মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মুলতানি মাটির যে কতগুলো গুণ রয়েছে এ বিষয়ে অনেকেরই অজানা। তাই আজকে আপনাদের জানাবো মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। এর সাথে আরো কিছু থাকলে মুলতানি মাটি কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং ফুলদানি মাটি দিয়ে ত্বকের যত্ন ইত্যাদি আরও কিছু বিষয় রয়েছে।

মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

পোস্ট সূচিপত্রঃসুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় পুরো বিষয়টি ভালো করে বুঝে নিন এবং আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে সেভাবে ইউজ করুন তাহলে আপনাকে ভেতর থেকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও ফর্সা করবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

ভূমিকা: মুলতানি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মুলদানি মাটি একটি প্রাকৃতিক প্রসাধনী পণ্য যা অনেক প্রসাধনী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। আমরা কমবেশি অনেকেই জানি যে মুলতানি মাটি প্রাকৃতিক। বাইরের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পণ্য ব্যবহার না করেই ঘরে বসে প্রাকৃতিকভাবে নিজেকে উজ্জ্বল করতে চায় সবাই।

মুলতানি মিটি ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। যাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তাদের জন্য এটি তেল দূর করতে এবং ব্রণ কমাতে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের কাছে ত্বককে নরম ও টানটান করে এবং যেকোনো পিগমেন্টেশন এবং রোদে পোড়া দূর করে।

মেছতা ও ব্রণের এবং স্কিনের যতগুলো দাগ আছে সেগুলো দূর করবে। অনেকেই জানেন না মুলতানি মাটির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। অনেকেই আছে স্কিনে অনেক সমস্যার জন্য ডিফারেন্ট ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। তাই আজ আপনাদের জানাবো মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।

মুলতানি মাটি দিয়ে ত্বকের যত্ন

মুলতানি মাটি দিয়ে ত্বকের যত্ন আজকে আপনাদের কিছু মুলতানি মাটি দিয়ে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে জানাবো।

১ অয়েল কন্ট্রোলের জন্য যারা ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে চান তারা মুলতানি মাটির গুড়ো এবং এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আপনার স্কিনে লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবে তাহলে আপনার স্কিনে পেস্ট ব্যালেন্সটাকে ঠিক রাখবে। মৃত কোষ গুলো আপনাদের স্কিন থেকে রিমুভ করবে এবং পাশাপাশি আপনার স্কিন টাকে সফট করবে।

২ মুলতানি মাটি দিয়ে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। মুলতানি মাটির সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ভিতর থেকে জ্বলজ্বল করছে।

৩ যাদের মুখে ব্রণ বা ব্রণের দাগ আছে তারা মুলদানি মাটির সাথে টমেটোর রস মিশিয়ে ১৫ মিনিট পর ত্বকে ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাকটি মুছে ফেলতে পারেন। দেখবেন চোখের কালো দাগ বা মুখের যেকোনো দাগ, রোদে পোড়া দাগ চলে যাবে।

আরো পড়ুনঃ চন্দন পাউডার ব্যবহারের নিয়ম

৪ আর যারা আইসক্রিমটাকে ভেতর থেকে ব্রাইটিং করতে চান তারা মুলতানি মাটির সঙ্গে মধু এবং দুধের সর মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করার পর দশ মিনিট পর সুন্দর করে ধুয়ে ফেলবেন দেখবেন কতটা গ্লোয়িং এবং সুন্দর হয়। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন।

৫ যাদের স্কিন টা ঝুলে যাচ্ছে বা কুচকিয়ে যাচ্ছে তারা মুলতানি মাটির সঙ্গে চন্দন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। যাদের স্ক্রিনে এন্টি এজেন্সের প্রবলেম এ আছে যা চান ভালো একটি ক্রিম তারা চাইলে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

মুলতানি মাটি কি প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে

আজকের আলোচ্য বিষয় মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। এখন আপনাদের জানাবো মুলতানি মাটি কি প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে এই বিষয়ে। মুলতানি মাটি হলো আমরা অনেকেই জানি প্রাকৃতিক উপকরণ। তাই এটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হবে না। তবে আপনি গোসলের সময় সাবান ব্যবহার না করে পুরো শরীরে মুলতানি মাটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ এলোভেরা দিয়ে ত্বকের যত্ন

