হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

অনেকেই জানতে চান হাত ভালো রাখতে যেসব খাওয়ার প্রয়োজন সেগুলো কি। তাই আজকে আপনাদের কাছে আলোচনা করব হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন এই সম্পর্কে। হার্ট আমাদের শরীরের একটি অংশ। তাই আমাদের জানা দরকার প্রত্যেকটি শরীরের অংশ কিভাবে ভালো রাখা যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃআজকে আলোচনা করব হাত ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন। হার্টের সমস্যা কিন্তু ছোট বড় সকলের হয়ে থাকে।এই খাবারগুলো আপনি বয়স মেনটেন করে কম বেশি করে খাওয়াতে পারবেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক ভাত ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন নিচে উল্লেখ করা হলো।

বিবরণ - হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, পুষ্টিকর শস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, প্রোটিনের উৎস (মাংস, মাছ, ডাল, ডিম), ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত হয়। ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করা হার্টের কাজের দক্ষতা বাড়ানো এবং বৈদ্যুতিন স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোজ কমপক্ষে 30 মিনিট মানসিক বা শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত। ওমেগা-৩ ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়

নিয়মিত ভাবে হার্টের পরীক্ষা করতে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা দরকার। প্রতিবছরে একবার বা প্রয়োজন অনুসারে হার্টের স্ক্রিনিং পরীক্ষা (যেমনঃ ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ECG) করতে যেতে পারেন।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ হার্টের জন্য একটি ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ লিভারে চর্বি কমানোর খাবার

এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ডাক্তারের পরামর্শের সাথে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।প্রাকৃতিক খাবার, স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক খাবার সেবন করা প্রয়োজন। প্রোসেস্ড এবং প্যাকেজড খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। সবজি, ফল, পুষ্টিকর গ্রেইন, প্রোটিন সোর্স এসব খাদ্য তালিকায় রাখবেন।

কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়

হার্টের রোগ ভালো হওয়ার জন্য যেকোনো শারীরিক কার্যকলাপ করা উপযোগী হতে পারে, যেমন সাধারণ ব্যায়াম, যোগাসন, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার করা এবং সাম্বারান্ধ্র ব্যায়াম।ব্যায়াম আপনার হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন সমৃদ্ধ ও সম্মত খাদ্যের উপকারিতা সম্পূর্ণ হার্ট স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন করুন ব্যক্তিগত খাদ্যের জন্য যা শাকসবজি, ফল, পুষ্টিকর অণুকুল প্রদান করে। অতিরিক্ত নির্ভুল খাদ্য পণ্য যেমন মসলা, প্রসেরবেটিভ গরুর মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হার্টের রোগ সংক্রান্ত ঝুঁকিটি কমিয়ে আনে। মানসিক এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন, যেমন যোগা, হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং, সাঁতার করা এবং জগিং ইত্যাদি করলে শরীর ভালো থাকবে।

হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়

হার্টের সমস্যা বোঝার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি উল্লেখ করা হল-

শরীরের লক্ষণ মনিটর করুন- যখন হার্টের সমস্যা থাকে, তখন এর সাথে সংযুক্ত লক্ষণগুলির সনাক্তকরণ করা প্রয়োজন। অন্যমত সাম্প্রতিক সময়ে ব্যতিক্রমী লক্ষণগুলি যেমন সিনকার ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বিক্ষিপ্ত হাঁচি, থাকতে পারে। আপনি স্বাধীনভাবে এই লক্ষণগুলি মনিটর করতে পারেন এবং যদি আপনার কোনও সমস্যা থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

নিয়মিত চেকআপ- হার্টের সমস্যা থাকলে নিয়মিত চেকআপ করা প্রয়োজন। আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত পরামর্শ ও পরীক্ষা করতে হবে যাতে আপনি নিরাপত্তার নীতি অনুসরণ করতে পারেন এবং সমস্যার কোনও বর্তমান বা ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলি মনিটর করা যায়। 

আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলুন- চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং প্রয়োজনে নির্ধারিত ওষুধ নিয়মিত খান। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ বজায় রাখুন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য গ্রহণ করুন।

দজীবনযাপনে পরিবর্তন করুন- আপনার জীবনযাপনে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন সাধারণত সুস্থ হার্টের জন্য ভাল হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ধূমপান বন্ধ করুন, সুস্থ ও নিরাপদ অনুসরণ করুন এবং মানসিক তন্দ্রামুক্ত থাকার জন্য মনোযোগ গ্রহণ করুন।

আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ নিন যাতে আপনি আপনার ব্যক্তিগত সমস্যার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা পান।

