আপনি যদি কোন আর্থিক সংকেটে থাকেন তাহলে ব্র্যাক ব্যাংকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি এবং ব্র্যাকও ব্যাংকে কিস্তি পদ্ধতি।কিন্তু অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে কত টাকা লোন পাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃইন্টারেস্ট রেট কত মেয়াদ কতদিন। তাই আজকে আমরা এসব কিছুর বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।নিচে ধাপে ধাপে ব্র্যাক ব্যাংকের লোন পদ্ধতি নিয়ে উল্লেখ করা হলো।
বিবরণ - ব্র্যাক ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি
আপনাদের জানাবো ব্র্যাক ব্যাংকের কারা লোন নিতে পারবে। বেতনভুক্ত একজন ব্যক্তিই লোন নিতে পারবে। পেশাদার এবং ব্যবসায়ীরা এ ধরনের লোনে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি ব্র্যাক ব্যাংকে লোনের আবেদন করেন আপনি সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
আপনারা হয়তো ভাবছেন যে কত টাকার লোনে কত ইন্টারেস্ট হবে। মেয়াদ কতদিন হবে। আপনি যদি ব্র্যাক ব্যাংকে পার্সোনাল লোন নিতে চান তাহলে আপনি সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ পর্যন্ত নিতে পারবেন। এক থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে আপনি এই লোনটা নিতে পারবেন। ইন্টারেস্ট রেট হবে ৭% এবং লোনের প্রসেসিং ফি হবে ৫%। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী।
ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে ব্যাক ব্যাংকের লোনের জন্য কি যোগ্যতা লাগবে। আপনার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। জাতীয়তা বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। আপনার মাসিক আয় ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার পর্যন্ত হতে হবে আর ব্যবসায়িকদের ক্ষেত্রেও সেম।
আপনি যে পেশায় আছেন সে পেশায় কতদিন ধরে আছেন। কত দিনের আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে।আর আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তাহলে আপনি পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
আপনি হয়তো এখন ভাবছেন কত টাকায় মাসিক কিস্তি কত পড়বে।তাই চলুন আপনাদেরকে কিছু এক্সাম্পল দেখায়। যাতে আপনারা বুঝতে পারেন।
আপনি যদি এক লক্ষ টাকা দুই বছর মেয়েদের জন্য নেন তাহলে আপনাকে মোট ইন্টারেস্ট দিতে হবে ৭,৮৫৪.১৯ টাকা। টোটাল ইন্টারেস্ট আপনার এত হবে যদি আপনি এক লাখ টাকা ২ বছরের মেয়াদের জন্য নেন।
ব্র্যাক ব্যাংকে আবেদন ফরম | ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি
আপনি যদি লোন নেন তাহলে আপনার কিছু কাগজপত্র লাগবে। প্রথমে আপনার লাগবে পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। আপনি যেখানে জব করেন সেখানকার ভিজিটিং কার্ড অথবা অফিসের পরিচয় পত্রের কাজ থাকবে। আপনি যদি পাঁচ লাখ লোন নেন তাহলে আপনার ইটিন কপি লাগবে আর যদি পাঁচ লাখের কম নেন তাহলে ইটিন কপি লাগবে না।
আর যদি পাঁচ লাখের বেশি নেন তাহলে লাগবে।আপনার নিজের বিদ্যুৎ বিলের কপি লাগবে। যেটাতে আপনার এড্রেস ভেরিফাই করবে এই ধরনের নিজের মিলের কপি নিয়ে যাবেন। আপনি যাকে নমিনি করবেন তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। নমিনির লাগবে NID কার্ডের ফটোকপি। এগুলো ছিল আপনার কমন ডকুমেন্ট। আরো ডকুমেন্ট লাগবে যে ডকুমেন্ট ছাড়া আপনি লোন পাবেন না।
