পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত - ফজরের নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা
রেদওয়ান আইটি
মুসলিমদের জন্য নামাজ অন্যতম স্তম্ভ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত আজকে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। আমাদের মুসলিমদের জন্য পাঁচবার সালাত আদায় করা ফরজ। এর সাথে আপনাদের জানাবো ফজরের নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা।
পোস্ট সূচিপত্রঃকোরআন শরীফে একবার নয় দুইবার নয় বরং ৮২ বার নামাজের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমান নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তাই আজকে জানাবো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত এর সাথে ফজরের নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
ফজরের নামাজের ১০টি ফজিলত
আজকের আলোচ্য বিষয় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত এখন আপনাদেরকে জানাবো ফজরের নামাজের ১০ টি ফজিলত সম্পর্কে। অনেকে আছেন ফজরের নামাজ পড়েন আবার কেউ কেউ পড়েন না যারা পড়েন তারা ফজরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান। নিচে উল্লেখ করা হলো ফজরের নামাজের ১০ টি ফজিলত সম্পর্কে।
১। বিশ্বনবী বলেছেন, মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজ অপেক্ষা অধিক ভারী নামাজ আর নেই। এদু নামাজের কি ফজিলত, তা যদি জানতো, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে উপস্থিত হতো। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়াজ্জিনকে ইক্বামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামত করতে বলি। আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে , অতঃপর যারা নামাজে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই"। (সহীহ বুখারী - ৬৫৭)
২। রাসূল (সাঃ) বলেন, " যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করে, সেদিন ওই ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির দায়িত্ব নেন। (সহীহ মুসলিম তিরমিজ - ২১৮৪)
৩। বিশ্বনবী বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগণ আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দেবে। (বুখারী-মুসলিম)
৪। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ সালাত জামাতের সাথে আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন। (সহীহ মুসলিম-১০৯৬)
৫। বিশ্বনবী বলেছেন, যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো তার জন্য দান করবেন। (আবু দাউদ- ৪৯৪)
৬। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন। অর্থাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করিবে। এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্ণিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে। (বুখারী ৫৭৩)
৭। যে নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করবে, সে কখনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। (সহীহ মুসলিম ৬৩৪)
৮। ফজরের নামাজ আদায়কারীর, নবীজি এর বরকতে দোয়া লাভ করিবেন। (সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
৯। ফজরের দু রাকাত সুন্নত নামাজ, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (জামে তিরমিজি ৪১৬)
১০। ফজরের নামাজ আদায়ের ফলে, ব্যক্তির মন ফুরফুরে প্রফুল্ল হয়ে যায়। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
আজকের এই আর্টিকেলে পাঁচ অক্ত নামাজের ফজিলত ও ফজরের নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এখন জানাবো জোহরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। প্রতিটি নামাজের ফজিলত ও উপকার রয়েছে। আমরা জানি জোহরের নামাজটি দিনের মধ্যখানে সময় আদায় করা হয়।যোহরের নামাজ ওয়াক্ত শুরু হয় যখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যায়।
রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি জোহরের নামাজের সময় পূর্বে চার রাকাত সুন্নত এবং পরে চার রাকাত সুন্নত আদায় করবে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।(তিরমিজ)
হযরত আয়েশা (রঃ) বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কখনোই জোহরের পূর্বে চার রাকাত এবং ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ ত্যাগ করতেন না। (বুখারী শরীফ)
জোহরের নামাজের পরে আপনার আয়োজন করছি এবং তসবি পড়বেন।
আসরের নামাজের ফজিলত
আসরের নামাজের ফজিলত এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানাবো। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।এছাড়াও নামাজের মধ্যে মানুষের জন্য রয়েছে ফজিলত ও উপকারিতা।
