বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে জাদুঘর গুলো পরিচালিত হয়। আপনি যেতে পারবেন শনিবার থেকে বুধবার সকাল দশটা হতে বিকেল ৫ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার।
৪. সংসদ ভবন
ঢাকার শে মিরপুররে বাংলা নগরে সংসদ ভবন অবস্থিত। লুই আই কান এর স্থাপতি। মূল ভবনটি কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে অবস্থিত। এর মনোরম পরিবেশের কারণে এটি ঢাকার অন্যতম বিদ্যমান একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপনের মাধ্যমে ঐতিহ্য বাংলাদেশের এবং সাংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামের দিকটিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষরা প্রবেশ করতে পারবে না এর চারদিকে বর্ডার দিয়ে ঘেরা। শুধু বাইরে থেকে দেখতে পারবেন। সংসদ ভবন লোকেশন- মানিক মিয়া এভিনিউ,আসাদ গেট,খামার বাড়ি,ফার্মগেট,চন্দ্রিমা উদ্যান,ধানমন্ডি ২৭ এর নিকটতম এরিয়া।
৫. চন্দ্রিমা উদ্যান
ঢাকা শহরে একদম প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত এই জায়গাটি যেটা হচ্ছে সংসদ ভবনের একদম পিছন সাইটে।১৯৭১ সালে জিয়ারুল রহমানের সমাধি স্থাপণ করা হয়। এর ভেতরে আছে লেক, ঝুলন্ত ব্রিজ, মসজিদ, সমাধি, পুকু্র, শরীর চর্চা কেন্দ্র, শুভ বিত্ত বাগান, খোলা চত্বর।
চন্দ্রিমা উদ্যান সারা বছর খোলা থাকে এখানে প্রবেশ করতে গেলে কোন টিকিট লাগেনা। চন্দ্রিমা উদ্যান এর লেকের সাইটটা আপনাকে মনে মুগ্ধ করবে। এখানে বসার জায়গা আছে এবং খুব সুন্দর বাতাস বয়। এখানে ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে পারবেন।
৬. আহসান মঞ্জিল
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল ঢাকার ইসলামপুরে। ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্যের জ্বরত্ত ধারক বাহক এই নবাব বাড়ি। এর অবগঠন সৌন্দর্য ও কারুকার্য আপনাকে যেমন নিয়ে যাবে সেই নবাবী আমলে। একই সাথে আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। ইট পাথরের তৈরি এই মঞ্জিলটি। এ ভবনটি দোতলা।এর বারান্দা ও মেঝে মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই প্রাসাদের ভিতরে আছে দরবার হল, অতিথিদের জন্য কক্ষ, বৈঠকখানা, জলসাঘর, নাচ ঘর, বসবাসের কক্ষ ইত্যাদি। প্রাসাদের পেছন দিয়ে প্রবেশ করতে হয় এবং প্রাসাদের সামনে রয়েছে বড় সিঁড়ি এবং বড় মাঠ ও মনোরম ফুলের সৌন্দর্য গাছপালা।
এটি বাংলাদেশের নির্দেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। পরিবার নিয়ে আপনারা সেখানে খেতে যেতে পারেন।সপ্তাহে ৫ দিন, শনিবার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
৭. মিরপুর চিড়িয়াখানা
মিরপুর চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা যেটি মিরপুরে অবস্থিত। সেখানে দেখা যাবে ১৩৮ প্রজাতির ২ হাজার ৬২২টি প্রাণী ও পাখি। এখানে নানারকম প্রাণী রয়েছে। শুদের জন্য চিড়িয়াখানা খানা এক অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। তবে আপনারা পরিবারের সকলকে নিয়ে বেড়ানো জন্য একটি আদর্শ জায়গা। এটি জাতীয় চিড়িয়াখানা বলে এর মূল আকর্ষন হলো পৃথিবীর বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
এখানে রয়েছে সিংহ,জিরাফ, নীলগাই,গণ্ডার, উট,নেকড়ে,কুমির,অজগর, পাণ্ডা,ক্যাঙ্গারু,ময়ূর,কাকাতুয়া,বক,শকুন,চিল ,সারসসহ ইত্যাদি অসংখ্য পশু পাখি এদের নাম জানা যাবে এই চিড়িয়াখানায়। বিদেশি প্রজাতির প্রানীও রয়েছে। সেখানে রয়েছে বিশাল ২ টি লেক এবং স্টাফিং করা পশুপাখির জাদুঘর।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে।
