সূরা ওয়াকিয়া আরবি এবং বাংলার উচ্চারণ অর্থসহ
সূরা ওয়াকিয়া হলো পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে ৫৬ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এই সূরার মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ সুরাটি রয়েছে বিশেষ বরকতময় এবং ফজিলত পূর্ণ সূরা। এই সুরাটি ভালোভাবে মুখস্ত করে নিজের মধ্যে ধারণ করুন এতে করে এই সূরাটির মাধ্যমে আপনারা আমল করতে পারবেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে সূরা ওয়াকিয়া আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ তুলে ধরা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃআমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজ করে থাকি সে কাজের ফাঁকে যদি আমরা কিছু সময় বের করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পথে ব্যয় করি। তাহলে আমাদের জীবনটা অনেক সুন্দর হবে। তাই আমরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে চেষ্টা করব আমল করার। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যায় সূরা আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ নিচে দেওয়া হল।
সূরা ওয়াকিয়া আরবি
এই সূরাটি হলো মর্যাদাপূর্ণ সূরা। আপনারা যারা আরবিতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করতে চান তারা প্রথমে অন্য যেকোনো সুরা পাঠ করে নেবেন এরপর সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবেন। আমরা অনেকেই জানি যে আরবীতে পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর নেকি দান করেন। প্রতিদিন এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা আপনার আমলনামায় আরো উচ্চ মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সূরা ওয়াকিয়া আরবিতে উল্লেখ করা হলো-
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(১) إِذَا وَقَعَتِ ٱلْوَاقِعَةُ(২) لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ(৩) خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ(৪) إِذَا رُجَّتِ ٱلْأَرْضُ رَجًّا(৫) وَبُسَّتِ ٱلْجِبَالُ بَسًّا(৬) فَكَانَتْ هَبَآءً مُّنۢبَثًّا(৭) وَكُنتُمْ أَزْوَٰجًا ثَلَٰثَةً(৮) فَأَصْحَٰبُ ٱلْمَيْمَنَةِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلْمَيْمَنَةِ(৯) وَأَصْحَٰبُ ٱلْمَشْـَٔمَةِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلْمَشْـَٔمَةِ(১০) وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلسَّٰبِقُونَ(১১) أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلْمُقَرَّبُونَ(১২) فِى جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ(১৩) ثُلَّةٌ مِّنَ ٱلْأَوَّلِينَ(১৪) وَقَلِيلٌ مِّنَ ٱلْءَاخِرِينَ(১৫) عَلَىٰ سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ(১৬) مُّتَّكِـِٔينَ عَلَيْهَا مُتَقَٰبِلِينَ(১৭) يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَٰنٌ مُّخَلَّدُونَ(১৮) بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ(১৯) لَّا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ(২০) وَفَٰكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ(২১) وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ(২২) وَحُورٌ عِينٌ(২৩) كَأَمْثَٰلِ ٱللُّؤْلُؤِ ٱلْمَكْنُونِ(২৪) جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ(২৫) لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا(২৬) إِلَّا قِيلًا سَلَٰمًا سَلَٰمًا(২৭) وَأَصْحَٰبُ ٱلْيَمِينِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلْيَمِينِ(২৮) فِى سِدْرٍ مَّخْضُودٍ
(২৯) وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ(৩০) وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ(৩১) وَمَآءٍ مَّسْكُوبٍ(৩২) وَفَٰكِهَةٍ كَثِيرَةٍ(৩৩) لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ(৩৪) وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ(৩৫) إِنَّآ أَنشَأْنَٰهُنَّ إِنشَآءً(৩৬) فَجَعَلْنَٰهُنَّ أَبْكَارًا(৩৭) عُرُبًا أَتْرَابًا(৩৮) لِّأَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ(৩৯) ثُلَّةٌ مِّنَ ٱلْأَوَّلِينَ(৪০) وَثُلَّةٌ مِّنَ ٱلْءَاخِرِينَ(৪১) وَأَصْحَٰبُ ٱلشِّمَالِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلشِّمَالِ(৪২) فِى سَمُومٍ وَحَمِيمٍ(৪৩) وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ(৪৪) لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ(৪৫) إِنَّهُمْ كَانُوا۟ قَبْلَ ذَٰلِكَ مُتْرَفِينَ(৪৬) وَكَانُوا۟ يُصِرُّونَ عَلَى ٱلْحِنثِ ٱلْعَظِيمِ(৪৭) وَكَانُوا۟ يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَٰمًا أَءِنَّا لَمَبْعُوثُونَ(৪৮)أَوَءَابَآؤُنَا ٱلْأَوَّلُونَ(৪৯) قُلْ إِنَّ ٱلْأَوَّلِينَ وَٱلْءَاخِرِينَ(৫০) لَمَجْمُوعُونَ إِلَىٰ مِيقَٰتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ(৫১) ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا ٱلضَّآلُّونَ ٱلْمُكَذِّبُونَ(৫২) لَءَاكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ(৫৩) فَمَالِـُٔونَ مِنْهَا ٱلْبُطُونَ(৫৪) فَشَٰرِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ ٱلْحَمِيمِ(৫৫) فَشَٰرِبُونَ شُرْبَ ٱلْهِيمِ
আরো পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কি
(৫৬) هَٰذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ ٱلدِّينِ(৫৭) نَحْنُ خَلَقْنَٰكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ(৫৮) أَفَرَءَيْتُم مَّا تُمْنُونَ(৫৯) ءَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُۥٓ أَمْ نَحْنُ ٱلْخَٰلِقُونَ(৬০) نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ ٱلْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ(৬১) عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَٰلَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِى مَا لَا تَعْلَمُونَ(৬২) وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ ٱلنَّشْأَةَ ٱلْأُولَىٰ فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ(৬৩) أَفَرَءَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ(৬৪) ءَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُۥٓ أَمْ نَحْنُ ٱلزَّٰرِعُونَ(৬৫) لَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَٰهُ حُطَٰمًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ(৬৬) إِنَّا لَمُغْرَمُونَ(৬৭) بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ(৬৮) أَفَرَءَيْتُمُ ٱلْمَآءَ ٱلَّذِى تَشْرَبُونَ(৬৯) ءَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ ٱلْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ ٱلْمُنزِلُونَ(৭০) لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنَٰهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ(৭১) أَفَرَءَيْتُمُ ٱلنَّارَ ٱلَّتِى تُورُونَ(৭২) ءَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَآ أَمْ نَحْنُ ٱلْمُنشِـُٔونَ(৭৩) نَحْنُ جَعَلْنَٰهَا تَذْكِرَةً وَمَتَٰعًا لِّلْمُقْوِينَ(৭৪) فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ(৭৫) فَلَآ أُقْسِمُ بِمَوَٰقِعِ ٱلنُّجُومِ(৭৬) وَإِنَّهُۥ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ(৭৭) إِنَّهُۥ لَقُرْءَانٌ كَرِيمٌ
