প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণগুলো কি কি

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। প্রস্রাবে ইনফেকশন ছেলে মেয়ে ছোট বড় উভয়ের হয়ে থাকে। আজকের আলোচনায় থাকছে প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি।

প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণগুলো কি কি

পোস্ট সূচিপত্রঃকোন অংশে মূত্রতন্ত্রের জীবাণুর সংক্রমণ হলে ইউরিন ইনফেকশন অথবা প্রস্রাবের সংক্রমণ বলে।নিচে উল্লেখ করা হলো কি বিষয়ে প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি এই সম্পর্কে। উক্ত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে নিবেন এতে করে সকলেই  উপকৃত হবেন।

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়

প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি ও ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় এ বিষয়ে আলোচনা করা হল। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই ইউরিন এ ইনফেকশন হলে এর বেশি প্রভাবিত করে মেয়েদের ইনফেকশন বেশি হয়। ইউরিন এর ইনফেকশন হওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে। প্রস্রাব গারো হলুদ ও লালচে হওয়া ওপারে এবং প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বের হওয়া, একটু পরপর প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা এবং ঠিকমতো প্রস্রাব হয় না।
প্রস্রাব করার সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা। তলপেট ও পিঠের দিকে তীব্র ব্যথা করা। সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব এর সাথে বমি ভাবও থাকতে পারে। এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের সাজেশন নিতে হবে নইলে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য কিডনির উপরে প্রভাব পড়ে। কি সমস্যার লক্ষণগুলি দেখতে পান তাহলে বুঝবেন প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে। কিডনির ব্যথা করবে কোমরো তলপেট একসাথে ব্যাথা করবে।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়

প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি ও প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় এ বিষয়ে জানব। অনেকেই জানতে চান প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খাবার খেতে হয়। আজকের আলোচনার বিষয় থাকছে প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় ।চলুন তাহলে জেনে নেয়া যায় এমন কিছু খাবার।মূত্রনালীর ইনফেকশন আজকাল অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে নিজেকে।

১। আমলকি- আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে ক্ষমতা রাখে। একা পানিতে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো ও আমলকির গুঁড়ো ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে হালকা ঠান্ডা করে তা পান করুন। দিনে তিনবার করে পান করুন এই পানি। 
২। বেকিং সোডা- এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করা অভ্যাস করা ভালো। এটি এসিড উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এতে করে প্রস্রাবের এসিডিটি কমায়। ব্যথা কম হয় এবং ইনফেকশন দূর হয়।
৩। আনারস- যদি আপনার নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে তা আপনাকে মূত্রনালীর ইনফেকশন থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ব্রোমেলি যা আন্টি এমপ্লয়মেন্টিটি উপাদান প্রবাহ বন্ধ করতে সহায়তা করে।
৪। আপেল সিডার ভিনেগার- আপেল সিডার ভিনেগার প্রস্রাবের ইনফেকশনের নিরাময় করতে অনেক উপকারী। কারণ এতে রয়েছে পটাশিয়াম, এনজায়ম এবং বেশ কিছু এসাস্যায়াল মিনারেল যা প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করতে সহায়ক। এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ এপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন দিনে দুইবার করে পান করুন কয়েকদিন সমস্যা সমাধান হবে।


৫। ডাব- প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে ডাবের পানি খেতে হবে। ডাবের পানি প্রস্রাবে ইনফেকশন সারাতে অনেক উপকারী।
৬। আখের রস- আখের রস অনেক সাহায্য করে প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করতে। নিয়মিত কয়েকদিন আখের রস খেলে আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে এবং অনেক কার্যকারী উপাদান রয়েছে যা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভাব কমায়।
৭। গ্লুকোজ- গ্লুকোজ শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো ভূমিকা পালন করে। আপনি নিয়মিত দিনে দুইবার গ্লুকোজ খাবেন। এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ মিশিয়ে খেতে হবে। দেখবেন আপনার ধীরে ধীরে প্রস্রাবে ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করছে।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি এখন জানাবো প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না। এগুলো প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে যদি খান তাহলে আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকারক হবে। যখন আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন হবে তখন যেগুলো খাবার খাবেন না সেগুলো উল্লেখ করা হলো। 
  • চিনি
  • আঙ্গুর
  • আপেল
  • কফি
  • ড্রিংক্স
  • হার্ড ড্রিংক্স
  • মসলা বা দানাদার যুক্ত খাবার
  • জাঙ্ক ফুড
আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে অবশ্যই এই খাবার গুলো অ্যাভয়েড করুন। বেশি তেল মসলা দিয়ে রান্না করে খাবার খাবেন না। চেষ্টা করবেন অল্প সামান্য পরিমাণে তেল মশলা দিয়ে পাতলা করে রান্না করে খাবেন। বেশি তেল মশলা খেলে প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সাথে কিন্তু কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি করা উচিত

আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। এতে করে মূত্রনালীর ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। জাম খেতে পারেন কারণ এই ফল ইউরিনের ব্যাকটেরিয়াকে আটকে থাকতে দেয় না। শরীর থেকে সেই ব্যাকটেরিয়াকে বের করতে সাহায্য করে।

দই খাবেন কারণ এটা অনেক উপকারী মূত্রনালীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে ভূমিকা রাখে।উপরের বিষয়ে খাবারের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেই খাবারগুলো অবশ্যই খাবেন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন দেখবেন দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সেরে উঠবে।

প্রস্রাবে ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়

প্রস্রাবে ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায় আজকের আলোচনায় থাকছে। প্রস্রাবে ইনফেকশন অথবা ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকে। তাহলে শরীরে যাতে পানির ঘাটতি না হয় এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় প্রস্তাবে হলুদ ভাব তাহলে দেরি না করেই অন্তত দিনে তিন লিটার করে পানি খাওয়া উচিত।
মিনিমাম চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। যদি প্রস্রাব হতে এর থেকে বেশি দেরি হয় তাহলে পানির পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেবেন। অনেক সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখবেন না, এতে করে সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে।

মন্তব্যঃ প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণগুলো কি কি

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণগুলো কি কি এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো। এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় ও প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় এবং কি খেতে হয় না, ইউরিন ইনফেকশন হলে কি করা উচিত এবং ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম। পুরো বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন এতে করে আপনাদের উপকারে আসবে। 
আপনাদের যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং ওষুধ সেবন করুন। উক্ত বিষয়গুলোর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এরকম আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url