ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস - ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি

প্রতিটি মুসলমানদের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি হল ঈদের দিন। কারণ এই দিনে রাসূল জন্মেছিলেন তাই এই দিনটিকে ঘিরে প্রত্যেক মুসলমান আনন্দের সহীতে উদযাপন করে।এই দিনে শুধু নামাজ ও দোয়া দরুদ পাঠ করতে। এরপর এই দিনটিকে ঘিরে অনেক আনন্দে উদযাপন করে থাকে। এই দিনে নবীজির স্লোগান এবং শান বয়ান করেন এবং নবীজি তার উম্মতের জন্য কি করেছেন সেটা বয়ানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস - ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই এই দিনটিকে ঘিরে প্রতিটা মুসলমানের কাছে ঈদ। তারা এই পৃথিবীর বুকে নবীজীকে পেয়েছেন সেই সেই দিনটিকে ঘিরে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ঈদে মিলাদুন্নবী ইতিহাস ও ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কত।

ঈদে মিলাদুন্নবী কি

মিলাদুন্নবী ঈদ হলো মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় উপলক্ষ বা মিলাদ উপলক্ষ যেখানে মুসলিমদের প্রধান লক্ষ্য হলো প্রফেট মোহাম্মদ (সা:) এর জন্ম ও তার জীবনের মহত্ত্বপূর্ণ ঘটনা স্মরণ করা। এই উপলক্ষটি প্রধানত ইসলামিক ক্যালেন্ডারের রবী আউয়াল মাসে পালিত হয়, যা প্রফেট মোহাম্মদ (সা:) এর জন্মদিনে পর্যাপ্ত আদরে উদযাপিত হয়।

মিলাদুন্নবী ঈদে মুসলিমদের মধ্যে প্রপ্রোফেট মোহাম্মদ (সা:) এর জন্মদিন স্মরণ করার এবং তার জীবনের কাজের উদ্বিগ্নতা দেওয়ার একটি মৌলিক উপলক্ষ। এই দিনে মুসলিমদের মধ্যে বিশেষ আদরে প্রশংসা করা হয়, আল-কুরআনের পাঠ ও ধর্মীয় গতির উদ্যাপন করা হয়। মসজিদে মুসলিমদের সমুদ্রিক সমাগম হয় এবং ইসলামিক ধর্ম ও সামাজিক মেলবন্ধনের সুযোগ পেয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি থাকে

এই উপলক্ষটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে পালিত হতে পারে এবং প্রধানত একটি ধার্মিক উপলক্ষ হিসেবে মন্না হয়। কোন দেশে এই দিনে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা দান-সাদকা দেওয়ার জন্য তাদের সময় এবং আস্থা সরবরাহ করে।

ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি

ঈদে মিলাদুন্নবী অনেক গুরুত্ব ইসলাম ধর্মে। ঈদে মিলাদুন্নবী এই দিনে নবী জন্মেছিলেন। অনেক মানুষ আছেন যে নিজের অথবা আপনজনদের জন্মদিন পালন করেন। তাহলে আমরা এই দিনটাকে কেন পালন করব না, এই দিনকে ঘিরে অনেক আনন্দ উদযাপন, গজল এবং নবীর নাম নিয়ে কিছু দোয়া খায়ের করা হয়। এই দিনকে ঘিরে প্রতিটা মুসলমানের জন্য ঈদের দিন।

তাই এই দিনকে ঘিরে আমরা উদযাপন করব সকলেই। এটা নবীর ভালোবাসার মাহফিল, এখানে ঢোল বাজায় না, বাদ্য বাজায় না এখানে নবীর মহব্বতে দাঁড়িয়ে সালাম জানানো হয়। কিন্তু আজকাল অনেকে আছে ঈদুল মিলাদুন্নবী নামে ভন্ডমি বের হয়েছে। তাই বছরে একদিন নবীর নাম নিয়ে খুশি উদযাপন করা হয়। জন্ম না হলে রাসূল কে পেতাম কিভাবে।

আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়

আল্লাহর রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন এর চেয়ে বড় খুশি আর কি হবে। এর জন্য সবাই ঈদ পালন করে এই দিনে। প্রতিবছরই এই দিনের ইসলাম ধর্মে ঈদে মিলাদুন্নবী দিন হয়। এই দিনটি মুসলিমদের জন্য অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটিকে ঘিরে আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি এবং এর গুরুত্ব টা কত বেশি।

