ফরজ গোসলের নিয়ম - ফরজ গোসলের দোয়া
বিবরণ / ফরজ গোসলের নিয়ম - ফরজ গোসলের দোয়া
অনেকে মনে করেন তিন দিন চার দিন গোসল না করে সেটাকে ফরজ গোসল হিসেবে করতে চান। গোসল ফরজ হয় শুধুমাত্র মেয়েরা থেকে পবিত্র হলে সন্তান প্রসবের সময় পরবর্তী যে ব্লাড বন্ধ হওয়ার পর সেখান থেকে পবিত্রতা হলে এবং নারী-পুরুষ উভয়ের বীর্যপাত হলে সহবাসের পর এই জায়গাগুলোতে গোসল করা ফরজ অবশ্যক।
এছাড়া এতদিন ধরে কেউ যদি গোসল না করে চার দিন পাঁচ দিন সাত দিন পর গোসল করে সেটাকে ফরজ গোসল বলে না। এরকম দীর্ঘ সময় গোসল না করে থাকা অনুচিত কারণ পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। ঘামের গন্ধ এবং শরীরের ময়লা ইত্যাদি দূর করার জন্য গোসল করা উচিত।
বিশেষ করে আমাদের মানুষের মাঝে চলাফেরা করতে হয় মসজিদের এবং অন্য কোথাও যেতে হয় এই কারণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার, না হলে শরীরে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফরজ গোসল কি
আজকের আলোচনা রয়েছে ফরয গোসলের নিয়ম এবং ফরয গোসল কি এই বিষয়ে।ফরয গোসল সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলেই জানি।ফরয গোসলকে ইসলাম শরিয়াতে পবিত্রতা হওয়াকে বলে এবং এটি আরবী শব্দ।নাপনারা যদি নাপাক থাকেন তাহলে অবশ্যই ফরয গোসল করতা হবে।
মাসিক হলে, বাচ্চা প্রসব করলে ও স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে এবং ছেলেদের হঠাৎ বীর্যপাত হলে তখন শরীর নাপাক থাকে। অনেক সময় মাসিক হলে গোসল করলে সেটাকে বলা হয় নিজের প্রতি যত্ন ও পরিষ্কার করা। আর ফরজ গোসলের নির্দিষ্ট একটা সময় আছে, যেমন মাসিক ভালো হলে তখন ফরজ গোসল করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়
অনেকে আবার বাচ্চা প্রসব করলে অথবা সহবাস করলে গোসল করে উঠে যায়। তখন তারা
মনে করে যে পবিত্র হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আসলে তা পবিত্র হয় নাই। শুধু
পরিষ্কারের জন্য গোসল হয়েছে। পবিত্রতার জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের জন্য
ফরজ গোসল রেখেছেন। তাই এ ফরজ গোসলের কিছু নিয়ম এবং দোয়া আছে সেগুলো মেনে গোসল
করলে সেই গোসলটা ফরজ হবে।
ফরজ গোসলের নিয়ম
আজকের আলোচনার বিষয় ফরজ গোসলের নিয়ম সম্পর্কে। অনেকেই জানেন না ফরজ
গোসলের নিয়ম। আবার অনেকেই মনে করেন যে গোসল করে নিলাম হয়ে গেল ফরজ গোসল এটা
কিন্তু হবে না। ফরজ গোসলের কিছু সহজ নিয়ম আছে যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
ফরজ গোসলের নিয়ম-
প্রথমে যে জায়গাতে নাপাক লেগেছে অথবা কাপড়ে নাপাক লেগেছে সেগুলো আগে ভালো
করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর হাতের কব্জি পর্যন্ত
তিনবার ধৌত করতে হবে এরপর তিনবার গড়গড়ি ও তিনবার নাকে পানি দিয়ে ধৌত
করতে হবে। এরপর তিনবার মুখমণ্ডল ধুয়ে আবার তিনবার দুই হাতের পর্যন্ত
ধুয়ে উপরে মাথা থেকে ধার পর্যন্ত ধৌত করে নামাতে হবে।
পা ধৌতো করবেন না, এর বদলে আপনি মগে করে অথবা ঝর্নাতে পুরো মাথায় শরীরে
পানি ঢেলে নিবেন তাহলে আপনার গোসল হয়ে গেল এরপর পা ধোবেন। এভাবে করলে আপনার
ফরজ গোসল হলো এবং অযুও হল।
যারা অনেকে এই সিস্টেমে করতে না চান তারা হলো যে জায়গাতে নাপাক লেগেছে শরীরে এবং কাপড়ে সেগুলো আগে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে সাবান দিয়ে। এরপর গরগরা করতে হবে যতদূর পর্যন্ত গলার ভেতরে পানি যায় ততদূর পর্যন্ত গরগরা করতে হবে। এরপর মাকে তিনবার পানি দিয়ে ধৌত করে পুরো শরীরে পানি ঢেলে গোসল করে নেবেন। তাহলে ফরজ গোসল হয়ে গেল।
আরো পড়ুনঃ যেসব আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়
একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে গোসল করলে আমাদের মুখের গলার ভেতরে পানি যায় না
এবং নাকে যায় না ও কানে যায় না। সেই জন্য ফরজ গোসলের এই নিয়মটা যে অযুর মতন
করে ফরজ গোসলটা করতে হয় তাহলে এখানে ওযু হয়ে গেল নামাজের জন্য আবার ফরজ গোসলও
হয়ে যায়। দুটো কাজ একসাথে হয়ে যায় এভাবে ফরজ গোসল করা হয়
ফরজ গোসলের দোয়া
نويت الغسل لرفع الجنابة –
উচ্চারণঃ- নাওয়াইতুল্ গোস্লা লিরাইল জানাবাতি ।
অর্থ:আমি ‘জানাবাত’ হইতে পাক হওয়ার জন্য গোসল করিতেছি।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ অর্থাৎ দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি’ বলা।
শেষ আলোচনা / ফরজ গোসলের নিয়ম - ফরজ গোসলের দোয়া
প্রিয়, পাঠক এতক্ষণ আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে ফরজ গোসলের নিয়ম এবং ফরজ
গোসলের দোয়া সম্পর্কে। আশা করি জেনে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং আপনাদের
ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলিদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে জানাতে সাহায্য
করুন ফরজ গোসলের নিয়ম সম্পর্কে। আর আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন কারণ আমাদের
ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের
পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url