ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় - ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ

 আজকের আলোচনার বিষয় ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় ও ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ এই বিষয়ে।ব্রেস্ট টিউমার কম বেশি আনেক মেয়েদের হয়ে থাকে।ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় এবং ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ হলে এর এর চিকিৎসা দ্রুত না করলে, মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়

পোস্ট সূচিপত্রঃব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় এবং ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ এর কি চিকিৎসা হবে সেগুলো  নিচে উল্লেখ করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। তাহলে এর ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় ও ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ কি চিকিৎসা হবে জেনে নেয়া যাক।

বিবরণ / ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় - ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ

স্তন অসুখ বা স্তন্যগ্রন্থি রোগ হলো একটি স্তন্যগ্রন্থির উপস্থিতি যা একটি স্তনে বা দুটি স্তনের যেকোন একটিতে বা উভয়ে দেখা যেতে পারে। এই গ্রন্থি সাধারণভাবে স্তনের আকার ও মানুষের বয়সের উপর নির্ভর করে না, এটি যেভাবে দেখতে পাওয়া যায় সেটির উপর নির্ভর করে।স্তন্যগ্রন্থি বিষয়টি সিরায়ের আকারে, বৃদ্ধির হারে এবং গ্রন্থি কি ধরণের সেই উপর নির্ভর করে, এটি দুটি ধরণে বিভক্ত রোগাক্রান্ত স্তন্যপায়ী গ্রন্থি এবং সুস্থ স্তন্যপায়ী গ্রন্থিতে করা যেতে পারে।

অসুখজনিত স্তন্যগ্রন্থি হলো ক্যান্সারের এক রূপ, যা স্তনের সেলগুলির অতিরিক্ত এবং বৃদ্ধির ফলে তৈরি হয়। এই ধরণের স্তন্যগ্রন্থি যদি বৃদ্ধি করে এবং স্তনের সাথে সাথে থেকে যায়, তাহলে এটি ক্যান্সারের জনিত হতে পারে।সুস্থজনিত স্তন্যগ্রন্থি হলো বেনাইন অবস্থায় যা সাধারণভাবে ক্যান্সারের মতো গ্রস্ত হয় না। এই ধরণের স্তন্যগ্রন্থি সাধারণভাবে চটি বা মস্তিষ্কের মধ্যে অবস্থিত হয় এবং সামান্য সাইজে হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় এবং ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণযদি কেউ স্তনে যেকোন ধরণের গ্রন্থি অবস্থান অথবা পরিবর্তন মনে করে, তাহলে তা বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রাপ্ত করা উচিত। নিয়মিত স্তন পরীক্ষা এবং ডাক্তার-অনুমোদিত স্ক্রীনিং পরীক্ষা স্তন-সম্পর্কিত সমস্যা সনাক্ত করতে এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ ব্রেস্ট টিউমার বা গ্রন্থি উদ্ভাবনের কারণগুলি বুঝতে একটি বিশ্লেষণকে সুবিধা দেয়, কারণ এটি বিভিন্ন ঘটকের সমন্বয় হতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু মৌলিক কারণগুলি ব্রেস্ট টিউমারের উদ্ভাবনে সাহায্য করতে পারে।

হরমোনাল পরিবর্তনঃ মহিলাদের ব্রেস্ট স্বাভাবিকভাবে হরমোন পরিবর্তনের প্রভাবে আক্রান্ত হয়। গর্ভাবস্থা, শৈশব, কিশোরকাল, মাসিক চক্রের পরিবর্তন ইত্যাদি সময়ে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, যা ব্রেস্ট টিউমারের উদ্ভাবনে ভূমিকা পালন করতে পারে।

উপযুক্ত ব্রেস্ট কেয়ার না করাঃ নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা বা স্ক্রীনিং পরীক্ষা না করা বা ব্রেস্ট স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যত্ন না নেওয়ার কারণে টিউমার এবং অন্যান্য সমস্যার উপসর্গ হতে পারে।অত্যধিক উষ্ণতা বা অস্থিরতা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

জেনেটিক প্রবণতাঃ কিছু বৃদ্ধি-আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন লক্ষণ থাকতে পারে যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বা প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

লিঙ্গ ও বয়সঃ মহিলাদের প্রায় পুরুষের তুলনায় ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। বয়স বেড়েছে তবে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

পূর্ববর্তী ক্যান্সারের ইতিহাসঃ যদি আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যদের স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে, তবে আপনার ঝুঁকি বা এটি হওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।

ব্রেস্ট টিউমারের উদ্ভাবন বা উপসর্গের পেশাদার প্রভাবগুলি আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্রেস্ট স্বাস্থ্য মনিটরিং, যত্ন এবং স্ক্রীনিং পরীক্ষা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কিত সঠিক ধারণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ

স্তন টিউমারের লক্ষণ স্তন টিউমারের লক্ষণগুলি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং সাধারণভাবে একটি স্তন টিউমার সবসময় ক্যান্সারের লক্ষণ নয় তবে স্তন টিউমারের কিছু সাধারণ লক্ষণ নীচে দেওয়া হলঃ

স্তনে পিণ্ড বা পিণ্ডঃ টিউমার বা ভর বাড়লে স্তনের আকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে এবং স্তনে বা আশেপাশের অংশে পিণ্ড বা পিণ্ড দেখা যায়।

আকারের পরিবর্তন: টিউমার বা ভর বাড়ার সাথে সাথে স্তনের আকার পরিবর্তন হয়।

স্তনে ব্যথা বা কোমলতা: সব ধরনের টিউমারই স্তনে ব্যথা বা কোমলতা সৃষ্টি করতে পারে

ত্রুটি বা অদক্ষতা: ছোট আকারের গঠন, টিউমার বা স্তনে সামান্য পরিবর্তন স্তনের ত্রুটি বা অদক্ষতা একটি পছন্দসই স্থানে অনুভূত হতে পারে।

