লিচুর উপকারিত ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
রেদওয়ান আইটি
আজকের এই পোস্টে থাকছে লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লিচুর পুষ্টিকরণ সম্পর্কে জানুন। লিচুতে ভিটামিন ও এবং নানা ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।আরো বিস্তারিত জানতে লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লিচু পুষ্টিগুর সম্পর্কে জানুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃলিচু হল মৌসুমী ফল। লিচুতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো নিচু উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন।
লিচুর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
লিচু একটি রসালো ফল ও লিচুর উপকারিতা অনেক। ত্বকের ক্ষেত্রেও লিচুর উপকারিতা অনেক। লিচু বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে। ত্বকের ক্ষত বা দাগ দূর করে এতে রয়েছে ভিটামিন সি। লিচু শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে ভিটামিন সি থাকায় যা ত্বক কান ও হাড়ের জন্য উপকারী। ফ্লাবোনয়েটস নামের একটি উপাদান রয়েছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।পাকা লিচু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
লিচুটা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লিচুতে থাকা পটাশিয়াম যা আমাদের রক্তের নালীর চাপ কমিয়ে স্বাভাবিক গতি বাড়ায় ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। লিচু আমাদের শরীরে হাজারো উপকার করে তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া ঠিক নয়। শিশুরা যদি লিচু খায় তাহলে ভরা পেটে পাঁচ ছয়টি খেতে পারে এতে কোন সমস্যা হবে না। খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন লিচুর খোসা না চাটে কারণ এতে কীটনাশক ও বাঁদরের লালা লেগে থাকতে পারে। খোসা ছাড়িয়ে বাটিতে পরিবেশন করুন শিশুর কাছে।
লিচুর বিচি খেলে কি হয়
লিচুর বিচি গিলে ফেললে কিছু হবে না। আপনি অন্য যে কোন ফলের বিচি খেলে কোন সমস্যা হবে না।হজম হবে অথবা মলের সাথে বের হয়ে যাবে। হতে পারে হজম হতে অনেক সময় লাগতে পারে। এটা নির্ভর করছে আপনার হজম শক্তি কেমন। তবে ফলের বিচি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অনেক ফলের বিচি বড় হয়ে থাকে ফলে গিলে ফেললে গলায় সমস্যা হতে পারে অথবা গলায় আটকে যেতে পারে।
ফলের ছোট বিচি হলে সমস্যা নেই যেমন আপেলের বিচির ছোট সেটা খেতে পারেন। কিন্তু যেগুলো বড় বিচি আছে যেমন জলপাই বিচি লিচুর বিচি এ ধরনের আকারে যেসব বিচি রয়েছে সেগুলো গিলে ফেললে অনেকের আছে গলায় আটকে যাবে আবার বুকে আটকে যেতে পারে। বিচি জিনিসটা কাঁচা এবং শক্ত হয়ে থাকে। আমরা জানি কাঁচা এবং শক্ত জিনিস খেলে তা হজম হতে দেরি হয়। অনেক সময় পেটের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাদের এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
লিচু কোন মাসে পাকে
আজকের আর্টিকেলে লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লিচু কোন মাসে পাকে সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। রসালো ফল লিচু এটি সব ধরনের খেতে পছন্দ করে। এপ্রিল মাসের লিচু গাছের পরিচর্যা না করলে এর ফলোড কমে যায়। মার্চ মাসে লিচু ফলন আশা শুরু করে এটি হয় অনেক ছোট দানার মত। মধ্য মে ও মধ্য জুন মাসের সময়ে বাহারি লিচুতে ভরে যায় বাজারগুলোতে। দেশী লিচু মে মাসের দিকে বাজারে দেখা যায়। সাধারণত বিদেশি লিচুগুলো তার এক মাস পরে দেখা যায়।
লিচুর অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
লিচুর উপকারিতা আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা জানবো লিচুর অপকারিতা সম্পর্কে। জানব লিচুর যেমন উপকারিতা রয়েছে এমন এর অপকারিতা হয়েছে। লিচুতে হাইপোব্লাসিং নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা শরীরে শর্করা তৈরি হতে বাধা দেয়। যে কারণে শিশুরা খালি পেটে অনেকগুলো লিচু খেয়ে ফেললে শরীরের শর্করা কমে শিশুর বমি ও খিচুনি হয়।
অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তাই তারা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় লিচু খেয়ে ফেলেন তাহলে তাদের শরীরে শর্করা কমে গিয়ে হাইপোগ্ল্যাসিনিয়া আশঙ্কা থাকে। লিচু একটি গরম ফল হওয়াতে অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নষ্ট হয়। এর ফলে গলা ব্যথা হয় অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
লিচুর চারা লাগানোর নিয়ম
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো লিচুর চারা লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা ছাদে অথবা খালি জাইগাই লিচুর চারা রোপন করতে পারবেন বর্ষার সময়। ভালোভাবে মাটিকে ভেঙে ঝুরঝুরা করে নিতে হবে। ঝুরঝুরা হয়ে গেলে মাটিতে ষাঁড় ও পানি মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর লিচুর চারাটির কি করে যে পলিব্যাগ লাগানো থাকে সেটা খুলে ফেলতে হবে।
এরপর মাটি কিছুটা হত দিয়ে গর্ত করে নিতে হবে। তারপর লিচুর চারাটি যেখানে শিকড় আছে সেটি গর্তের মধ্যে বসিয়ে মাটি চাপা দিতে হবে। ঝুরঝুরা মাটিগুলো সুন্দরভাবে চাপা দিতে হবে। মাটি বেশি পরিমাণে দিতে হবে উঁচু করে। এরপর শুকনো মাটির গুরু মাটির উপরে সিটিংয়ে হাত দিয়ে চাপা দিয়ে দিতে হবে। এরপর লিচুর চারার পাশে ছোট একটি বাঁশ পুতে দিতে হবে লিচুর গাছটি বাঁশের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। যাতে করে লিচু গাছটি হেলে না যায়।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url