মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন জেনে নিন
মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন জেনে নিন এই বিষয়ে আলোচনা করবো। মুসুর ডাল ত্বকের স্বাস্থ্যকর এবং সৌন্দর্য বজায় রাখতে সহায়ক। এটি উচ্চ পুষ্টিকর এবং প্রাকৃতিক সোপনের একটি উত্তম উৎস হিসেবে পরিচিত। এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃমুসুর ডাল ত্বকের পরিচর্যা ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। মুসুর ডালে অনেক উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং আরগানিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যকর দিক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিচে মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন উল্লেখ করা হল-
মসুর ডাল মুখে দিলে কি হয় | মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন
মসুর ডাল মুখে লাগালে এর প্রক্রিয়ায় আপনার ত্বকের পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। মসুর ডাল নির্মিতি একটি প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে কাজ করে এবং ত্বকের মৃদুতা ধরে রখিতে সহায়তা কর থাকে।তবে মসুর ডালে প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং আরগানিক অ্যাসিড থাকায় এটি ত্বকের তাজগী বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের পরিমাণমত প্রোটিন ও আরগানিক অ্যাসিড উপাদান বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মসুর ডালে বিটাকারটিন থাকায় এটি ত্বকের সমমততা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের কনজেশন ভালো রাখে।
মুসুর ডালের ত্বকের উপকারিতা
মুসুর ডালের ত্বকের উপকারিতা গুলো জেনে নিন
ত্বকের পরিষ্কারতা: মুসুর ডাল ত্বকের পরিষ্কার করে। এটি মাইক্রোএব্রেশন মাধ্যমে মৃদুতা ত্বক মসৃণ করে এবং ত্বকের মধ্যে থাকা কোষ, মইশুর এবং অন্যান্য জৈবিক কারণে এমন সমস্যার বিমুখ হতে সাহায্য করে।
আরো জানুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ত্বকের সুরক্ষা: মুসুর ডালে প্রোটিন ও ভিটামিন এ এমন পুষ্টি উপাদান থাকে, যা ত্বকের সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের নিরামিষতা বাড়ানোর জন্য প্রোটিন সরবরাহ করে এবং ত্বকের নিরামিষণ ব্যবধান রোধ করে।
ত্বকের জন্য জীবানুনাশক: মুসুর ডালে রয়েছে আন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে, যা ত্বকের মিক্রোবিয়াল জীবানুগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়।
ব্রণের দাগ দূর করতে মসুর ডাল | মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন
মসুর ডাল গুঁড়ো করে পাউডারে পরিণত করুন। এরপর একটি পাত্রে অল্প নিয়ে পানি যুক্ত করে মাখানো পেস্ট তৈরি করুন। এটি ব্রণ ওপর লাগান। আপনি এটি মাখানোর পূর্বে মুখটি পরিষ্কার ও শুষ্ক করতে পারেন। মসুর ডালের পাউডারটি কিছুটা সময় বা রাতে পানি মিশিয়ে রাখুন এতে করে নরম হবে।মসুর ডালের বেসোন বা পাউডারে সামান্য পানি যুক্ত করে একটি প্যাক তৈরি করুন।
এটি ব্রণের দাগের উপর লাগান। প্যাকটি মসুর ডালের গুড়ো দ্বারা ময়লা এবং পরিস্কার করতে সাহায্য করবে। মসুর ডালকে সামান্য পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং একটি গ্রাইন্ডার দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবারে মুখের ব্রণ এর ওপর পেস্ট লাগান। পাসে যদি কোনো উপাদান এলে মসুর ডালের পেস্টের সাথে মেশানোর পর পরিস্কার করুন।
মসুর ডাল কি ত্বকের জন্য ভালো
হ্যাঁ, মসুর ডাল ত্বকের জন্য ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। মসুর ডালে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস এবং প্রক্ষেপজনক উপাদান থাকে, যা ত্বকের সুস্থতা ও সমতুল্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।মসুর ডাল ত্বকের পরিষ্কারতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরো জানুনঃ ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
এটি মাইক্রোএব্রেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে মৃদুতা ত্বক পরিষ্কারে সহায়তা করে এবং ত্বকের ময়লা এবং অন্যান্য জৈবিক কারণে এমন সমস্যার বিমুখ হতে সাহায্য করে।মসুর ডাল ত্বকের সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের পুষ্টি বাড়ানোর জন্য প্রোটিন সরবরাহ করে।
চালের গুড়া ও মসুর ডালের ফেসপ্যাক | মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন
চালের গুড়া ও মসুর ডাল দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বকের বলিরেখা মাত্রা কমাতে এবং ত্বককে রাখে সুস্থ।
