আজকের আলোচনায় থাকতে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করণীয়। আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে ও করনীয় কি এই সম্পর্কে। শিশু ও মাকে খুব সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে হবে। অতিরিক্ত ঠান্ডা মাকে ও শিশুকে যেন না লাগে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কিভাবে যত্ন নিবেন সে সম্পর্কে জানাবো। মায়ের ঠান্ডা লাগলে শিশুরও ঠান্ডা লাগবে সেজন্য মা ও শিশু অবশ্যই সতর্কতার সাথে থাকতে হবে। নিচে উল্লেখ করা হলো বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করণীয় তা জেনে নিন।
বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে
বড় বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করণীয় আজকে জানাবো। বড় বলতে পাঁচ বছর বয়স থেকে এসব খাবারগুলো খাওয়াতে পারবেন। পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হয় তখন শরীরে পানি শূন্যতায় ভোগে এবং শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। সেজন্য বাচ্চা যতবার পায়খানা করবে ঠিক ততবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। স্যালাইন খাওয়ালে বাচ্চার পানি শূন্যতা কমে। সেজন্য স্যালাইন অবশ্যই খাওয়াতে হবে এর সাথে ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
ডাবের পানি ও স্যালাইন পাতলা পায়খানা ও ভাইয়ার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এরপর বাচ্চাকে পাকা কলা খাওয়াতে হবে পাকা কলায় পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও বি থাকে। এতে করে বাচ্চার শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। কাঁচা কলা সেদ্ধ করে লবণ দিয়ে ম্যাচ করে বাচ্চাকে ভাত দিয়ে খাওয়াতে পারেন এতে করে পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়ার সংক্রমণ কমে।
কাঁচা কলায় রয়েছে এনজেন যা বাচ্চার পেটের ব্যাকটেরিয়া দূর করে পাতলা পায়খানাকে শক্ত করে।এরপর বাচ্চাকে আপনি সাদা চিড়া ভালো করে পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।চিড়া যখন নরম হয়ে আসবে সে পানি থেকে তার মধ্যে লবণ ছিটিয়ে পাকা কলা দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াবেন তাহলে পাতলা পায়খানার সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমবে।
৮ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
শিশু বা বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করণীয় এবং আট মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। ৮ মাসের শিশু সর্বমাত্র খাওয়া শিখে। তাই এ শিশুকে অত্যন্ত খেয়াল রাখতে হবে কারণ এরা যা পায় তাই মুখে নিয়ে ফেলে ফলে সে জীবাণু পেটের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে শিশুর পাতলা পায়খানা শুরু করে।
শিশুর যখন পাতলা পায়খানা হবে তখন পাকা কলা যতটুকু পারে খাওয়াবেন। কারণ ফাঁকা গলা শিশুর দুর্বলতা ভাব কাটাবে।ডাবের পানি খাবেন এবং স্যালাইন খাওয়াতে হবে যতবার শিশু পায়খানা করবে ঠিক ততবার যতটুকু পারে খাওয়াবেন। এরপর কাঁচা কলা সামান্য পরিমাণ নিয়ে সিদ্ধ করে হালকা লবণ দিয়ে টক দই এর সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। অবশ্যই টক দই হতে হবে ঘরে তৈরি করা বাইরে তৈরি করার টক দই দেওয়া যাবে না।
টক এরপর কাঁচা কলা পোলাওয়ের চাল হালকা লবণ একসাথে সব সিদ্ধ করে এরপর ম্যাস করে বা ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন পোলাওয়ের চাল শিশুর পাতলা পায়খানা শক্ত করবে।পাতলা পায়খানা হলে সুর শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় তাই চেষ্টা করবেন ঔষুধের পাশাপাশি এগুলো খাওয়াতে।
বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয়
আজকের আলোচনার বিষয়ে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করণীয় এবং বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয় এই বিষয়ে। সবার প্রথমে আপনাকে বাচ্চার খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মধ্যে রাখবেন। শিশুর জামাকাপড় থেকে শুরু করে শিশু যে পাত্রে খাবে এবং যেখানে ঘুমাবে সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। অনেক সময় শিশু ফ্লোরে হামাগুড়ি দেয় সেই হাতে জীবাণু আমরা দেখতে পাই না।
তখন শিশু সে হাত মুখে দেয় সেখান থেকে শিশুর পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। তাই অবশ্যই শিশুর হাত ভালো করে পরিষ্কার করে দেবেন। পাতলা পায়খানা হলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করতে পারবে এবং যারা ফর্মুলা দুধ খায় তারাও ফর্মুলা দুধ খেতে পারবে। সেই দুধ খাওনের পাশাপাশি ওষুধও খাওয়াতে হবে। আর যেসব বাচ্চারা খাওয়া শিখেছে তাদেরকে পাতলা পায়খানার সময় অল্প সামান্য পরিমাণ ২ চামচের মত করে খাওয়াবেন।
জোর করে খাওয়াবেন না এতে করে বাচ্চা বমি করে ফেলে। পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় বাচ্চার মুখে রুচি থাকে না। সেজন্য বাচ্চাকে সামান্য পরিমাণ করে খাওয়াবে কিছুক্ষণ পর পর। আর অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে অনেক নোংরার মধ্যে শিশু পেটে ব্যাকটেরিয়ার কারণে শিশু বমি করতে পারে। শিশুর পাতলা পায়খানা হলে পেটের মধ্যে অনেক গ্যাস ধারণ করে সে গ্যাস থেকে কিছু বমি করে ফেলে এতে করে চিন্তার কিছু নেই। ডাবের পানি ও স্যালাইন খাওয়াবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে ঔষুধ খাবেন।
শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ
শিশুর পাতলা পায়খানার ওষুধ সম্পর্কে জানানো হবে। আমরা সাধারণত বাচ্চার যখন পাতলা পায়খানা হয় তখন এই ওষুধগুলো খাইয়ে থাকি। এই ওষুধগুলোর নাম আমরা কম বেশি সবাই জানি। এই ওষুধগুলো নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
Zox
Amodis
Ciprocin
Filmet
Nitaid
সাধারণত আমরা এই সব ওষুধের নামের সাথে সবাই পরিচিত। বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে সবার প্রথমে আমরা এই ওষুধগুলো শিশুকে খাওয়াই। যদি শিশুর পাতলা পায়খানা ভালো না হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ সেবন করাবেন।
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে ও ৮ মাসের বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করণীয় এবং বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয় এবং ঔষধ সম্পর্কে জানালাম। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন এতে করে বাচ্চার উপকার আসবে। আপনি মা আপনার বাচ্চার অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এবং সতর্কতার সাথে নিজেকেও চলাফেরা করতে হবে। এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url