(৭৮) فِى كِتَٰبٍ مَّكْنُونٍ(৭৯) لَّا يَمَسُّهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُطَهَّرُونَ(৮০) تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ(৮১) أَفَبِهَٰذَا ٱلْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ(৮২) وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ(৮৩) فَلَوْلَآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلْحُلْقُومَ(৮৪) وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ(৮৫) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَٰكِن لَّا تُبْصِرُونَ(৮৬) فَلَوْلَآ إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ(৮৭) تَرْجِعُونَهَآ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ(৮৮) فَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلْمُقَرَّبِينَ(৮৯) فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّتُ نَعِيمٍ(৯০) وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ(৯১) فَسَلَٰمٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ(৯২) وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلْمُكَذِّبِينَ ٱلضَّآلِّينَ(৯৩) فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ(৯৪) وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ(৯৫) إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ حَقُّ ٱلْيَقِينِ(৯৬) فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ
সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ
আজকে আমরা অনেকের কথা ভেবে সুরাও ওয়াকিয়ার বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই আছেন আরবিতে ভালোভাবে করতে পারেন না অনেক সমস্যা হয়। তাই যারা পড়তে পারেন না তাদের জন্য সূরা দেওয়া হলো। বাংলাতে অনেক দ্রুত সূরা মুখস্ত করে ফেলতে পারবেন এবং এই সূরাটি আর মাধ্যমে আপনারা আমল করতে পারবেন। এতক্ষণ আপনারা জেনে আসলে সূরা কি আরবি এখন আপনাদের জানাবো সুরা অকেয়া বাংলা উচ্চারণ-
বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম
(১) ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ।(২) লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ।(৩) খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ।(৪) ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-।(৫) ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-।(৬) ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-।(৭) ওয়া কুনতুম আঝওয়া-জান ছালা-ছাহ।(৮) ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ।(৯) ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ ।(১০) ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন।(১১) উলাইকাল মুকাররাবূন।(১২) ফী জান্না-তিন না‘ঈম।(১৩) ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।(১৪) ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন।(১৫) ‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ।(১৬) মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন।
(১৭) ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন।(১৮) বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন।(১৯) লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনঝিফূন।(২০) ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন।(২১) ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন।(২২) ওয়া হূরুন ‘ঈন।(২৩) কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন।(২৪) জাঝাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।(২৫) লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-।(২৬) ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-।(২৭) ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন।(২৮) ফী ছিদরিম মাখদূদ।(২৯) ওয়া তালহিমমানদূ দ।(৩০) ওয়া জিলিলমমামদুদ।(৩১) ওয়া মাইমমাছকূব।
আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়
(৩২) ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ।(৩৩) লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ।(৩৪) ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ।(৩৫) ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ।(৩৬) ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা।(৩৭) ‘উরুবান আতরা-বা-।(৩৮) লিআসহা-বিল ইয়ামীন।(৩৯) ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।(৪০) ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন।(৪১) ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল।(৪২) ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম।(৪৩) ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম।(৪৪) লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম।(৪৫) ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন।(৪৬) ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম।
(৪৭) ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন।(৪৮) আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন।(৪৯) কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন।(৫০) লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম।(৫১) ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন।(৫২) লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম।(৫৩) ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন।(৫৪) ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম।(৫৫) ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।(৫৬) হা-যা-নুঝুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন।(৫৭) নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন।(৫৮) আফারাআইতুমমা-তুমনূন।
(৫৯) আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন।(৬০) নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন।(৬১) ‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন।(৬২) ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন।(৬৩) আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন।(৬৪) আআনতুম তাঝরা‘ঊনাহূআম নাহনুঝঝা-রি‘ঊন।(৬৫) লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন।(৬৬) ইন্না-লামুগরামূন।(৬৭) বাল নাহনুমাহরূমূন।
(৬৮) আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন।৬৯) আ আনতুম আনঝালতুমূহু মিনাল মুঝনি আম নাহনুল মুনঝিলূন।(৭০) লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন।(৭১) আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন।(৭২) আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন।(৭৩) নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন।(৭৪) ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।(৭৫) ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম।(৭৬) ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম।(৭৭) ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম।(৭৮) ফী কিতা-বিম মাকনূন।(৭৯) লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন।
(৮০) তানঝীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন।(৮১) আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন।(৮২) ওয়া তাজ‘আলূনা রিঝকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন।(৮৩) ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম।(৮৪) ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন।(৮৫) ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন।(৮৬) ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন।(৮৭) তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন।(৮৮) ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন।(৮৯) ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম।(৯০) ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।(৯১) ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
