লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারে চর্বি কমানোর খাবার
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়আজকের আলোচনার বিষয় থাকছে লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় ও লিভারের চর্বি কমানোর খাবার।বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া অথবা ওজন কমে যাওয়া। অনেক মানুষ আছেন যারা লিভারে চর্বির সমস্যায় ভুগছেন। লিভারের চর্বি কমানোর খাবার অনেকের জানা নেই।
পোস্ট সূচিপত্রঃআমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো লিভার। বর্তমানে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বয়স্করা ভুগছে তা কিন্তু নয়। অনেক কম বয়সী ছেলে মেয়েরাও ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় এবং লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে।
লিভারে কেন চর্বি হয়
ফ্যাটি লিভার আমাদের দেশে দিন দিন বাড়ছে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা খাবার বা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার যখন গ্রহণ করা হয় তখন লিভারের উপর ফ্যাটের একটা আস্তরন তৈরি হয়। লিভারটা ঠিক রাখা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিভারে যখন ফ্যাট জমে তখন এর কার্যকারিতা অনেক বাধা সৃষ্টি করে। লিভারে অন্যতম কাজ হচ্ছে আমাদের শরীরে যে টক্সিন তৈরি করে সেগুলোকে রিমুভ করতে সাহায্য করে।
যারা বেশি মিষ্টি খান এবং অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, রিচ ফুড খান তাদের ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা থাকে। অনেকেরই অতিরিক্ত স্ট্রেস থাকে যার কারণে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।অনেকেই আছেন অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে এরপরে একবারে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন এই কারণে লিভারে চর্বি দেখা দিতে পারে। আমাদের লাইফস্টাইলে যখন প্রতিবন্ধকতা আসে তখনই কিন্তু ফ্যাটি লিভার দেখা দেয়।
অনেকেই আছে রান্নায় অনেক তেল মসলা ব্যবহার করেন। এই যে তেল মসলার যে বাহুল্যতা এটাও কিন্তু লিভারের চর্বি জমাতে সহায়তা করে। দিনের পর দিন যদি এই খাবারগুলো গ্রহণ করা হয় তখন কিন্তু লিভারে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। গরু মাংস, মুরগির মাংস, খাসির মাংস, কলিজা অতিরিক্ত কোলেস্টর যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে লিভারে চর্বি দেখা দেয়।
ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম
আজকের আলোচনায় লিভারের ফ্যাট কমানোর উপায় ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম সম্পর্কে জানাবো।লিভার কে সুস্থ রাখার জন্য রোজ ব্যায়াম করতে হবে। ফ্যাটি লিভারের তেমন কোন কার্যকর ভাবে চিকিৎসা নেই। মূলত কিছু চিকিৎসা হলো খাদ্য অভ্যাস, ওজন কমানোর ও ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ আর ব্যায়াম এগুলো লিভারের জন্য কার্যকর। ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
১। প্রথমে মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসুন। যারা হাঁটু গেড়ে বসতে পারেন না তারা চেয়ারে বসে এই ব্যায়াম করতে পারেন। দুই হাত ভাঁজ করে পেটের কাছে ধরুন। তারপরে আপনার মাথা মেঝেতে নামিয়ে দিন এক্সারসাইজটা আপনারা পাঁচবার ও পাঁচ মিনিট ধরে করুন।
আরো পড়ুনঃ ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে কতদিন সময় লাগে
২। এরপরে আপনারা মেঝেতে বসে পা দুটো সোজা করুন। এরপর একটি পা হাঁটু ভাঁজ করুন। যেহেতু ভাজ করলেন তার অপজিট সাইডের হাতর কুনই হাঁটুর উপরে রাখুন। আর এক হাত পিছে থাকবে এরপর মাথা পিছন দিকে ঘোরান। যে হাঁটু ভাঁজ করলেন এবং অপজিট সাইডে হাতের কুনই হাঁটুর উপরে রেখে চাপ দিতে হবে এতে করে পেটে ব্যায়াম হবে।
৩। এক্সারসাইজের জন্য আপনারা উল্টো করে সোজাভাবে শুবেন। এরপর মেঝেতে হাত রেখে মাথা পেট পর্যন্ত চাড়ুন। এরপর মাথা নিচে নামাবেন একবার উপরে উঠাবেন এভাবে ২০ মিনিট ধরে করবেন।
ব্যায়ামের সময় আপনি যত বেশি চাপ পাবেন, ফ্যাটি লিভার তত বেশি কাজ করবে। পেটের ওপর চাপ পড়ে ধীরে ধীরে লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
লিভারে চর্বি কমানোর খাবার
সংক্রমণ ফ্যাটি লিভারের খুবই দেখা যাচ্ছে যা মারাত্মক। এখন থেকেই আপনাদের খুবই সচেতন থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ফল খেতে হবে। খাদ্য তালিকায় সবজি ও ফল রাখুন। টক দই খেতে পারেন যেটা লিভারের জন্য খুবই কার্যকর। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যেটা লিভার কে হেলদি করে। সামুদ্রিক মাছে থাকে বাদামে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
এছাড়া বছরে এক থেকে দুইবার ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্ট আকারে নিতে পারেন। এরপরে যদি দেখেন লিভারে কাজ করছে না তাহলে আপনাকে সময় মতো করে ঘুমাতে হবে। রাত ১০ থেকে ২টা পর্যন্ত পারফেক্ট ঘুম হয়। লিভারের ফ্যাট কমাতে নিয়মিত কফি খেতে পারেন। প্রতিদিন কফি খেলে তুলনামমূলক এটি ভালো থাকে ও লিভারের ফ্যাটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।লিভারের স্বাস্থ্যকর উপাদান বাড়ে তুলতে সাহায্য করে কফি।
প্রতিদিন খাদ্য রান্নাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। জলপাইয়ের তেল শরীরের জন্য খুবই উপকারী এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা দ্রুত ওজন কমাতে চর্বি কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল ও জলপাই তেল লিভারের জন্য খুবই ভালো কার্যকর করে।
লিভারের চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়
লিভারে চর্বি জমতে শুরু করলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করে না। আর তখনই সমস্যা দেখা দেয়। আর কিছু ভুলের কারণে শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। পেট ভারী হবে এবং হজমে অসুবিধা হবে। এর সাথে প্রচন্ড পরিমাণে পেট ব্যথা করবে। আমরা যে খাবারগুলো খাই সেগুলো লিভারে যেয়ে জমে। সেই লিভারে যদি চর্বি জমে এবং লিভার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে মানুষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যায়।
তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাস বদলাতে হবে। এবং স্বাস্থ্যকর হালকা পাতলা খাবার গুলো খেতে হবে। প্রতিদিন অত্যন্ত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে এতে করে লিভার ভালো থাকবে। নিজেকে ভালো রাখতে হলে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে হবে। আর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ সেবন করতে হবে।
আমাদের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় ও লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে আলোচনা করেছি আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে। অবশ্যই নিজের শরীরের খেয়াল রাখবেন বেশি বাইরের খাবার অথবা বাড়িতে তৈরি করে খাবেন না জাঙ্ক ফুড রিচ ফুড ফাস্টফুড এগুলো খাবেন না। অতি সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন। আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এরকম আরো তথ্য পেতে রেদওয়ান আইটির সাথে থাকুন।এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url