায়টি তুমি পড়বে সেটি ভালো করে দুইবার রিডিং পড়ো। এতে করে তুমি সহজেই রিয়েলাইজ করতে পারবে চ্যাপ্টারের কোন কোন টপিক গুলো বেশি কোনগুলো ইম্পোর্টেন্ট আর কোনগুলো ইম্পোর্টেন্ট নয়। তাছাড়া তুমি যখন অধ্যায়ের শেষের দিকের প্রশ্নগুলো দেখলে বুঝতে পারবে সেখান থেকে ম্যাক্সিমাম কোশ্চেন অধ্যায়ের মধ্য থেকে ইম্পরট্যান্ট টপিক থেকে এসেছে। এর ফলে তুমি খুব সহজে আয়ত্তে আনতে পারবে। এছাড়া পরীক্ষার আগে রিভাইস করতে পারবে।

পরীক্ষার সময় সে অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসলে সেগুলো খুব ভালো করে উত্তর লিখতে পারবে। স্টুডেন্ট লাইফে ভালো রেজাল্ট অ্যাচিভ করাটা প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত নিজের বায়োলজিক্যাল প্রাইম-টাইম সম্পর্কে ধারণা রাখা। তোমরা যে সময় এনার্জিট ক অনুভব করো সেই সময়টাকে পড়াশোনার কাজে লাগিয়ে তুমি পড়তে পারো। করে তোমার ভালো করে পড়া মনে থাকবে। শরীরে আলসে ভাব আসলে কোন কিছুই করতে মন চায় না। সেজন্য উত্তম সময় হলো যখন তোমার মন ফ্রেশ থাকবে শরীরে এনার্জি ভালো থাকবে ঠিক সে সময়টা তুমি পড়াশোনা করে মনে রাখতে পারবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url