(৯২) ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন।(৯৩) ফানুঝুলুম মিন হামীম।(৯৪) ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম।(৯৫) ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন।(৯৬) ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
সূরা ওয়াকিয়া অর্থ
এতক্ষণ জানলেন সূরা ওয়াকিয়ার আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ। এখন জানাবো সুরা ইয়া অর্থ সম্পর্কে। পবিত্র আল-কুরআনের যেকোনো অংশ পড়লে অর্থ পড়ার তাগিদ রয়েছে। সূরা কি আর অর্থ পড়লে আপনারা জানতে পারবেন এই সূরার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা বরকত ও ফজিলত রেখেছেন এই সূরার ভেতরে এবং আল্লাহ তায়ালা এই সূরার ভেতরে কি বলেছেন সেটি আপনারা পড়লে জানতে পারবেন। তাই আপনাদের বোঝার জন্য সূরা ওয়াকিয়া অর্থ দেওয়া হল-
(১) যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,(২) যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।(৩) এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।(৪) যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।(৫) এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।(৬) অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা।(৭) এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।(৮) যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা।(৯) এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা।(১০) অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই।(১১) তারাই নৈকট্যশীল,(১২) অবদানের উদ্যানসমূহে,(১৩) তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
(১৪) এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।(১৫) স্বর্ণ খচিত সিংহাসন।(১৬) তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে।(১৭) তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।(১৮) পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে,(১৯) যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।(২০) আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে,(২১) এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে।(২২) তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,(২৩) আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়,(২৪) তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ।
(২৫) তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।(২৬) কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।(২৭) যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।(২৮) তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে।(২৯)এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,(৩০) এবং দীর্ঘ ছায়ায়।(৩১) এবং প্রবাহিত পানিতে,(৩২) ও প্রচুর ফল-মূলে,(৩৩) যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়,(৩৪) আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।(৩৫) আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।(৩৬) অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।(৩৭) কামিনী, সমবয়স্কা।
আরো পড়ুনঃ ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়লে কি হয়
(৩৮) ডান দিকের লোকদের জন্যে।(৩৯) তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।(৪০) এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।(৪১) বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা।(৪২) তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে,(৪৩) এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়।(৪৪) যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়(৪৫) তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল।(৪৬) তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।(৪৭) তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব?
(৪৮) এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও!(৪৯) বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,(৫০) সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।(৫১) অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ।(৫২) তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,(৫৩) অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,(৫৪) অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।(৫৫) পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।(৫৬) কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।(৫৭) আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।
(৫৮) তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।(৫৯) তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?(৬০) আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।(৬১) এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।(৬২) তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?(৬৩) তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?(৬৪) তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?
(৬৫)আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।(৬৬) বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;(৬৭) বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।(৬৮) তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?(৬৯) তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?(৭০) আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?(৭১) তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
(৭২) তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?(৭৩) আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।(৭৪) অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।(৭৫) অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,(৭৬) নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।(৭৭) নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,(৭৮) যা আছে এক গোপন কিতাবে,(৭৯) যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
(৮০) এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।(৮১) তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে?(৮২) এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?(৮৩) অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।(৮৪) এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,(৮৫) তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।(৮৬) যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,(৮৭) তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
(৮৮) যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়;(৮৯) তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।(৯০) আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়,(৯১) তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।(৯২) আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,(৯৩) তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা।(৯৪) এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।(৯৫) এটা ধ্রুব সত্য।(৯৬) অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url