বুরাইদাহ (র.) বলেন, তাড়াতাড়ি আসরের নামাজ আদায় করে নাও। কারণ রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছিলেন- ' যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। (বুখারি হাদিস)
আবু হুরায়রা (র.) থেকে বর্ণিত হাদিসের রাসুল সালাম বলেছিলেন, ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে এসে থাকেন। একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফজরের সালাতের দল উভয়ের একসাথে হয়। তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।
উত্তরে ফেরেশতারা বলেন, আমরা আপনার বান্দাদের সালাতে রেখে এসেছি। আর আমরা যখন গিয়েছিলাম, তখন তারা সালাত আদায় অবস্থায় ছিল। (বুখারি হাদিস)
মাগরিবের নামাজের ফজিলত
আজকে কথা বলব মাগরিবের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। মাগরিবের নামাজে কত গুরুত্ব আল্লাহতালা দিয়েছেন। এই মাগরিবের নামাজে মহান রাব্বুল আলামিন কত ফজিলত দিয়েছে। আমরা যদি মাগরিবের নামাজ আদায় করি তাহলে কত ফজিলত কত রহমত কত বরকত আল্লাহতালা দিবেন। সন্ধ্যায় সূর্য ডুবে গেলে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর পশ্চিম আকাশে দিগন্ত লালিমা শেষ হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের নামাজ পড়া যায়।
সালমা (র.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সূর্য পর্দার আড়ালে ঢেকে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নবী (সঃ) এর ইমামতিতে মাগরিবের নামাজ আদায় করতাম। (বুখারী হাদিস)
অন্য এক হাদীসে আল্লাহর রাসূল বলেন, আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায়ের তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিরম্ব না করবে। (আবু দাউদ হাদিস)
অর্থাৎ সূর্য ডোবার সাথে সাথে মাগরিবের নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া, বিলম্ব করা অনুচিত।
আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেন, আপনি আপনার পালনকর থেকে অধিকহারে স্মরণ করুন। সকাল সন্ধ্যায় তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন। (সূরা আলে ইমরান)
এই আয়াতে পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নামাজ আদায় করা। এই আয়াতে ফজর ও মাগরিবের নামাজের প্রতি গুরুত্ব রোপ করা হয়েছে। এই দুই সময়ে প্রকৃতিতে বড় পরিবর্তন হয়। দিন রাতের পালা বদল ঘটে।
নবীজি বলেছেন- যায় সকাল সন্ধ্যায় নামায আদায় করতে মসজিদে যাই এবং যতবার যায় আল্লাহ তাআলা ততবারই তার জন্য জান্নাতের মধ্যে মেহমানদারীর উপকরণ প্রস্তুত করেন।
যে ব্যক্তি গুরুত্বের সঙ্গে মাগরিবের পরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। (তিরমিজি হাদিস)
এশার নামাজের ফজিলত
আজকে আলোচনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত এবং ফজরের নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে এসেছে। এখন আলোচনা করবো এশার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। প্রতিটি নামাজের ফজিলত রয়েছে আর সে ফজিলত গুলো আমরা অনেকেই জানিনা একেবারেই অজানা।যারাই ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হলো।
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (র.) বর্ণনা করেন, ' একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। পূর্ণিমার চাঁদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে তিনি উপস্থিত সাহাবীদের বলেন, তোমরা আল্লাহকে এরূপ স্পষ্টভাবে কোন রকম ভিড় ও কোলাহল ছাড়াই দেখতে পাবে, যেমন এই পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছো। কিন্তু এই নিয়ামত হাসিলের জন্য সূর্যোদয় ও অস্থির পূর্ববর্তী নামাজের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।(বুখারী)
বিশ্বনবী বলেছেন, এ দুটি নামাজ এশা ও ফজর মুনাফিকদের জন্য খুবই কষ্টকর। এ নামাজ দুটি জামাতে আদায় করায় কত যে পূর্ণ রয়েছে তা যদি লোকেরা জানতে পার, তাহলে হামাগুড়ি দিয়েও আদায় করতে আসতো। (বুখারী মুসলিম)
সায়খ ওবায়দুল্লাহ বিন উমার কাওয়ারিরি (রহঃ) বলেন, এশার নামাজ জামাতে পড়তে আমার কখনো ভুল হয়নি। এক রাতে আমার বাড়িতে এক মেহমান এলেন। তা আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকায় এশার জামাতে সামিল হতে পারলাম না আমি বসরা নগরীর সব মসজিদে তলাশ করে দেখলাম, সবাই এশার নামাজ পড়ে মসজিদগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। যেহেতু নামাজে আছে একাকী নামাজের চেয়ে জামাতের নামাজের সাতাস করুন সোওয়াব।