এখানে চাকরি করেন সেখানকার এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে আর যদি ব্যবসা করেন তাহলে লাস্ট তিন বছরের ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। পার্টনারশিপ ব্যবসা করলে পার্টনারশিপের ব্যবসার কপি লাগবে। গুরুত্বপূর্ণ আপনার সব তথ্য দিয়ে আপনি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে ব্রেক এজেন্টের পয়েন্ট থেকেও নিতে পারবেন অথবা ব্রেক ব্যাংকে টাকা রয়েছে সেখান থেকে চাইলে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি চান তাহলে পরিবারের সদস্য যেমন স্ত্রী অথবা বাবা কেউ যদি চাকরি বা ব্যবসা করে তাদের সাথে আপনি জয়েন লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকে লোন সুবিধা | ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি
ব্র্যাক ব্যাংকের অন্যতম লোন হচ্ছে, ব্রাক ব্যাংক হোম বা বাড়ি লোন। আপনি যদি লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে চান, তাহলে এই লোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। হোম বা বাড়ি লোনের অনেক সুবিধা রয়েছে।হোম লোনের ক্ষেত্রে আপনি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি লোন নিতে পারবেন।ব্রাক ব্যাংকের লোনে ২০% সুদ দিতে হয়।
ব্রাক ব্যাংকের হোম লোন সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।মোট যে লোন দেওয়া হয় তার ২% প্রসেসিং ফি হিসাবে কেটে নেওয়া হয়।
ব্র্যাক ব্যংক হোম লোনের যোগ্যতা:
সবকিছুরই কিছু শর্ত রয়েছে। যোগ্যতা থাকতে হয়।BRAC Bank Loan ব্রাক ব্যাংকের লোন নেবারও কিছু যাোগ্যতা রয়েছে। ব্রাক ব্যাংকের হোম লোনের যে সব রিকুরমেন্ট বা যোগ্যতা রয়েছে, নিচে আমরা তুলে ধরেছি।লোন গ্রহীতার বয়স সর্বনিম্ন ২৫ বছর হতে হবে।
ঋণ গ্রহীতার বয়স সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে।ব্রাক ব্যংক লোন মূলত বিজনেস ওনার, প্রাইভেট কোম্পানির অনার, পার্টনারশিপ বিজনেস কম্পানির মেনেজার লোন নিতে পারবেন।মাসিক ইনকাম ন্যূনতম ৩০ হাজার হতে হবে।ব্র্যাক ব্যাংক লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।ব্রাংক ব্যংকের হোম লোনে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন।
সর্বশেষ একবরের ব্যাংকের লেনদেন স্টেটমেন্ট-
সর্বশেষ কর প্রদানের দলীল দস্তাবেজ।NID বা পাসপোর্টের ফটোকপি।একবছরের স্যালারির কাগজপত্র বা স্টেটমেন্ট।অংশীদার কম্পানি থাকলে তার নথিপত্র।পেশাদার থাকলে তার দলীল।
মালিকানার চুক্তি। স্থায়ী বেতনভুক্ত চাকরিজীবী স্যালারি লোন সুবিধা নিতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক স্যালারি লোনের সুবিধা।স্যালারি ব্যাংকের অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি একজন ব্রাংক ব্যাংকের গ্রাহক হিসাবে এগুলো জানা আবশ্যক।আবেদনকারীর বেতনের ১৫ গুণ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।সুদের হার ১৯ শতাংশ থেকে ১৯.৫ শতাংশ।১২ থেকে ৬০ মাস মেয়াদে সমান কিস্তিতে ঋণপরিশোধ করা যাবে।
অটো লোনের সুবিধা অটো ঋণের পরিমাণ গাড়ির মূল্যের ৯০ শতাংশ।সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ।এক থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে পরিশোধ করা যাবে।অটো লোনের সুবিধাঅটো ঋণের পরিমাণ গাড়ির মূল্যের ৯০ শতাংশ।
মন্তব্য - ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা ব্র্যাক ব্যাংকে লোন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করলাম। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে আশা করি আপনাদের উপকৃত হবে। আপনার দ্বারা আপনাদের আর্থিক সুবিধা অনুযায়ী লোনের পরিমাণ বুঝতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।এরকম তথ্য পেতে রেদওয়ান আইটি ফলো করুন। কারণ এরকম তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। এতক্ষন সঙ্গে থাকার জন্য রেদওয়ান আইটির পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url