শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন

আজকের আলোচনায় রয়েছে শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন।জন্মের পর শিশুর যখন প্রথম দাঁত বের হয় ঠিক সেই সময় থেকে শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে হয়।নতুন দাঁত ওঠার সময়ে অনেক শিশুরই ব্যথা হয় তখন মায়েরা শিশুর প্রতি বেশি কেয়ারিং হয়।এই সময়ে শিশুদের লালার পরিমাণ বেড়ে যায়। পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে বার বার তা মুছে দেওয়া দরকার।

শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন

পোস্ট সূচিপত্রঃএই সময়ে শিশুদের মধ্যে কামড়ানোর প্রবণতা বাড়ে এবং শিশুদের সে সময় দাঁতের মাড়িতে সুসসুরি পায়। তাই আজকের আলোচ্য বিষয় শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন।চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন।

বিবরণ / শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন

শিশুদের দাঁত বা "বেবি টুথ" হলো তাদের প্রারম্ভিক দাঁত যা তাদের শিশু স্বাস্থ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দাঁতগুলি সাধারণভাবে ৬ মাস থেকে শুরু হয় এবং প্রায় ১ থেকে দেড় বছর বয়সে পূর্ণ হয়। অনেকের আবার কম বেশি লাগতে পারে। বেবি টুথ একটি মুখের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গণ্য হয় এবং প্রারম্ভিক শিক্ষাদানের জন্য মৌখিক স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা করে।

ই দাঁতগুলির মধ্যে বিঘ্নিত প্রায়শই একটি স্থান ছাড়াই বৃদ্ধি পায়, যা পরে স্থায়ী দাঁতের জন্য স্থান প্রদান করে। শিশুর দাঁত স্থান বাঁচাতে সাহায্য করে এবং শিশুর বক্তৃতা ও ভাষার বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।বেবি টুথের দেখভাল একটি সঠিক মৌখিক স্বাস্থ্য প্রণালীর অংশ হওয়া উচিত।

শিশুদের মাতৃশিক্ষা অনুসারে, দাঁতগুলি নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে, মিউস ব্যবহার করতে হবে এবং সঠিক খাবার ও পানির সেবন করতে হবে। এছাড়া শিশুদের মৌখিক স্বাস্থ্যের যাবতীয় দেখভাল নিশ্চিত করতে মৌখিক চেকআপে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।শিশুর বেবি টুথ স্থানের উপর সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া উচিত যাতে তাদের প্রারম্ভিক মৌখিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা গুলি প্রতিষ্ঠিত দাঁতের আগমনে কোনো বাধা সৃষ্টি না করে।

শিশুর দুধের দাঁতের যত্ন

শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন এর সাথে শিশুর দুধের দাঁতের যত্ন।শিশুর শিশুর দাঁতের সঠিক দেখভাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের মৌখিক স্বাস্থ্য এবং সঠিক দাঁতের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। নিম্নলিখিত কিছু নির্দেশনা মেনে শিশুর দাঁতের যত্ন করতে পারেন পারবেন।

দৈনিক মৌখিক স্বাস্থ্য দেখভালঃ

  • যেদিন শিশুর দাঁত প্রথম দেখা যায় সেদিন থেকেই ওরাল কেয়ার শুরু করুন।
  • মৌলিক মৌখিক যত্ন হিসাবে দিনে দুবার ঋতু অনুসারে আপনার দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করুন।

সঠিক ব্রাশিং পদ্ধতিঃ

  • বেবি ব্রাশ ব্যবহার করে শিশুর দাঁত পর্যাপ্তভাবে পরিষ্কার করুন। ব্রাশটি মুখের সাথে উপরের থেকে নীচের দিকে একটি কোণে ধরে রাখতে হবে। হাতের চাপ ব্যবহার করে ম্যাসাজ করবেন না, ম্যাসেজটি অভিন্ন হওয়া উচিত নয়।

যত্ন সাথে খাবার ও পানিঃ

  • পছন্দের খাবারের পর শিশুকে পানি দিন যাতে বাকি খাবার পর্যাপ্তভাবে তৈরি করা যায়।
  • চিনিযুক্ত খাবারের পরে ঘন ঘন মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুনঃ পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়

