কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়

আমাদের জীবনে এমন কিছু সময় আছে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যখন আমাদের নির্দিষ্ট চাওয়া পূরণ করা ছাড়া আর বিকল্প কোন পথ সামনে খোলা থাকে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে মনের একান্ত কামনা বাসনা গুলোকে পূরণ করবার জন্য একটি বিশেষ পথ সেটি হল দোয়ার মাধ্যমে।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আজকের আলোচনায় রয়েছে কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয় এই বিষয় সম্পর্কে। আপনারা যারা মনের আশা আকাঙ্ক্ষা বিপদ-আপদ বালা মুসিবত থেকে রেহাই পেতে চান তারা অবশ্যই এই দোয়াগুলো বিশ্বাসের সহিতে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয় এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

মনের আশা পূরণের নামাজ

কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয় এখন আলোচনা হবে মনের আশা পূরণের নামাজ সম্পর্কে। কোন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। আশা পূরণের নামাজ হচ্ছে নিজের ইচ্ছা বা প্রয়োজনের কথা আল্লাহ তালার কাছে জানানো। বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে রক্ষা চাওয়া। এই নামাজকে বলা হয় সালাতুল হাজত। এ নামাজ থেকে বিপদ আপদ বালা মুসিবত এবং মনের আশা পূরণের জন্য একমাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় নেওয়া হয়।

আল্লাহ তাআলা কুরআনের মাধ্যমে বান্দাকে সাহায্য কামনা নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহতালার আরো এটাও বলেছেন তোমরা ধৈর্য সহকারে নামাজ পড়ো নিশ্চয়ই ধৈর্যের পর তোমরা পাবে। এক হাদীসে আছে নবী করীম (স) কোন প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। অন্যদিকে নবী (স) উম্মতকে নামাজ পড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনার শিক্ষা দিয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়লে কি হয়

তাই মুসলিম উম্মাহের কর্তব্য হলো যেকোনো বিপদের সম্মুখীন হলে অথবা মনের আশা পূরণের জন্য প্রথমে দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। সালাত অর্থ নামাজ এবং হাজত অর্থ মনের আশা তাই এই নামাজের নাম সালাতুল হজত।

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত নামাজ আদায়ের অন্য কোন নিয়ম নেই স্বাভাবিক অন্যান্য নফল নামাজের মতই। ওজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে সূরা ফাতেহা এবং অন্য যেকোনো সূরা মিলিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারেন চাইলে চার রাকাত ও পড়তে পারেন। নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার ছানা এবং হযরত মুহাম্মদ (স) এর উপর দুরুদ শরীর পাঠ করে আপনার মনের কথা বা আপনার প্রয়োজনীয় কথা আল্লাহর নিকট দোয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।

সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। সালাতুল নামাজ সব থেকে ভালো সময় হচ্ছে এশার নামাজের পর অথবা রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা তাহাজ্জুদের সময়। সালাতুল হাজত নামাজ নফল তাই যেকোনো ওয়াক্তে পড়তে পারেন।

রাসুল (স) এরশাদ বলেছেন, সমস্ত আমল নিদ্রুপ এর নির্ভরশীল তাই সালাতুল হাজত নামাজের জন্য নিয়ত অবশ্যক কিন্তু এই নিয়ত আপনি মনে মনে করতে পারেন যে আমি সালাতুল হাজতের নফল নামাজ আদায় করতেছি আল্লাহু আকবার।

হযরত আনাস (র) আনহু তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (স) বেশিরভাগ সময় সালাতুল হাজরত নামাজের শেষে এই দোয়াটি পড়তেন সালাতুল হাজত নামাজের শেষে এই দোয়াটি পড়তেন।

দোয়াঃ আল্লাহুম্মা রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র।

অর্থঃ হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাদের দুনিয়াতে মঙ্গল দিন এবং আখিরাতেও মঙ্গল দিন। জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

আল্লাহতালা আমাদের সকলকে সালাতুল হাজতের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে সমস্ত প্রকার বিপদ বালা মুসিবত ও মনের আশা পূরণের তৌফিক দান করুন।