ফেসপ্যাক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ:
- 2 টেবিল চামচ চালের গুড়া
- 2 টেবিল চামচ মসুর ডালের পাউডার
- একটি টেবিল চামচ দই
- আর্কেনট পাউডার বা লেমন রস (একটি চামচ)
ফেসপ্যাক তৈরির নির্দেশাবলী:
একটি পাত্রে চালের গুড়া ও মসুর ডালের পাউডার সমান পরিমাণে মিশিয়ে নিন এখন দই ও আর্কেনট পাউডার বা লেমন রস যোগ করুন।সমস্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটি স্মুদ পেস্ট তৈরি করুন।
মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা পাওয়া যায় কিন্তু এটি ধীরে ধীরে কাজ করে। নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনি মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হতে পারবেনঃ
মসুর ডালের ভিতরে অবশ্যই পরিমাণমতো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এটি মসুর ডালকে শিথিল করে ফেলে আরও ফর্সা এবং স্মুদ্র করবে।মসুর ডালটি সাধারণত ১ থেকে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি মসুর ডালের কঠিন সংযোগকে সাধারণত সহজে বিচলিত করবে এবং ফর্সা হবার সুযোগ দেবে।
ফর্সা করার পর মসুর ডালটি একটি মিক্সারে বা চাকুরি গ্রাইন্ডারে ভালো করে পেস্ট করুন। এটি স্মুদ ও হালকা হয়ে যাবে।এখন মসুর ডালের পাউডারটি চামচে নিতে পারেন এবং এর সাথে হালকা গোলাপ জল মিশিয়ে এটি পেস্ট তৈরি করবেন।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক উপকারিতা | মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন
মসুর ডাল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকের জন্য একটি সহজ এবং প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে পারে। নিম্নলিখিত হল কিছু মসুর ডালের ফেসপ্যাকের উপকারিতা।
১. ত্বক উজ্জ্বলতা: মসুর ডাল ফেসপ্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য উপকারী। এটি ত্বকের রঙকে বাড়িয়ে তুলে আনে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ও গ্লোয়ি করে।
২. ত্বকের শুদ্ধিকরণ: মসুর ডালের ফেসপ্যাক পরিষ্কার করে ত্বক থেকে মার্জিনাল কক্ষপথ, অপসারণ এবং মৃত কোষ সারিয়ে দেয়। এটি ত্বকের মালিন্য ও ব্রণ থেকে মুক্তি দিয়ে ত্বককে শীতল ও পরিষ্কার করে।
মসুর ডাল ও মধুর ফেসপ্যাক | মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন
মসুর ডাল ও মধুর ফেসপ্যাক একটি প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয় যা ত্বকের স্বাস্থ্যকর প্রভাব বিস্তারিত করতে সাহায্য করতে পারে। এই ফেসপ্যাকের ব্যবহার উপর নির্ভর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা, ত্বকের শুদ্ধিকরণ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা পাওয়া যায়।মসুর ডাল একটি সাধারণত ত্বকের পরিষ্কারকারী উপাদান হিসাবে প্রয়োজন।
আরো জানুনঃ লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায়
মুখের উজ্জ্বলতা বানাতে মসুর ডালের পেস্ট এবং মধু মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগাতে হবে। এছাড়াও মধুতে রয়েছে নিউট্রিশনাল উপাদান যা ত্বকের পুষ্ট পেতে সাহায্য করে। পেটি দৈনিক সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
কালো দাগে মসুর ডাল | মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন
কালো দাগ ত্বকে অপ্রীতিমূলক দেখা দিয়ে যায় এবং সাধারণত মেলানিন নামক পিগমেন্টের কারণে তৈরি হয়। মসুর ডাল একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা প্রদান করতে পারে।
মসুর ডালের পাউডার একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন এবং এটি কালো দাগে প্রয়োগ করতে পারেন। একটি সহজ উপায় হলো মসুর ডাল এর পাউডার তৈরি করা। আপনি মসুর ডালের পাউডার তৈরি করতে পারেন নিচে এই ধাপগুলি দেওয়া হল :
১ মসুর ডালের পাউডার তৈরি করতে মসুর ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর সেই পানি নিংড়ে নিয়ে সেটি আবার বাতাসে শুকাতে দিতে হবে। এরপর ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিলে মুসুর ডালের তৈরি হয়ে যাবে। এই পাউডারটি বইয়ামে রেখে কয়েক দিন সংরক্ষণ করতে পারবেন।
২ মুসুর ডালের গুঁড়ো এর সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকের কালো দাগের স্থানে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ত্বক ধোয়ার সময় হাত দিয়ে ৫ মিনিট ঘষতে হবে এভাবে সপ্তাহে দুইবার করলে দিয়ে দিলে ত্বকের কালো দাগ হয়ে যাবে
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url