সিম আবিষ্কার কে করেন

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সিম আবিষ্কার কে করেন। অনেকে জানেন না যে সিম আবিষ্কার কে করেছেন। তাই আপনাদের কাছে সকল তথ্য জানাবো সিম আবিষ্কার কে করেন এই সম্পর্কে।

সিম আবিষ্কার কে করেন

পোস্ট সূচিপত্রঃসিম আবিষ্কার কে করেন এবং এর সাথে আরো কিছু তথ্য তুলে ধরবো সিমের ব্যাপারে। আসলে এসব ব্যাপারে আমাদের সবারই অজানা। তাই আজকে আপনাদের জানাবো সীমা আবিষ্কার কে করেন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।

বিবরণ - সিম আবিষ্কার কে করেন

সিম আবিষ্কার হলো মোবাইল যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সিম শব্দটি Subscriber Identity Module এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি একটি চিপ বেশিরভাগ মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীকে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়।সিম কার্ড একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত চিপ বা কার্ড যা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর থেকে প্রদান করা হয়। সিম কার্ডটি মোবাইল ফোনের সাথে যুক্ত করা হয় এবং এটি ব্যবহারকারীর সংজ্ঞায়িত করে দেয়।

সিম কার্ডে প্রদত্ত তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে, যেমন সিম কার্ডের নম্বর, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের তথ্য, যে অঞ্চলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সক্রিয়করণের জন্য ব্যবহৃত সিম কার্ডের একটি কোড এবং সিম কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সময় ব্যবহৃত হয়।একজন ব্যবহারকারী সিম কার্ড পরিবর্তন করতে পারেন, অন্য নেটওয়ার্ক অপারেটরের সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারেন কিংবা একই নেটওয়ার্ক অপারেটরের মধ্যে সিম কার্ড পরিবর্তন করতে পারেন।

এই প্রক্রিয়াটি পুরানো সিম কার্ডটি বাতিল করে দেওয়া হয় এবং নতুন সিম কার্ডটি ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি সংজ্ঞায়িত করে দেয়।সিম আবিষ্কার হয়েছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল যোগাযোগ নিশ্চিত করতে এবং ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বর এবং নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করতে।

সিম আবিষ্কার মোবাইল যোগাযোগের ব্যাপারে একটি ব্রেকথ্রু হিসাবে বিবেচিত হয়। এর পরিধিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে এবং এটি আজকের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে স্থায়ী হয়েছে।

সিম কার্ড কি দিয়ে তৈরি

সিম কার্ড কোন প্রকারে তৈরি হয় সেটা বিষয়টি কেবলমাত্র সিম কার্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি দ্বারা নির্ধারিত হয়। সিম কার্ডে কার্যরত প্রযুক্তি ও কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজস্ব সিম কার্ড তৈরি করে থাকে। বিশেষত, সিম কার্ডে যে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়, সেটি একটি চিপে সংরক্ষণ করা হয়।

প্রতিটি সিম কার্ডে একটি চিপ রয়েছে যা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং ব্যবহারকারীর সংজ্ঞায়িত করে। এই চিপে কার্ডের তথ্য এবং ব্যবহারকারীর সংজ্ঞায়িত কোড সংরক্ষণ করা থাকে। যখন একটি মোবাইল ফোনে একটি সিম কার্ড ঢোকানো হয়, তখন ফোন ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করতে এবং নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করতে চিপে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে।

সিম আবিষ্কার কে করেন

সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন। এটি প্রথমে জার্মান সংস্থা তৈরি করেছিল। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল জিৎসেক এন্ড ডেভ্রিয়েন্ট। উক্ত কোম্পানির প্রধান কোয়ার্টারটি ছিল জার্মানির মিউনিখ শহরে। ১৯৯১ সালে বিশ্বের প্রথম সিম কার্ড কোম্পানি তৈরি করেছিল।

সিম কার্ড জিৎসেক ও ডেভ্রিয়েন্ট তৈরি করেন। কিন্তু প্রথমে তারা সিম কার্ড ব্যবহার করেননি। বরং পরিবর্তে অন্য দেশের ফিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি রেডিও নিলজা জিসেক এবং ডিভ্রিয়েন্টের কাছ থেকে সর্ব প্রথম ৩০০ সিম কার্ড করেছিলেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের বাজারে রানার বাইকের দাম ২০২৩

সর্বপ্রথম যে সিম কার্ড ব্যবহার করা হতো। সেই সিম কার্ডের কোন ধরণ ছিল না। সেই সময় ব্যবহার সিম কার্ডটি উপস্থিতিতে একটি এটিএম কার্ড এর মত ছিল। সেটি ধীরে ধীরে আকারে ছোট হয়ে যায় এবং তার নাম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৯৬ সালে মিনি সিম কার্ড বেশিরভাগ মোবাইলে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল।