মনের আশা পুরনের তাসবিহ

ইসমে আজম মানে হল মহান নাম। আল্লাহতালা ইসমে আজম এই নামের মাধ্যমে কোন কিছু চাওয়া হলে তিনি সেটা পূরণ করেন। ইসমে আজম সব থেকে বিশুদ্ধতম হাদীস হলো এটি। জিব্রাইল (র) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নামাজের মধ্যে কিছু বাক্য বলে উঠলেন নবী (স) তার কথাগুলো শুনলেন। তিনি যে ব্যক্ত বলে উঠলেন সেটি হল,

দোয়াঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা, বিআন্নি আশহাদু আন্নাক আংতাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহ'দুস সানাদ, আল্লাজি লাম ইয়ালাদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান আ'হাদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, এ মর্মে চেয়ে এজন্য যে এই ভিত্তিতে যে আমি সাক্ষ্য দেই আপনি আল্লাহ আপনি ছাড়া সত্যি কারের কোন মাবুদ নেই। আপনি কারো মুখাপেক্ষী নন, আপনি একক এবং আপনি কাউকে জন্ম দেন নি আপনাকেও কেউ জন্ম দেয় নি এবং আপনার সমকক্ষ কেউ হতে পারে না ।

তারে বাক্যগুলো শুনে নবী (স) বলেছিলেন, নিশ্চয়ই এই লোকটি ইসমে আজম পাঠ করেছে। ইসমে আজমের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে কোন কিছু তাহলে তিনি সেটা ফিরিয়ে দেন না। এর মাধ্যমে ডাকলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সারা দেন। এটি হলো সে দোয়া যেটাকে ইসমে আজম বলা হয়। মনের যে কোন ভালো আশা আল্লাহ তাআলা পূরণ করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী

এ বাক্যগুলো পাঠ করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে কোন চাওয়া পেশ করলে তিনি অবশ্যই সেটি পূরণ করেন। কেউ যদি অত্যন্ত সংক্ষেপে ইসমে আজম এর মাধ্যমে দোয়া করতে চান। তাহলে তিনি আল্লাহতালার প্রতি আন্তরিকতা, ভালোবাসা শ্রদ্ধ, বিশ্বাস, ভক্তি এবং ভরসা রেখে আল্লাহকে ডেকে ডেকে মায়া মমতার সাথে, আল্লাহর অনুগ্রহনের কথায় স্মরণ করে। আল্লাহকে ডেকে ডেকে মনের চাওয়া গুলো পূরণ করুন।

এটা হবে ইসমে আজমির ছোট ভার্শন আর যদি কারো হাতে সময় থাকে তাহলে তিনি উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করবেন, করে আল্লাহ তাআলার কাছে তার চাওয়া পাওয়া পেশ করবেন জীবনের কঠিন মুহূর্ত গুলো বিশেষ করে এই ইসমে আজম পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করব আল্লাহ তাআলা সেটি অবশ্যই পূরণ করবেন। দোয়া করার সময় যদি আমরা আন্তরিকতা ভক্তি ভরসা এবং হালাল পথে চলা হালালভাবে খাওয়া এসব যদি ঠিক থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা মনের আশা পূরণ করবেন অবশ্যই।

হতে দেরি হয় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার নিশ্চয়ই কল্যাণকর কিছু জিনিস রেখেছেন সেটি দেরি করে হলেও আপনার মনের আশা অবশ্যই পূরণ হবে। তার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য এবং এর সাথে আল্লাহতালা আপনার ধৈর্য পরীক্ষা নিতে পারেন। তবে আপনাকে মনে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ভরসা ভক্তি শ্রদ্ধা এইসবের মধ্যে কোন কিছু কমতি না হয়। এসব কথা মনে করে আল্লাহতালাকে বিনয়ী হয়ে স্মরণ করুন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার ডাকে দেবেন।

কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়

আমাদের মনের মধ্যে অনেক আশা আছে, অনেক স্বপ্ন লুকায়িত আছে। সে স্বপ্নটা পারছি না আমরা কোনভাবেই পূরণ করতে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অনেক দোয়া করেছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের মনের আশাটা পূর্ণ করছে না।এর একটাই কারণ আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুমগুলো ভালোভাবে আঞ্জাম দিতে পারছি না।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মেয়ের এর গোলামিটা আমরা ভালোভাবে করতে পারছি না।তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের গোলামীর পাশাপাশি আমরা যদি আজকের এই দোয়াটি করি তাহলে আমাদের মনের নেক আশা গুলো পূরণ করে দিবেন।দুই রাকাত নামাজ আপনি যেকোনো সময় আদায় করবেন।

নিয়ম হচ্ছেঃ প্রথম রাকাতের সূরা ফাতিহার পর সূরা কাফিরুন ১০ বার তিলাওয়াত করবেন। এরপর রুকুতে যাবেন নিয়মিতভাবে সিজদাহ করবেন। যেভাবে আমরা সচরাচর নামাজের সেজদাহ করি।

এরপর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ১০ বার তিলাওয়াত করবেন। এভাবে ধারাবাহিকভাবে নামাজ শেষ করবেন। নামাজের সালাম ফিরানোর পর একটি সিজদাহ দিবেন। সিজদায় গিয়ে "সুবহানাহ রাব্বিয়াল আলা" তিনবার পড়ার পর একটি দুরুদ শরীফ ১০ বার পাঠ করবেন।

আরো পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে কি হয়

সিজদাহ থেকে উঠে এরপর আরো কিছু সময় দরুদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর কাছে চাইবেন আপনার মনের যত চাওয়া আছে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রাব্বুল আলামিন আপনার মনের সকল আশা পূরণ করে দেবেন। যদি আপনি নিয়মিত এ নামাজটি পড়েন তাহলে আল্লাহ তায়ালা দ্রুত আপনার মনের আশা পূরণ করবেন ইনশাল্লাহ।

মনের আশা পূরণের জিকির

আজকের আলোচ্য বিষয় কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়। এখন জানবো মনের আশা পূরণের জিকির অথবা আমল। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করে। যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকণ্ঠিত। (সূরা মাআরিজ আয়াত ১৯ ২০)

তাই আল্লাহ রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। সর্ব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের চাদর সবসময় আমাদের আবৃত করে রাখেন। কোন কিছু প্রয়োজন হয় তখন আরো বেশি আল্লাহকে ডাকে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করে। বিপদে পড়লে বা কোন কিছু প্রয়োজন পরলে আমরা আল্লাহকে স্মরণ করি এবং আল্লাহকে ডাকি।

মানুষকে যখন দুঃখ জনক স্পর্শ করে, তখন সে শুয়ে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে আমাকে ডেকে থাকে। এরপর যখন আমি তার দুঃখ দৈন্য দূর করে দেই তখন সে এমন পথ অবলম্বন করে যেন দুঃখ দৈন্যের জন্য কখনোই সে আমাকে ডাকেনি। সীমা লংঘন কারীদের জন্য তাদের কাজ এভাবেই সভনিয় করে দেওয়া হয়েছে। (সূরা ইউনুস আয়াত ২২)

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সুন্দর নাম সমূহ থেকে তিনটির নাম আর রহমান, আর রাহিম, আস সামাদে। এই তিনটি নামে জিকির করে দু হাত তুলে মুনাজাত করে, দোয়া চাইলে ইনশাল্লাহ রাব্বুল আলামিন মনের দোয়া মনের আশা পূরণ করবেন এবং বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন। তবে কখন কিভাবে আমলকি করবেন সে সময়টি হল রাত্রি বেলায়।

আরো পড়ুনঃ ইস্তেখারার নামাজ পড়ার নিয়ম

তাই রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে, কারণ তখন দুনিয়ার সমস্ত সমস্যা থেকে মানুষ পেরেশানি থেকে মুক্ত থাকে তখন এই আমলটি করবেন। এ আর রহমানু ,ইয়া রাহিমু, ইয়া সামাদু এগুলো একশ বার অথবা তার থেকে বেশি জিকির করুন মনোযোগ দিয়ে তারপর দুহাত তুলে মোনাজাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর নিঠুর আপনার মনের চাওয়া পাওয়া গুলো বলুন।