আর মুখের স্কিনের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি দুই দিন পর পর ব্যবহার করাই ভালো। কারন মুখের স্ক্রিন অনেক নরম ও পাতলা হয়ে থাকে। মুখে যখন মুলতানি মাটি ব্যবহার করবেন তখন মুখ ধোয়ার সময় হাত দিয়ে ত্বকটাকে ঘষে ঘষে সে মাটিগুলো তুলতে হবে। তাহলে ভিতর থেকে পরিষ্কার হবে ও মৃত কোষগুলো বেরিয়ে যাবে এবং অয়েলি ভাব দূর হবে।

মুলতানি মাটি চেনার উপায়

মুলতানি মাটি চেনার উপায় মূলত একটি মৌলিক মাটি পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই সহজ পদক্ষেপগুলির মধ্যে কয়েকটি অন্তর্ভুক্তঃ

মুলতানি মাটি সনাক্ত করার প্রথম এবং সহজ উপায় হল চাক্ষুষ পরীক্ষা। মাটির রঙ এবং গঠন দেখুন। মুলতানি কাদামাটি সাধারণত ফ্যাকাশে সাদা বা ক্রিম রঙের হয় এবং খুব সূক্ষ্ম, গুঁড়া টেক্সচার থাকে। এটি তার মসৃণ এবং নরম অনুভূতির জন্য পরিচিত।

মুলতানি মাটিতে এঁটেল উপাদান বেশি থাকে। আপনি আপনার হাতে একটি ছোট পরিমাণ মাটি নিতে পারেন এবং একটি বল গঠন করার চেষ্টা করতে পারেন। যদি মাটি সহজে একটি বল তৈরি করে এবং ভেজা অবস্থায় আঠালো বোধ করে, তবে এটি একটি উচ্চ কাদামাটির উপাদান নির্দেশ করতে পারে, যা মুলতানি মাটির বৈশিষ্ট্য।

মুলতানি মাটি তার ব্যতিক্রমী শোষণকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জল এবং অন্যান্য তরল শোষণ করতে পারে। আপনি জলের সাথে অল্প পরিমাণ মাটি মিশিয়ে এবং এটি কত দ্রুত জল শোষণ করে এবং একটি পেস্টে পরিণত হয় তা পর্যবেক্ষণ করে এটি পরীক্ষা করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ হাত পায়ের যত্ন নেওয়া ঘরোয়া ভাবে

মুলতানি মাটির একটি স্বতন্ত্র মাটির গন্ধ রয়েছে, যা প্রায়শই মনোরম এবং প্রাকৃতিক হিসাবে বর্ণনা করা হয়। যাইহোক, আমি মাটির স্বাদ নেওয়ার পরামর্শ দিই না, কারণ এতে অমেধ্য বা দূষক থাকতে পারে।আপনি যদি আরও সুনির্দিষ্ট সনাক্ত করতে চান তবে আপনি মাটিতে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে পারেন।

 এই পরীক্ষাগুলিতে পিএইচ পরীক্ষা, রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ এবং কাদামাটির সামগ্রীর জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। একটি মৃত্তিকা পরীক্ষাগার বা মৃত্তিকা বিজ্ঞানীর সাথে পরামর্শ করা এই পরীক্ষাগুলিতে সাহায্য করতে পারে।

মুলতানি মাটিতে মন্টমোরিলোনাইট এবং বেন্টোনাইটের মতো খনিজ রয়েছে, যা এর অনন্য বৈশিষ্ট্যে অবদান রাখে। আপনার যদি বিশেষ সরঞ্জাম বা ভূতাত্ত্বিকের অ্যাক্সেস থাকে তবে তারা মাটিতে এই খনিজগুলি সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারে।

মুলতানি মাটি সহ যেকোন মাটি পরিচালনা ও পরীক্ষা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য, কারণ এতে অমেধ্য বা দূষক থাকতে পারে। আপনার যদি মাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট এবং ব্যাপক তথ্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে একজন মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ বা মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url