৮. বোটানিক্যাল গার্ডেন
আপনারা ঢাকায় একটু সবুজের সমারোহ অনুভব করতে চান। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ঢাকায় এটি বাংলাদেশ জাতীয় উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেন। অন্যতম প্রাকৃতিক উদ্যান। বোটানিক্যাল গার্ডেনটি মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার পাশেই অবস্থিত। এই জায়গাটি হল বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ উদ্যান।
এখানে প্রায় ৮০০ প্রজাতির নানান ধরনের বৃক্ষ রয়েছে। এখানে ফুল, ফল, ঔষধি গাছ রয়েছে। রয়েছে গ্রীন হাউজ গোলাপ বাগান,বাঁশ বাগান,ক্যাকটাস হাউজ,পদ্ম নীড়, পদ্ম পুকুর, শাপলা পুকুর,ওয়াচ টাওয়ার,নার্সারি,সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ। বোটানিক্যাল গার্ডেনের টিকিট মূল্য ২০ টাকা। সময়সূচি সকাল ৯.০০ থেকে বিকেল ৫.০০ পর্যন্ত।
৯. বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি বর্তমানে স্মৃতি তার জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি ঢাকার ১০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম। বাড়িটিতে রয়েছে তার সারা জীবনের বিভিন্ন দূর্লভ ছবি এবং তার শেষ সময়ের অনেক স্মৃতি।৬টি পৃথক গ্যালারী ও বঙ্গবন্ধু কর্নার রয়েছে।
এছাড়াও আছে সেমিনার হল,ব্রিফিং রুম,সিনেমা হল,স্যুভেনিওর শপ, ফাস্ট এইড কর্নার,আর্কাইভ,ক্যাফেটরিয়া, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা,ভাস্কর্য, মুর্যাল,মাল্টিপারপাস হল,লাইব্রেরি,আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা, বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত প্রান্তর,তোশাখানা জাদুঘর ইত্যাদি। এই জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের প্রবেশ ফি নেই।সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৫০০ টাকা প্রবেশ মূল্য।
জাদুঘর বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার দুপুরের ২ ঘণ্টা বিরতিসহ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর বুধবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে ।
১০. রমনা পার্ক
শাহবাগের শিশুপার্ক থেকে রাস্তা অতিক্রম করে এগোলেই রমনা পার্ক। রাজধানী ঢাকার রমনা এলাকায় সুবিশাল মনোরম প্রাকৃতিক উদ্যান হলো রমনা পার্ক। এখানে দেখার আছে এক নামে পরিচিত রমনা বটমূল যেখানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর লেক ও গাছপালাঘেরা উদ্যানে বিকেলের সময় কাটাতে যেতে পারেন রমনা পার্কে। পার্কে আছে মনোরম লেক পাশাপাশি আছে নানা প্রজাতির ফুল,ফলের গাছ,ঔষধি বৃক্ষের সমাহার। এখানে প্রবেশের সময়সূচি ভোর ৪ টা থেকে রাত ১০ টা।
শেষ কথাঃ ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা - ঢাকায় ঘোরার জায়গা
প্রিয় পাঠক, ঢাকার ১০ টি দর্শনীয় স্থানে যেতে হলে ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকেই যেতে পারেন। সবচেয়ে কম খরচের পরিবহন হলো বাস।ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বাসে করে এসব জায়গায় আসা যাবে। আর বাসে না চড়লে নিজস্ব পরিবহন,রিকশা,সিএনজি,উবার,মেট্রোরেল, বাইক ইত্যাদি যানবাহনে চড়েও যেতে পারেন।
এ বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম তথ্য পেতে রেদোয়ান আইটি ফলো করুন। এরকম তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত করা হয়।এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url