ইনশাল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার মনের দোয়া, আশা পূরণ করবেন আপনি ধৈর্য সহকারে এই জিকির গুলো চালিয়ে যাবেন। দোয়া চেয়ে যাবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার জন্য সে দোয়াগুলো কল্যান মনে করেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তখনি আপনার দোয়াগুলো কবুল করবেন। কখনো নিরাশ হবেন না।

অবশ্যই দোয়ার আগেও পরে দুরুদ শরীফ পাঠ করে নিবেন। যেকোনো দোয়া কবুল হবার জন্য দরুদ শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইস্তেগফার করে দোয়ার প্রস্তুতি নিবেন। আস্তাগফিরুল্লাহ আহ্লাদী লা ইলাহা, ইল্লাহু হূওয়াল হাইয়ু্ল ক্যাইয়ূম ওয়া আতুবু ইলাইহি, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। এভাবেই ইস্তেগফার পড়ে, দুরুদ শরীফ পড়ে যখন আপনি জিকির করবেন আল্লাহ আপনার হাত ফিরিয়ে দেবেন না। আল্লাহ পাক সকলের মনের আশা পূরণ করুন এবং বেশি বেশি নেক আমল করুন।

আল্লাহর কোন নাম পড়লে মনের আশা পুরন হয়

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন, হে বান্দারা তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। (সূরা মুমিন আয়াত ৬০) আমাদের প্রভুকে ডাকো বিনম্র হয়ে একান্ত গোপনে (সূরা আরাফ ৭ঃ৫৫)

রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কতগুলো সুন্দর নাম রয়েছে সেগুলো দিয়ে তোমরা আল্লাহকে ডাকো এবং হাদিসে আরও বর্ণিত আছে দোয়ায় হলো ইবাদত। এই দোয়াগুলো দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবুল করা হয়। এগুলো দ্বারা কিছু চাইলে দিয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহর এই নামগুলো হল, ১ আল হাইয়্যু ২ আল কাইয়্যুম ৩ আল বাদীউ।

আরো পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ নামের ফজিলত ও আমল

বিভিন্ন হাদিসে আল্লাহ তাআলার কিছু গুণবাচক নামকে ইসমে আজম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ইসমে আজমের ফজিলত ও বর্ণনা করা হয়েছে। ইয়া জাল জালালী ওয়াল ইকরাম, অর্থাৎ মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী রাবেয়া ইবনু আমের (র) বলেন, আঃ সালাম বলেছেন তোমরা ইয়া জালজালালি ওয়ালিগ্রাম কে সর্বদা আকড়ে ধরে থাকবে। দোয়ায় বেশি বেশি বলবে।

ইয়া হাইয়্যু, ইয়া ক্বাইয়্যুমু, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া বাদীউ, ইয়া মান্নানু, এটি পাঁচটি ইসমে আজম আল্লাহর গুণবাচক নাম। এটি বেশি বেশি পড়ে মোনাজাত করবেন। আল্লাহ তাআলার নিকট আপনার মনের কথাগুলো বলবেন এবং বিশ্বাস রাখবেন যে ইনশাআল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করবেন। বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহ আপনার অবশ্যই দোয়া কবুল করবেন।

এভাবে দোয়া করে যাবেন প্রতিদিন যে কোন ফরজ নামাজের পর এই নামগুলি বেশি বেশি করে পড়বেন। কতবার করবেন তার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই, তবে বিজ্ঞ আলেমেরা বলে থাকেন, তিনবার পাঁচবার সাতবার এগারো বার ১০১ বার অর্থাৎ আপনার সময় অনুযায়ী বিজোড় সংখ্যায় পড়া উত্তম। তবে মনে রাখবেন দোয়া কবুলের জন্য শর্ত হলো আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে, আপনার দোয়া কবুল হবে ধীরে বা দ্রুত সময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url