কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতাপেঁপে অতি পরিচিত একটি ফল তবে এটি সবজি হিসেবেও অনেক ব্যবহৃত হয়। পেঁপে দেশীয় ফলের মধ্যে উন্নত মান সম্মত সুন্দর ও লোভনীয় ফল বা সবজি। পাকা পেঁপে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি বিভিন্ন রেসিপিতেও কাঁচা পেঁপে বেশ কদর রয়েছে। অনেকেই পেঁপে খেয়ে থাকেন কিন্তু এর কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আজকের আলোচনায় আপনাদের জানাবো কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ে সম্পর্কে। পেঁপে খেলে নানান রোগের সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হয়ে থাকে। তাই চলুন পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কাঁচা পেঁপে খাওয়ার নিয়ম
অসাধারণ পুষ্টিগুনে ভরা এই কাঁচা পেঁপে যার কারণে বিশ্বজুড়ে এর জনপ্রিয়তা অনেক। টিভিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফাইবার বা খাদ্য আশ পটাশিয়াম ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৯ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাছাড়া অল্প পরিমাণে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ভিটামিন ই ভিটামিন এ ভিটামিন কে সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি।
পেঁপে কাঁচা অবস্থায় কিছু ধরনের ভিটামিন বেশি অবস্থায় থাকে। আবার পেকে গেলে কিছু ধরনের ভিটামিন বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।আজকের আলোচ্য বিষয়ক কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পাকা পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা।
কাঁচা পেঁপে আমরা বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি যেমন, কাঁচা পেঁপের জুস, কাঁচা পেঁপের তরকারি, কাঁচা পেঁপের হালুয়া, কাঁচা পেঁপের ভর্তা, কাঁচা পেঁপের ভাজি, কাঁচা পেঁপের সালাদ ইত্যাদি আপনারা কাঁচা পেঁপে এভাবে রান্না করে খেতে পারেন। আবার কাঁচা পেঁপে খোসা ছিলেও খাওয়া যায়।
কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা হয়েছে অনেক। আপনি যদি কাঁচা পেঁপের গুনাগুন সম্পর্কে জানেন তাহলে অবাক হবেন। কাঁচা পেঁপে দেহের রক্তে সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমে থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃদপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। পেঁপেতে থাকা আশ কোষ্ঠকাঠিন্য এসিডিটি বা অম্লতা পাইলস বা ডায়রিয়া দূর করতে পারে।
মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে দারুন কার্যকর।যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন কাঁচা পেঁপের জুস খেলে রক্তের মিষ্টির হার কামাই। আর এটি শরীরের ইন্সুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। কাঁচা পেঁপে তে নানা রকম এনজাইন থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইন হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ওপ্যাপিন। এই দুটি এনজাইন প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ ত্বকের উপরে থাকা নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে।মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয় তারা কাঁচা পেঁপের সালাদ খেতে পারেন। প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে এক টুকরো কাঁচা পেঁপে চিপিয়ে খান তারপরে এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদ হজমের সমস্যা ও দূর হয়।
পাকা পেঁপে খেলে কি ওজন বাড়ে
আজকের আলোচ্য বিষয় কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা। অনেকে জানতে চান পাকা পেঁপে খেলে কি ওজন বাড়ে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো পাকা পেঁপে খেলে কি ওজন বাড়ে কিনা এই বিষয়ে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই কার্যকর। এতে যথেষ্ট আশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালোরি আছে তেমন মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে। পাকা পেঁপে খেলে শরীরের ওজন বাড়ে না। তাই যারা ওজন নিয়ে ভাবছেন কারা নির্দ্বিধায় পাকা ও কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।
পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
অনেকের জানতে চান কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আজকে আপনাদের সুবিধার্থে পাখা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হলঃ
- হজম শক্তিতে সহায়তা করে।
- দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে।
- কোলেস্টোরেল মাত্রা কমায়।
- হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।
- আশ ও কৃমিনাশক।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- ব্রণের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- চুলে মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল ঝলমলে হয়।
- প্রতিদিন পাকা পেঁপের সাথে মধু ও টক দই মিশিয়ে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা
তবে পেঁপে যে শুধু উপকার করে এ কথা পুরোপুরি সঠিক নয়। পেঁপে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। এত গুণের মাঝেও এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে যেমন গর্ভবতী নারীদের পেঁপে এবং আনারস পেতে বারণ করা হয়। পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও দ্রুত গর্ভপাত ঘটাতে পারে। কাঁচা পেঁপে জরায়ুর সংকুচিত করে ফেলে।
পাকা পেঁপেঁতে এ ঝুকি টা কিছু কম তবে গর্ভবতী হলে পেঁপে এড়িয়ে চলাই ভালো। পুষ্টিকর বলে কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। পেঁপে অতিরিক্ত খেলে খাদ্যনালির উপর প্রভাব ফেলে। দিনে এক কাপের বেশি পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। পেপে পাতা থাকায় পাপাইন নামের উপাদান গর্ভে সন্তানের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই গর্ভাবস্থায় এবং গর্ভপাত হওয়ার পর কয়েক মাস পেঁপে এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়াও কাঁচা পেঁপে বোটা থেকে বের হওয়ার সাদা তরল চামড়ায় এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যারা ওষুধ খান তাদের জন্য তাদের ক্ষেত্রে কাঁচা পেঁপে খাওয়া বিপদজনও হতে পারে।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url