কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো

আজকের আলোচনায় কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো সে সম্পর্কে জেনে নিন। সেজন্য আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়তে হবে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো।

কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো

পোস্ট সূচিপত্রঃঅবশ্যই যুগের সাথে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের মধ্যে এখন অনেকটাই পরিবর্তন। তাই এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানাবো কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো এই বিষয়ে জেনে নেন।

ভূমিকা

কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো আজকের আলোচনা। বিবাহ একটি ফরজ কাজ। বিবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ মানুষের জীবনে। বিবাহ হলো সারা জীবনের একটি বন্ধন। তাই ভেবেচিন্তে দেখেশুনে বুঝে বিয়ের সম্বন্ধে এগোতে হয়। আমরা অনেকেই আছি মা-বাবার পছন্দের মধ্যে বিয়ে করে এবং দেখে শুনে এগোই।

আবার আমরা অনেকেই আছি পছন্দ করে ভালোবেসে প্রিয় মানুষটির হাত ধরে সারা জীবন কাটাতে চাই। যারা ভালোবেসে প্রিয় মানুষটিকে বিয়ে করেন তাদের মেয়ে খোঁজার ঝামেলা থাকলো না। যারা মেয়ে খুঁজছেন তারা এ বিষয়ে জেনে নেন যে কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো হবে।

কোন মেয়েকে বিয়ে করা ভালো

কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো ও কোন মেয়েকে বিয়ে করা ভালো হবে? অবশ্যই ভালো একটি মেয়েকে বিয়ে করতে হবে যার ব্যবহার ভালো শিক্ষিত দ্বীনদার ও পাত্রীর বংশ কেমন এসব বিষয় দেখতে হবে। এখানে কিছু হাদিসের কথা তুলে ধরা হলো-

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন নারীদেরকে চারটি জিনিসের জন্য বিয়ে করা হয় ১. সম্পদের জন্য ২. সৌন্দর্যের জন্য ৩. বংশ বুনিয়াদের জন্য ৪. দ্বীনদারের জন্য। অর্থাৎ বিয়ে করার সময় কন্যার সম্পদ দেখে, কন্যার সৌন্দর্য ও বংশ দেখে ও কন্যা দ্বীনদার কিনা সব বিষয়ে দেখে খোঁজখবর নিয়ে বিয়ে করতে হবে। হাদিসে বলেছে তোমরা দ্বীনদারকে প্রাধান্য দাও। অর্থাৎ কোন মেয়ে যদি দ্বীনদার হয় শুধুমাত্র তার ধার্মিকতা দেখে তাকে বিয়ে করো।

আরো পড়ুনঃ গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী

অর্থাৎ মেয়ের যদি সম্পদ না থাকে, মেয়ের যদি বংশ ভালো না হয়, মেয়ে যদি সুন্দর না হয় এরপরেও তোমরা ঐ মেয়েকে বিয়ে করো যদি সে মেয়ে দ্বীনদার হয়ে থাকে। অবশ্য মেয়েকে শুধু দ্বীনদার হলে হবে না ছেলেকেও দ্বীনদার হতে হবে তাহলে সংসার সুন্দর হবে।

কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো

বিয়ের আলোচনায় কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো হবে। অবশ্যই বয়সের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। বিবাহ নির্ভর করে সম্পূর্ণ মনের ওপর। বয়স কোন ম্যাটার করে না। আবার এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে খুব কম বয়সী মেয়েকে ও প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না দুই ধরনের শ্রেণীকে নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

মাঝামাঝি বয়সের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে মুরুব্বীরা পরামর্শ দেয় যে সংসারী মেয়েকে বিয়ে করা। সংসারী মেয়েদের সংসারের প্রতি টান থাকে। আপনি যদি সংসারী মেয়েকে বিয়ে করেন তাহলে বিবাহিত জীবনে ভালো থাকবেন। মনের মিল থাকাটাই আসল।

কোন ধরনের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো

আজকের আলোচ্য বিষয় কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো ও কোন ধরনের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো। আপনার বয়স যদি ৩০ হয় তাহলে মেয়ের বয়স হবে ২৫। আপনার বয়স থেকে মেয়ের বয়স চার থেকে পাঁচ বছরের ছোট হতে হবে। তখন যেটা হবে আপনার বয়স যখন ৫০ হবে তখন মেয়ের বয়স ৪৫ বছর হবে। এতে করে দুজনাই বুড়াবুড়ি হবেন। তখন দুজনার বয়স বেড়ে গেলে শারীরিক চাহিদা কমে যাবে। 

আরো পড়ুনঃ মে মাসের গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহ

আবার আপনার থেকে যদি ১০, ১৫, ২০ বছরের ছোট হয় এতে করে সংসার জীবনে সমস্যা হতে পারে।প্রত্যেকটা মেয়ে চায় তার স্বামী তার প্রতি অনেক যত্নশীল ও দায়িত্ববান ও সবকিছুতে তাকে সাপোর্ট করে এবং তাকে খুব ভলোবাসে। আসল কথা প্রত্যেকটা মেয়ে চায় তার স্বামী অনেক ভালো হবে, ভালো ব্যবহার,ভালো চরিত্রের নামাজী হবে ও তার প্রতি অনেক কেয়ারিং দায়িত্ব, তকে নিয়ে ঘুরবে বেড়াবে। প্রত্যেকটা মেয়ে এটাই চায় তার স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা।

শেষ কথার আলোচনা

আজকের আলোচনা কোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা ভালো এই সম্পর্কে আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। কিন্তু  শেষ কথার একটাই কথা হল ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাওয়া যায়। আপনি যদি তাকে টাইম না দেন সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। তাহলে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা ও মায়া টান কোনোটাই জন্মাবে না। অবশ্যই চেষ্টা করবেন কাজের ফাকে সঙ্গীকে সময় দেয়ার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url