রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি

  মানুষের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকা অত্যন্ত জরুরী।হিমোগ্লোবিন দিয়ে মানুষের শরীরের সবকিছু সঞ্চালন হয় এবং নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে যদি রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায় তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই আজকের আলোচনার বিষয় রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি তা এই বিষয়ে জেনে নিন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়

পোস্ট সূচিপত্রঃরক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো কি হতে পারে তার কারণে পুরো বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে মানুষ মৃত্যুর পর্যায়ে চলে যেতে পারে। কারণ শরীরে যদি রক্তস্বল্পতা বা রক্তের হিমোগ্লোবিন কম থাকলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যায় রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে।

হিমোগ্লোবিন কি

হিমোগ্লোবিন একটি প্রোটিন মৌল, যা রক্তে অধিকাংশ জীবকোষে পাওয়া যায় এবং অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বাইন্ডিং করতে সহায়ক হয়। এটি রক্তের লাল রক্তকোণের সেলে অধিকাংশই থাকে, এবং অক্সিজেন যাত্রা করার জন্য ব্যবহার হয়।হিমোগ্লোবিন মৌলে চারটি সাবইউনিট থাকে, যাদের প্রতিটি সাবইউনিটে একটি হেম মোলেকুল আছে।

প্রতিটি হেম মোলেকুল একটি হেম গ্রুপ বা পরিবৃত্তকৃত আয়ন বহন করে, যা একটি আয়নিক আয়নের মধ্যে অক্সিজেন মোলেকুল বা কার্বন ডাইঅক্সাইড মোলেকুল বাঁধে। এই আয়নিক বন্ধনের জন্য হেম মোলেকুল একটি আয়নের আয়নিক আয়ন বা পরিবৃত্তকৃত আয়নের আয়নিক আয়ন বা অরবিটাল আয়নের আয়ন বেশিরভাগ মুখের দিকে মুখ করে, যা অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের বন্ধনের জন্য অনুকূল।

হিমোগ্লোবিন রক্তে অক্সিজেন যেতে এবং অক্সিজেন পুনঃপ্রাপ্ত করতে সাহায্য করে, এবং এটি শ্বাসকোণে অক্সিজেন যেতে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নেওয়ার মাধ্যমে শরীরের অগ্রগতির সাথে সাথে সাহায্য করে।

হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ

আজকের আলোচ্য বিষয় রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়। হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ বিভিন্ন মেডিকেল শর্ত বা সমস্যার ফলাফল হতে পারে।হিমোগ্লোবিন আনেমিয়া হলে সাধারণভাবে হেমোগ্লোবিনের স্তর কম হয়ে যায়। এটি সাধারণভাবে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না করার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।আনেমিয়ার বেশিরভাগ কারণ হলে পুরোনো পুরোনো খাবারে পুরোনো পুরোনো খনিজের অধিক কমিয়ে যাওয়া।

সঠিক পুরোনো পুরোনো খাবার না খাওয়া, এবং যে কোন কারণে নিউট্রিশনাল সমস্যা।যেমন কোন ধরনের সংক্রামণ, রোগ বা অসুখের ফলে হিমোগ্লোবিন স্তর কম হতে পারে। এটি অক্সিজেনের পর্যাপ্ত প্রাপ্তি বা হিমোগ্লোবিন নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রভাবিত হতে পারে।নির্দিষ্ট খাবারে যত্ন না নেওয়া, উপকারী খাবার না খাওয়া অথবা পুরোনো পুরোনো খাবারে আয়রন এবং ফোলেট সম্পর্কিত কোন কিমিয়ায় অয়শীত হওয়া হিমোগ্লোবিনের স্তর কমাতে পারে।

আরো পড়ুনঃ থাইরয়েড কি কারনে হয়

কিছু আক্রান্তির ফলে হিমোগ্লোবিন নির্মাণের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না, যা হিমোগ্লোবিন স্তর কমিয়ে আনতে পারে।কোন অতিরিক্ত অধিকার পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন নির্মাণের সাথে সাথে শরীরে অসম্মতি সৃষ্টি করতে পারে, যে কারণে হিমোগ্লোবিন স্তর কম হতে পারে।হিমোগ্লোবিন স্তর কম হওয়ার আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, এবং এটি আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশেষভাবে পরামর্শ প্রদান করার জন্য একজন চিকিৎসকে দেখাতে সমর্থন করে।

