গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী
আজকের আলোচ্য বিষয় গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী। অনেকেই এ ব্যাপারে জানতে চান আবার অনেকে সঠিকটা জানেন না। তাই আপনাদের জন্য সঠিক বিষয় নিয়ে এসেছি গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী। জানতে চান গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি।
পোস্ট সূচিপত্রঃইসলামের শরিয়াতে আমরা কম বেশি সবাই জানি যে পবিত্রতা হতে হলে ফরজ গোসল করা অত্যন্ত আবশ্যক। গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী এই সম্পর্কে সকল মুসলিমদের জানা খুবই জরুরী। সুবিধার্থে গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
বিবরণ / গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী
ফরজ গোসল সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম, আমাদের অপবিত্রতা দূর করার জন্য গোসল করার তাগিদ দিয়েছেন।ইসলামি শরিয়তের পবিত্রতা অর্জন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে গোসল করা।কিন্তু যেমন তেমনভাবে গোসল করলে হবে না।
ইসলাম ধর্মে গোসলের কিছু ফরজ রয়েছে যেগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে যদি আপনি পাক পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করতে চান।কুরআন শরীফে, বলা হয়েছে আল্লাহ পাক পবিত্রতা লোকদেরকে ভালবাসেন। বিশ্বনবী, বলেছেন পাক পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।
গোসল শব্দের অর্থ হলো পুরো শরীরকে ধোঁয়া। শরীরের পবিত্রতা অর্জনের জন্য তিনটি পদ্ধতিতে গোসল খরচ হয়ে থাকে।নিয়মিত গোসল করলে শরীরের ঘাম দূর্গন্ধ থাকে না। গোসল করলে শরীর ভালো থাকে মন ভালো থাকে এবং যেকোনো কাজে মন বসে এবং ঘুম আসে সহজে।
গোসলের ফরজ হওয়ার কারণ
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব গোসল ফরজ হওয়ার কারণ। কি কি কারণে গোসল ফরজ
হয়েছে এই সম্পর্কে।
বীর্য ও মযীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যৌন কাজের মুহূর্তে অথবা ঘুমানোর
অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে যে শক্ত সাদা বর্ণের মতো পানি বের হয় তা হলো বীর্য।
পুরুষাঙ্গের উত্তেজনা ভাবধারা অথবা স্ত্রীর লোককে চুম্বন করার কারণে অথবা
স্ত্রী লোকের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে পানির মত যে বস্তু বেরিয়ে আসে তা হলো
মযী। বীর্য বের হলে গোসল করা ওয়াজিব বা অবশ্যক হয়ে যায়। এবং মুযী বের হলে
গোসল করা অবশ্যক হয় না, তবে ওযু ভেঙে যাবে।
মেয়েদের যখন মাসিক স্রাব শেষ হওয়ার পর যখন রক্ত বন্ধ হয়ে যায় তখন গোসল করা
ফরজ হয়। মেয়েদের নেভাসের রক্তচাপ বন্ধ হয়ে গেলে পাক পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল
ফরজ হয়।
গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী
ফরজ গোসলের ফরজ নয়টি, যথাঃ
১. গোসলের নিয়ত করবেন বিসমিল্লাহ বলে গোসল শুরু করবেন।
২. দুহাত কব্জি পর্যন্ত ধোঁয়া। (বুখারী ২৪৮)
৩. পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা। (বুখারী ২৫৭)
৪. বাম হাত ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া। (বুখারী ২৬৬)
৫. নামাজের ওযুর মতো পরিপূর্ণভাবে ওযু করা। এক্ষেত্রে পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে। (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)
৬. মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালোভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো। (বুখারী ২৪৮)
৭. পুরো শরীরে পানি ঢালা প্রথমে ডানে তিনবার, বামে তিন বার, মাথার উপর তিনবার। (বুখারী ১৪৮)
৮. যেন কোন শরীরের অংশ শুকনা না থাকে। পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি অবশ্যই ঢালতে হবে।
৯. গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দু পা ধোয়া। (বুখারী ২৫৭)
মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয়
আজকের আলোচনায় গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী এখন আমরা জানবো মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয় এ বিষয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয় এই সম্পর্কে।
১ কোন মহিলা বা মেয়েদের উত্তেজনার সাথে সাদা স্রাব বের হয় তাহলে তার গোসল ফরজ হবে।
২ কোন মহিলার সহবাসের সময় কোন পুরুষের লিঙ্গ মেয়েদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করলে এর দ্বারা গোসল ফরজ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ যিনা কাকে বলে এবং যিনা থেকে বাঁচার দোয়া
৩ মেয়েদের মাসিক যখন হয় সেই মাসি ভালো হয়ে যাবার পর তাদের গোসল ফরজ হয়।
৪ মেয়েদের নেপাশে যখন রক্ত বন্ধ হয়ে যায় তখন গোসল ফরজ হয়ে যায়।
৫ বাচ্চা প্রসব করলে তখন মেয়েদের অনেক রক্তপাত হয় সেই রক্ত চল্লিশ দিন বা তার বেশি থাকে। এরপর যখন ভালো হয়ে যাত তখন তার গোসল ফরয হয়।
শেষ কথা - গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী
আজকে আপনাদের সাথে গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী শেয়ার করা হলো আশা করি এর নিয়ম গুলো জেনে আপনাদের অনেক উপকার হলো। বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করে তাদের জানানোর সুযোগ করে দিন গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী। এ বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি রেগুলার ভিজিট করুন কারণ
আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার
জন্য আমাদের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url