রাতে স্বপ্ন দেখলাম আমি এক ঘোড়সওয়ার দলের সঙ্গে ঘোড় দৌড়ের প্রতিযোগিতা করছি, এবং সবার পেছনে পড়ে যাচ্ছি। তাদের একজন বলল তুমি আমাদের কখনোই ধরতে পারবে না। কেননা আমরা এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছি। তুমি একাকী আদায় করেছো। উপরোক্ত হাদিসগুলো আলোকে জামাতে নামাজ আদায় করা বিশেষ করে ফজর ও এশার নামাজের আদায়ের গুরুত্ব অনুরোধ করা যায়।
নামাজ না পড়ার কঠিন শাস্তি
নামাজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয় স্তম্ভ। কোরআনে বারবার নামাজ পড়ার ফজিলত ও নামাজ না পড়ার শাস্তির বলা সম্পর্কে বলা হয়েছে। আমরা নিজেদের ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটি ছেড়ে দিই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন ঈমান আনয়নের পর মুমিন বাগদাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অবশ্য পালনীয় বিষয় হচ্ছে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
রাসুল সঃ ইরশাদ বলেছেন, যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার উপর থেকে নিজের জিম্মাদারী উঠিয়ে নেয়। (বুখারী শরীফ)
হাদিসে এসেছে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে শিরকের পর সবচেয়ে বড় অপরাধ এমনকি এটি হত্যা, ব্যভিচার, লুণ্ঠন, চরি, মদ্যপানের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। যার শাস্তি দুনিয়ায় ও আখিরাতে ভোগ করতে হবে। যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না বা ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয় তাকে মোট ১৫ ধরনের শাস্তি পেতে হবে। তার মধ্যে
৬ ধরনের শাস্তি দুনিয়াতে
৩ ধরনের শাস্তি মৃত্যুর সময়
৩ ধরনের শাস্তি কবরে এবং
৩ ধরনের শাস্তি হাশরে
ছয় ধরনের শাস্তি দুনিয়াতে সেগুলো হলো-
১। তার জীবন থেকে বরকত ছিনিয়ে নেওয়া হবে। সে যতই উপার্জন করুক না কেন তাতে কোন বরকত থাকবে না।
২। তার চেহারা থেকে নেককারের নূর দূর করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ তার চেহারা পাপী ব্যক্তিদের ন্যায় মলিন থাকবে।
৩। তার নেক কাজে কোন বদলা দেওয়া হবে না।
৪। তার কোন দোয়া কবুল হবে না।
৫। নেককার বান্দাদের দোয়ার মধ্যে তার কোন হক থাকবে না অর্থাৎ নেককার বান্দারা যে দোয়ার সময় সকল মুসলমানদের কথা উল্লেখ করে সে দোয়াতে তার কোন ভাগ থাকবে না। সে এই দোয়া থেকে কোন সোওয়াব অথবা উপকার পাবে না।
৬। আল্লাহ তায়ালার সমস্ত ফেরেশতারা তার ওপর অসন্তুষ্ট থাকিবে। অর্থাৎ তারা তার জন্য কোন শুভ কামনা করবে না।
৩ ধরনের শাস্তি মৃত্যুর সময় সেগুলো হল-
১। জিল্লতি অর্থাৎ অপমান এর সাথে মৃত্যুবরণ করবে।
২। ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।
৩। এমন পিপাসার অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে যে সমস্ত সাগরের পানি দিয়ে তার পিপাসা মিটবে না।
৩ ধরনের শাস্তি কবরে সেগুলো হলো-
১। কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তার এক পাশের হার অন্য পাশে গিয়ে মিলিত হয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
২। তার কবরে সারাক্ষণ আগুন জলানো থাকবে।
৩। তার কবরে একজন আজাবের ফেরেস্তা নিয়োগ করা থাকবে। যার হাতে একটি লোহার মুহুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে দুনিয়ায় থাকতে কেন ফজরের নামাজ পড়ো নাই। এখন তার ফল ভোগ কর এই বলে আঘাত করতে থাকবে। এবং শরীর ভেঙে গিয়ে ৫০গজ মাটির নিচে চলে যাবে। এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
৩ ধরনের শাস্তি হাশরের সেগুলো হলো-
১। একজন ফেরেশতা তাকে মাথা নিচের দিকে ও পা উপরের দিকে রাখা অবস্থায় হাশরের মাঠে নিয়ে যাবে।
২। আল্লাহতালা তাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন না।
৩। বিশ্বনবী বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে আট শ্রেণীর লোকের উপর কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট থাকিবেন।
তাদের মুখে আকৃতি অত্যন্ত বিশ্রী ও খারাপ দেখতে হবে। হাশরের মাঠে প্রত্যেকে দেখে তাদেরকে ঘৃণা করা হবে।এর মধ্যে বেনামাজির শাস্তি হবে অত্যন্ত কঠিন। বেনামাজিকে আগুনের পোশাক পরিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আগুনের কড়া মারতে থাকবে।
নবী করিম সঃ বলেছেন, জাহান্নামের ভেতর রমরম নামের একটি কূপ আছে সেখানে সাপ ও বিচ্ছু ভর্তি।সেখানে সাপ এক একটি পাহাড়ের সমতুল্য ও বিচ্ছু এক একটি হাতির সমতুল্য। বিচ্ছু গুলো অনবরত বেনামাজিকে কামড়াতে থাকবে। একবার কামড়ে ৭০ হাজার বছর পর্যন্ত তার যন্ত্রণা হতে থাকবে। আর সেখানে কারো কখনো মৃত্যু হবে না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকেই যথাযথ ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url