পুষ্টিকর খাবারঃ

  • দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য শিশুর খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে তা নিশ্চিত করুন।
  • তীব্র মিষ্টি, ক্যান্ডি, চকলেট ইত্যাদি খাবারে সীমিত রাখুন।

মৌখিক চেকআপঃ

  • সঠিক মৌখিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শিশুকে নিয়মিতভাবে মৌখিক চেকআপে নিয়ে যান।
  • অবিরাম মৌখিক সমস্যা সমাধানের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। এই প্রস্তাবিত মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনগুলি অনুসরণ করা শিশুর শিশুর দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।

শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন

শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন যত্ন নেওয়া শুরু করার আগে, শিশুকে দাঁতের সঠিক দেখভালের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা দিন। এটি শিশুর মাতার পরিচিতির সাথে সম্পর্কিত হয়ে থাকে।শিশুর দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য মৌসুমী সময়ে দুই বার মৌখ ব্রাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের মৌখের ক্রিয়াশীলতা এবং বেবি টুথের স্থান সঞ্চয়ের জন্য সহায়ক।

বেবি ব্রাশ ব্যবহার করে সঠিক ব্রাশিং পদ্ধতি অনুসরণ করুন। দাঁতের পার্টিকে সাহায্য করে মুখের স্বাস্থ্য যত্নবান করার জন্য বেবি ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে।খাবারের পরে বেবি টুথের জন্য পানি ব্যবহার করুন। এটি খাবারের পরে দাঁতের লেগে থাকা খাবারগুলো পরিষ্কার করে ফেলে।শর্করা যুক্ত খাবারের পরে মুখ ধুয়ে দিন। এটি দাঁতের মধ্যে কাপড় বা স্পঞ্জের উপর মালিশ করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের হাত পা ঘামে কেন

মাঝেমধ্যে জিভে পরিষ্কার করে দেবেন। এর জন্য শিশুদের অনেক নরম ব্রাশ পাওয়া যায় সেই ব্রাশ দিয়ে দাঁত এবং জিভে পরিষ্কার করা যায়।যদি শিশুর বেবি টুথ দূর্বল বা অক্ষম হয়, তাদের বেবি টুথ এর জন্য যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তারা পরিষ্কার হতে বাধ্য হতে পারে এবং তাদের দূর্বল দাঁতের স্থান প্রস্তুতি করতে সাহায্য করতে পারে।

এই নির্দেশিত ভাবে যত্ন নিয়ে শিশুর দাঁতের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকে। প্রাথমিক দাঁতের স্বাস্থ্য দেখভাল যত্নশীলভাবে নেওয়া শিশুর মুখে স্বাস্থ্য এবং মৌখিক প্রতিরক্ষা উন্নত করার জন্য মহত্বপূর্ণ।

শিশুর দাঁত পড়ে যাওয়ার বয়স

শিশুর বেবি টুথ পড়ে যাওয়ার সময় সাধারণভাবে ৬ থেকে ৭ বছর বয়স হয়ে থাকে। এই বয়সে তাদের স্থায়ী দাঁত গড়ে আসার জন্য শিশুর দাঁত অধিকাংশই পড়ে যায়। তবে এটি শিশুর ব্যক্তিগত উন্নতি, আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য মুখের প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত হয়ে থাকে।আপনি শিশুর মুখের স্বাস্থ্য দেখভাল নিয়ে যত্নশীলভাবে সম্পর্কিত হোন, এবং স্থায়ী দাঁত আসার সময় তাদের সঠিক যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হন।

শেষ কথা / শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন

আজকের আলোচনার বিষয় ছিল শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন আশা করি পুরো বিষয়টি জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে ফ্রেন্ড ফ্রেন্ড ফ্যামিলির সঙ্গে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন। এতে করে তারা জানতে পারবে শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নেবেন এই বিষয়ে।

এ ব্যাপারে আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আর এই ধরনের আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি রেগুলার ঘুরে আসতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url