তারপর ২০০৩ সালে, সিম কার্ডটিকে ছোট করে মাইক্রো সিম করা হয় এবং ২০১০ সালে অ্যাপল আইফোনে সিমটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। অ্যাপলের পরে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে মাইক্রো সিম ব্যবহার করা হয়। মাইক্রো সিমের পরে আরো একটি সিম আসে। সেই সিমটির নাম ন্যানো সিম কার্ড।

এরপর ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়ে, তৈরি হয় সব স্মার্টফোনের জন্য কয়েক ধরনের সিম কার্ড ব্যবহার করা শুরু হয়। আর বর্তমান সময়ে আমরা বাংলাদেশে, বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড গুলো ব্যবহার করতে পারছি। যেমন- বাংলালিংক, গ্রামীন, রবি, টেলিটক, এয়ারটেল সিম ইত্যাদি।

সিম এর কাজ কি?

সিম কার্ড (Subscriber Identity Module) মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করে এবং মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্কে সংযুক্তি স্থাপন করে। সিম কার্ডে একটি চিপ থাকে যা ব্যবহারকারীর সংজ্ঞায়িত করে ও নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।

সিম কার্ডের কাজ হলোঃ

ব্যবহারকারীর সনাক্তকরণ: সিম কার্ডে সংরক্ষিত সংখ্যা ও তথ্যের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সনাক্তকরণ সম্ভব হয়। এটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা যেমন IMEI (International Mobile Equipment Identity) নম্বর এবং ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করে থাকে।

নেটওয়ার্কে সংযোগ: সিম কার্ডে সংরক্ষিত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করে মোবাইল ফোনটিকে নেটওয়ার্কে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। এটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে ব্যবহারকারীকে কল করার সুবিধা, এসএমএস পাঠানো, ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রদান করে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল ঠান্ডা রাখার জন্য এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করুন

সুরক্ষা: সিম কার্ড একটি সুরক্ষামূলক প্রযুক্তি সরবরাহ করে। সিম কার্ডে থাকা তথ্য এনক্রিপ্ট করে থাকে যাতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে তা সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও, সিম কার্ড মাধ্যমে সনাক্তকৃত ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্ট তথ্য এবং অন্যান্য মৌলিক তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

এইভাবে, সিম কার্ডটি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদান করতে এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত এবং নেটওয়ার্ক সংযোগ সনাক্তকরণ এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত কার্য সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়।

আমার সিম কার নামে নিবন্ধিত  কিভাবে বুঝবো

সিম কার্ডের নিবন্ধন সাধারণত মোবাইল অপারেটর বা সিম আবিষ্কারকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হয়। আপনার সিম কার্ডের নিবন্ধনের তথ্য বিষয়টি আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে বুঝতে পারেন:

সিম কার্ডের পৃষ্ঠের লেবেল: সিম কার্ডের পৃষ্ঠে একটি লেবেল থাকতে পারে, যা মোবাইল অপারেটরের নাম বা ব্র্যান্ডের নাম প্রদর্শন করে। আপনি এই লেবেলটি দেখে সিম কার্ডের নিবন্ধন পরিচিতি সনাক্ত করতে পারেন৷

সিম কার্ড সাথে দেওয়া ডকুমেন্টগুলি: সিম কার্ড নিবন্ধনের সময় মোবাইল অপারেটর সাধারণত আপনকে কিছু ডকুমেন্ট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ডকুমেন্টগুলি হতে পারে ব্যক্তিগত আইডি প্রমাণপত্র (যেমন: পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স), ঠিকানা (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট), ছবি, স্বাক্ষর ইত্যাদি। আপনি সিম কার্ড নিবন্ধনের সময় দেওয়া ডকুমেন্টগুলি পর্যালোচনা করে সিম কার্ডের নিবন্ধন পরিচিতি সনাক্ত করতে পারেন।

নিবন্ধন বার্তা: সিম কার্ড নিবন্ধন করার সময় আপনি সাধারণত একটি নিবন্ধন বার্তা পাবেন। এই বার্তাটি মোবাইল অপারেটরের নাম বা ব্র্যান্ডের নাম প্রদর্শন করতে পারে।

উপরে উল্লিখিত উপায়ে আপনি আপনার সিম কার্ডের নিবন্ধন পরিচিতি সনাক্ত করতে পারবেন। যদি আপনি অনিশ্চিত হন বা সন্দেহভাজন হন, তবে সেবা প্রদানকারী মোবাইল অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য নিশ্চিত করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url