শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না - শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয়
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে দূর হবেশ্বাসকষ্ট রোগীদের সবসময় খাবার নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়। কিছু খাবার আছে যা খেলে শ্বাসকষ্ট যেমন কমাতে পারে, আবার কিছু খাবার আছে সেগুলো খেলে শ্বাসকষ্ট অনেক বাড়ে তুলতে পারে।তাই হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং হাঁপানির লক্ষণগুলো হ্রাস করতে খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
পোস্ট সূচিপত্রঃগবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, তাজা খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে গত কয়েক দশক ধরে হাঁপানির ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
শ্বাসকষ্ট কেন হয়
কারো কিডনি ফেইলিওর হয় তখন তার শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হলেও শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা থাকে। ক্যান্সারের কারণেও শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসে পানি জমে অথবা ফুসফুসের পর্দা আছে সে পর্দায় পানি বা বাতাস জমলে তখন শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে কার কি কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তার সঠিক জানার পর চিকিৎসা দিতে হবে।
শ্বাসকষ্ট হলে অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে তবে বেশি হলে ইনহেলার নিতে হয়। দিনে দুবার নিলেই হয় শ্বাসকষ্ট রোগীরা সাধারণত অক্সিজেন নিয়ে থাকেন। হঠাৎ করে কারো শ্বাসকষ্ট হয় না এটি একটি কারণে প্রসেস বা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ হলো এজমা সিওপিডি। এ রোগে আক্রান্তরা অনেকদিন ধরে অল্প অল্প করে ভুগতে থাকেন যারা অনেক দিন ধরে এ রোগে ভুগছেন তাদের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়
বিভিন্ন ধরনের স্যালিসাইলিক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলেও শ্বাসকষ্ট হয়। আবার একটি টিনেজার গ্রুপ আছে যারা দুশ্চিন্তা থেকেও শ্বাসকষ্টে ভোগেন। তাদের এনজিও লাইটিক ওষুধ দিলে ভালো হয়ে যায়। তবে কারো ক্ষেত্রে যদি কিছুদিন ধরে জ্বর কাশি থাকার পর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয়
আজকের আলোচ্য বিষয় শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এখন আমরা আপনাদের জানাবো শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় এ বিষয়ে। কিছু ঘরোয়া টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে যাদের শ্বাসকষ্ট এবং কাশি দুটোই একসাথে হয়ে থাকে তারা এটি অবশ্যই ট্রাই করবেন।
১ রাতে ঘুমানোর আগে একটি পাত্রের ডের কাপ পানি দিয়ে তার মধ্যে সামান্য আদা ও কয়েক টুকরো রসুন তার মধ্যে দেবে। এরপর লং গোলমরিচ গুঁড়ো তুলসী পাতা এগুলো একসাথে অনেকক্ষণ ধরে জাল করতে হবে। যাতে করে দেড় কাপের মধ্যে কমে হাফ কাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে খেতে হবে।
২ আদা থেতো করে আদার রস বের করে নিতে হবে এরপর এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টের চাপ অনেকটা কমে যায়।
৩ হালকা উষ্ণ গরম পানি খেতে হবে। খালি মুখে আদা চাবিয়ে খেলে এবং রসুন চাবিয়ে খেলে গলায় এবং বুকে শীতল একটা উষ্ণ ভাব হয়। তখন ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস কমতে থাকে।
৪ তেজপাতা দারচিনি এলাচ গোলমরিচ আদা কালোজিরা এগুলো একসাথে অনেকক্ষণ এক কাপ পানির মধ্যে জাল করতে হবে। এরপর হালকা গরম থাকতে খেয়ে নিতে হবে। অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে খেয়ে ঘুমালে সকালে উঠে দেখবেন শ্বাস প্রশ্বাস অনেকটাই কমে গেছে।
৫ শ্বাসকষ্ট হলে হালকা গরম পানিতে দুই তিন টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে। সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খেলে খুব উপকার পাওয়া যাবে। এর মধ্যে চিনি দেওয়া যাবে না।
উপরোক্ত বিষয়ে আমরা আলোচনা করলাম শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় এই বিষয়ে। এগুলো আপনারা প্রতিদিন খাবেন তাহলে শ্বাসকষ্টের হাত থেকে অনেকটা আরাম পাবেন। তখন শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। আর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ঔষধ খাবেন এবং এর পাশাপাশি ঘরোয়া ভাবে এগুলো খাবে দেখবেন আপনার শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে গেছে।
শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না
শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সেগুলো জেনে নিন-
স্যালিসাইলেটঃ স্যালিসাইলেট জাতীয় খাবারগুলি হাঁপানির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। স্যালিসাইলেট ঔষুধ এবং অন্যান্য পণ্যগুলিতেও পাওয়া যায়। এছাড়া, কফি, চা এবং অন্যান্য মশলায়ও পাওয়া যায়।
সালফাইটসঃ সালফাইট শুকনো ফল, ওয়াইন, চিংড়ি, আচারযুক্ত খাবার, লেবুর জুসে পাওয়া যায়। এটি হাঁপানির লক্ষণগুলো আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কৃত্রিম উপাদানঃ কৃত্রিম উপাদান, যেমন- ফুড ফ্লেবার, ফুড কালার, ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুডগুলোতে পাওয়া যায়। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই খাবারগুলো এড়ানো উচিত।
যেসব খাবার খেলে গ্যাস হয়ঃ বাঁধাকপি, মটরশুটি, কার্বনেটেড পানীয়, পেঁয়াজ এবং ভাজা খাবারের মতো খাবারগুলো গ্যাসের কারণ হয় যা ডায়াফ্রামের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি হাঁপানির লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তোলে।
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
অনেকের দেখা যায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট আবার অনেকের দেখা যায় ওষুধ সেবন করার পরেও শ্বাসকষ্ট দূর হচ্ছে না। আবার দেখা যায় শ্বাসের গতি বেড়ে যাচ্ছে বুকে চাপ ধরে আছে। পালস বেড়ে যাচ্ছে প্রেসার কমে যাচ্ছে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে শ্বাসকষ্ট হয়েছে।এটি কিন্তু এমার্জেন্সি এ ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখার দিলে দ্রুত তাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
নয়তো তাকে ভর্তি হতে হবে এতে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনেক ধরনের হতে পারে যেমন অ্যাজমা থেকে ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে, শরীরের যে কোন ইনফেকশন থেকে, বাইরের খাবারের মাধ্যম থেকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।
শেষ কথাঃ শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না - শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয়
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনাদের সাথে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করে এসেছি যে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় এ বিষয়ে। এ ব্যাপারে আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারে। আরো এ ধরনের অনেক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট রেগুলার ভিজিট করে দেখতে পারেন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url