নিপীড়ন বা নিপীড়ন: আপনার যদি স্তনে টিউমার থাকে, তবে কারণ বা প্রকারের উপর নির্ভর করে আপনি স্তনের এনজরমেন্ট বা এনজার্জমেন্টে তরল ধারণ বা ঢেঁকি অনুভব করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

ভরের দ্রুত পরিবর্তন বা বৃদ্ধি: আপনি যদি অনুভব করেন যে আপনার স্তনে কোনো ভর বা টিউমার দ্রুত বাড়ছে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এই লক্ষণগুলি কেবল ব্রেস্ট টিউমার নয়, এবং অনেক সময় এদের কারণ সাধারণ স্তনের পরিবর্তন, সিস্ট, অথবা অন্যান্য অস্বাভাবিক স্তনের শরীরের প্রক্রিয়ার ঘটে। তবে, যদি আপনি এই লক্ষণগুলি দেখেন, তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় এখন জানবো ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার।ব্রেস্ট টিউমার অক্সফর্ডিং একটি বিশেষ চিকিৎসা শব্দ নয়, বরং এটি সাধারণভাবে ব্রেস্ট টিউমার বলতে একটি পরিস্থিতি বোঝায়, যেটি সম্পূর্ণ নির্ধারিত নয়।ব্রেস্ট টিউমার বর্ণনা করার সময়, সাধারণভাবে তা ব্রেস্টে একটি অস্বাভাবিক গঠন বা গঠনসমূহ দেখাতে ব্যবহৃত হয়, যা স্তনের মডিউল বা কিস্ত হতে পারে। এই গঠনগুলি মহিলাদের ব্রেস্টে বৃদ্ধি অথবা প্রশস্ত হতে পারে এবং এটি ব্যক্তির স্বাভাবিক ব্রেস্ট টিস্যুর সাথে তুলনা করে।

কিন্তু একটি ব্রেস্ট টিউমার যদি ক্যান্সার হয়, তাহলে তা ব্রেস্ট ক্যান্সার হবে। ব্রেস্ট ক্যান্সার হলো ব্রেস্টের কোষগুলির অগতি এবং অবিকাশ যা অত্যন্ত নিরাপত্তা মাত্রা অতিক্রম করে এবং অপরিসীমাপ্ত শক্তির বৃদ্ধি স্বাভাবিক কোষগুলির থেকে ভিন্নতা হয়ে থাকে এবং এটি অত্যধিক বেগে বৃদ্ধি করতে পারে।ব্রেস্ট টিউমার বা গঠন সম্পর্কিত হয় যখন ব্রেস্টের অংশ অত্যন্ত বৃদ্ধি প্রদর্শন করে এবং এটি শক্তি প্রদান করে, তাহলে সে সম্ভাব্যভাবে ক্যান্সারজনিত হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায়

অত্যন্ত নিরাপত্তা মাত্রা অতিক্রম করা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, কোষগুলি অত্যন্ত নিরাপত্তা মাত্রা অতিক্রম করে এবং আগত অঞ্চলে প্রসারিত হতে পারে।এই মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে ডাক্তাররা পরীক্ষা, টেস্ট এবং স্ক্রীনিং প্রদান করতে পারেন যাতে ব্রেস্ট টিউমার সত্যিকারে ক্যান্সার না থাকলেও ক্যান্সার উপসর্গ বা জন্ম হতে পারে।

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় ও ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ।ব্রেস্ট টিউমার এর সম্ভাব্য কারণ এবং তার প্রকার উপর ভিত্তি করে, ডাক্তারের পরামর্শের সাথে এই ধারণা প্রাপ্ত করা গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনও স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে আপনার পরিস্থিতি এবং চিকিত্সা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।

কিছু করনীয়ঃ

স্তনে টিউমার দেখা দিলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। আপনি আপনার স্তনের টিউমারের সম্ভাব্য কারণ এবং প্রকার এবং উপলব্ধ বিবরণ সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন। পরীক্ষা এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা ডাক্তার আপনার স্তনের টিউমার নিম্নলিখিত পরীক্ষা এবং পরীক্ষা দেবেন।

  1. ম্যামোগ্রাফি
  2. ব্রেস্ট উল্ট্রাসাউন্ড
  3. ব্রেস্ট এমআরআই
  4. বায়োপসি: টিউমার টিস্যুর নমুনা নেওয়ার একটি পদ্ধতি।

চিকিত্সা পরিকল্পনা: আপনি ডাক্তারের সাথে একটি চিকিত্সা পরিকল্পনা তৈরি করবেন, যার ভিত্তিতে স্তনের টিউমারের ধরন, আকার, অবস্থান এবং সম্ভাব্য সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য প্রভাবগুলি নির্ধারণ করা যেতে পারে।

চিকিৎসা প্রদান: ডাক্তার এবং আপনি একটি চিকিৎসা পরিকল্পনা অনুসারে চিকিৎসা প্রদান করবেন। চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি আপনার ব্রেস্ট টিউমারের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং এটি স্কানডিনেভিয়ান অথবা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের কাছে তালিকাভুক্ত হতে পারে। এটি সাধারণভাবে চিরকালিন উপকারী চিকিৎসা, সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

এই সমস্ত পদক্ষেপগুলি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে। ডাক্তারের নির্দেশানুসারে ক্রমাগত পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি সঠিক চিকিৎসা এবং সহায়তা পেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url