হার্টের জন্য উপকারী খাবার

হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলি অত্যন্ত উপকারীঃ

সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি স্বাস্থ্যকর এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। লাউ, পালং শাক, ব্রোকলি, স্পিনাচ, গাজর, সবজি ইত্যাদি করতে পারেন এবং আপনার খাবারে তালিকায় যোগ করতে পারেন।

মাছ: মাছ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। মাছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রোগের ঝুঁকি কমায়। মাছের ধরন যেমন সালমন, টুনা, সার্ডিন, ম্যাকারেল, এই ধরনের মাছ কে পছন্দ করতে পারেন।

ফল ও সবুজ ফল:  ফল ও সবুজ ফল হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে। নিচের ফলের ধরনগুলি স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী হতে পারে। যেমনঃ আপেল, কমলা, নারকেল, ব্লুবেরি, পোমেগ্রেনেট, স্ট্রবেরি, ব্যানানা, কিউইন, আম, পেয়ারা এই ধরনের ফলগুলি। তবে পরিমাণমত খেতে হবে।

গোলমরিচ ও স্পাইসিজ: গোলমরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ধনিয়া, হলুদ, কালো মরিচ, লেবুপাতা, জিরা, সাদা মরিচ এবং ক্লোভ এই ধরনের স্পাইসিজ অন্য ক্ষেত্রেও হার্টের জন্য উপকারী হতে পারে।

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রাম: কম সম্পদে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রাম হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।ডাল, ফুলকপি, মুগড়া বা মটর, লাউ, স্পিনাচ, ব্রকলি, খোলামড়ি, বেগুন, গাজর এই ধরনের খাদ্য গ্রামগুলি খাওয়া যাতে আপনার পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটানো যায়।

এই সমস্ত খাবারগুলি একটি স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার খাবারের সাথে সমন্বয় করে নিতে পারেন যাতে হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে। তবে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য পরামর্শ নিয়ে চলতে থাকবেন আপনার ডাক্তারের কাছে।

মন্তব্য - হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবনের একটি প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের হৃদয়কে ভালো রাখা। হার্ট যেহেতু আমাদের জীবনের একটি মুখ্য অংশ, সেই কারণে সেটি স্বাস্থ্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। হৃদয়ের স্বাস্থ্য কর্মী জীবনকে আনন্দময় করে এবং একাধিক সমস্যা থেকে রক্ষা করে, যা আমাদের সম্পূর্ণ জীবনের গুনগত সুবিধা সৃষ্টি করে।

এই অভ্যন্তরীণ ধর্মীয় অনুশাসন, পরিবর্তনশীল খাবার এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যাবলি এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করা যায়। নিম্নলিখিত কিছু করনীয় হতে পারেঃ-

প্রাথমিক চেকআপ: বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে প্রফেশনাল চিকিত্সকের সাথে আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবারের সামান্য পরিবর্তনের জন্য নিয়মিত চেকআপ করা প্রয়োজনীয়।

স্বাস্থ্যকর খাবার: পরিমিতিভুক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার সেবন করা উচিত। ফলের সঙ্গে সবুজ শাক এবং সবজি, প্রোটিন উপাদানসহ শক্তিশালী প্রকারের খাবার এবং সুন্দর তেলসহ মধু সেবন করা উচিত। নিয়মিত খাবার নেওয়া হলে মধু বদলে সাধারন চিনি ব্যবহার করা উচিত।

ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম হৃদয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক শারীরিক কার্যাবলি করা উচিত, যেমন চলাফেরা সাইকেল চালানো, জগিং, সুইমিং, ইয়োগা ইত্যাদি। আপনি যেকোনো সময়ে ব্যায়ামের আনন্দ নিতে পারেন, তবে নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম সম্পাদন করা দরকার।

আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

ধ্বংসপ্রবণতা থেকে দূরে থাকুন: সিগারেট ধূমপান, তামাক, নাশা সহ অন্যান্য ধ্বংসপ্রবণ পদার্থের ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। এই ধরনের পদার্থগুলি হৃদয়ের জন্য বিপদজনক হতে পারে এবং বিভিন্ন হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

মেদ কমানো: মেদ কমানোও হৃদয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ওজন ও মেদ হৃদয়ের জন্য বিপদজনক হতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। একটি সুস্থ ও সমান্তরাল ডায়েট অনুসরণ করলে মেদ কমানো সহজ হয়।

এই সমস্ত পদক্ষেপ নিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখা সম্ভব। সম্পূর্ণ পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে হৃদয়ের স্বাস্থ্যে ভালো রাখা প্রয়োজন।