হিমোগ্লোবিন কম হলে কি খাওয়া উচিত

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় হিমোগ্লোবিন কম হলে কি খাওয়া উচিত।হিমোগ্লোবিন স্তর কম থাকলে সঠিক খাবার খাওয়া অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। আনেমিয়া বা হিমোগ্লোবিনের সময় আপনি পুরোনো পুরোনো খাবারে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি উপকারী খাবার খাওয়া চাইবেন। নিম্নলিখিত খাবারগুলি আপনার হিমোগ্লোবিন স্তর উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

লৌহযুক্ত খাবার: লৌহ খাওয়া হেমোগ্লোবিন নির্মাণে সাহায্য করে। মাংস, চিংড়ি, কাঁচা আম, মুলা, পালং শাক, শসা শাক, শসা বীজ,ক ইত্যাদি লৌহযুক্ত খাবার হতে পারে।

ফোলিক এসিড যুক্ত খাবার: ফোলিক এসিড হেমোগ্লোবিন নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ। পালং শাক, স্পিনাচ, ব্রোকলি, লেবু, কাঁচা আম, পাপয়া, আঙ্গুর, মটরশুটি ইত্যাদি ফোলিক এসিড যুক্ত খাবারের উদাহরণ।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়

ভিটামিন বি-১২ যুক্ত খাবার: ভিটামিন বি-১২ হেমোগ্লোবিন নির্মাণে সাহায্য করে। মাংস, মাছ, ডেয়ারি প্রোডাক্টস, ডেয়ারি প্রোডাক্টস যেমন দুধ, চিজ, ইত্যাদি ভিটামিন বি-১২ যুক্ত খাবার হতে পারে।

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: ভিটামিন সি আয়রন সরবরাহ সাহায্য করতে পারে, যা হিমোগ্লোবিন প্রস্তুতি করতে সাহায্য করে। আম, কাঁচা আম, মালটা, কমলা, জাম্বুরা, আনারস ফলগুলো ভিটামিন সি যুক্ত খাবার।

প্রোটিন যুক্ত খাবার: প্রোটিন হেমোগ্লোবিন নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ। মাংস, মাছ, ডাল, ডালিয়া, দুধ, ডিম ডেয়ারি প্রোডাক্টস, খেজুর ইত্যাদি প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।

হিমোগ্লোবিন নরমাল রেঞ্জ

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় এখন জানবো হিমোগ্লোবিন নরমাল রেঞ্জ এর ব্যাপারে।হিমোগ্লোবিনের নরমাল রেঞ্জ আপনার বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা, ও অন্যান্য ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারে।

সাধারণভাবে, স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের জন্য 13.8-17.2 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL) এবং মহিলাদের জন্য 12.1-15.1 g/dL, কারণ গৃহস্থালির কাজ প্রায়শই করা হয়, প্রায়শই বেশি।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়

এই নম্বরটি একটি সাধারণ রেফারেন্স পরিসীমা, এবং আপনার ডাক্তার আপনার ব্যক্তিগত অবস্থার জন্য তালিকাভুক্ত সাধারণ পরিসর ব্যবহার করতে পারেন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়

রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্তর কমে গেলে আপনাকে আনেমিয়া হতে পারে, এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কিছু করণীয় আছে।সঠিক ডায়েট আপনার খাবার পরিষ্কার ও পুরোনো পুরোনো খাবারের সঠিক পরিমাণ থাকা উচিত। আয়রন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজে যুক্ত খাবার যেমন লৌহযুক্ত খাবার, প্রোটিন যুক্ত খাবার, ফোলিক এসিড যুক্ত খাবার, ভিটামিন বি-১২ ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

আপনি যদি আনেমিয়া বা হিমোগ্লোবিন কমির সমস্যা সম্মুখভাবে অবলম্বন করতে থাকেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক কোনও স্পেশাল চিকিৎসা নিতে পারেন।ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে, আপনি আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।এটি আপনার আয়রন স্তর উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়

পুনরায় পরীক্ষা নিরাপদে থাকার জন্য ডাক্তার যদি মনে করে তাকে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে দেবেন, তাহলে নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করতে থাকা উচিত।আপনি নিজের স্বাস্থ্য মনিটর করতে থাকা উচিত। শরীরের সাক্ষাৎকার এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষণে নিয়মিতভাবে জীবনযাপন করা সহায়ক হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url