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় কেন

অনেকে জানতে চান ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় কেন। কারণ এই দিনে আমাদের নবী পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই এই দিনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য ঈদ। তাই এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়। নবীর যদি জন্ম না হতো তাহলে আমরা তাকে কিভাবে পেতাম। তাকে পেয়েছি বলে নবীর নামে জোরে জোরে স্লোগান বলে হয় এবং তার নামে শান বয়ান করা এবং নবী বক্তৃতা কেন আসছে তা বক্তৃতার মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।

নবীজী উম্মতের জন্য যা করেছেন তা বর্ণনা করা। অনেক মুসলমান মনে করেন মাত্র দুটি ঈদ আছে। কিন্তু প্রত্যেক জুম্মার দিনই ঈদের দিন নয়। আর এই দিনে নবীজির জন্ম হয়েছে, তাই ঈদের দিন। এই দিনটিতে সকাল বেলা সব মুসলমান একসাথে হয়ে আনন্দ উদযাপন করে এবং নবীর নামে জোরে জোরে স্লোগান বয়ান করে এবং নবীজির শান বয়ান নবী আমাদের জন্য কী করেছেন তা বর্ণনার মাধ্যমে বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ যেসব আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়

আবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোয়া ও দুরূদপাঠ, মিলাদ ইত্যাদি এই দিনে চারপাশে যত দোয়া পড়ে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। শুধু একদিন কেন প্রয়োজন পড়লে পুরা মাস ধরে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকবে এটাই মুসলিমদের ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে। তবে সেটা তো হওয়ার নয় এই একটা দিনকে ঘিরে মুসলমানদের কাছে ঈদের দিন এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ঈদে মিলাদুন্নবীর পালন করা হয় কেন এই বিষয়ে।

ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস

১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর রবিউল আউয়াল মাসের 12 তারিখে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এই মাসে বিশ্বনবীকে পদপন দেওয়া হয়েছে, পিছিয়ে এসেছেন বলে আমাদের জন্য এ মাস খুশির মাস।৬০০ বছর পর্যন্ত ঈদে মিলাদুন্নবী ছিল না। ইরাকের মুসলিম শহরে আবু সাঈদ মুজাফফর সর্বপ্রথম দেখল মানুষ খ্রিষ্টানরা তাদের নবী ঈসা নবীর জন্মদিন পালন করে। তখন সে চিন্তা করল আমিও যদি আমাদের প্রিয় নবীর জন্মদিন পালন করি এটাতো মহা ভালো ব্যাপার।

ওর নামের এক হুজুরকে ঠিক করে ছিল, সেই কে বলে যে হুজুর আমি দুনিয়ার মধ্যে মনের জন্মদিন পালন করবো কিন্তু কেউ পালন করবে না। আপনি যদি একবার বলেন সবাই মিছিল নিয়ে পালন করবে। তারপর রুমের মাসের ১২ তারিখের আগ থেকে অর্থাৎ সব মহরম মাস থেকে আয়োজন করা শুরু হতো। ম্বুজ বানানো হয় পাঁচ তলায় বিশিষ্ট গম্বুজ ওই গম্বুজের মধ্যে বাদশা বসবে। ত্রিশ হাজার হালুয়ার প্লেট তৈরি করা হয়, দশ হাজার মুরগির ভুনা তৈরি করা হয়।

আরো পড়ুনঃ ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়লে কি হয়

এরপর ১২ রবিউল আউয়াল চাঁদ পালন করা হয় চমক। আজকের এই দিনে নবীজি আমাদের মাঝে এসেছিলেন, তাই আমরা অনেক স্মৃতি নিয়ে এই দিনটি উদযাপন করি। এই দিন প্রত্যেক মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে দোয়া জিকির আজগার দান সদকাহ মিলদ ইত্যাদি এগুলো রাতে করা হয়ে থাকে। দিনে জাসনে জুলুসে নবীজির ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়।

শেষ কথা / ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস - ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি

আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি এ বিষয়ে আশাকরি জেনে আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। ফ্রেন্ড এন্ড ফ্যামিলির মাঝে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন এতে করে তারাও এ বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারবে যে ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস ও ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি এই সম্পর্কে।

আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।এরকম গুরুত্বপূর্ণ আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ঘুরে দেখতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url