গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচর উপায়
আজকের আলোচনার বিষয় গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়। অনেকেই জানতে চাই গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় তাই আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। কারণ আজকের বিষয় বলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃআপনাদের সুবিধার্থে গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো। পুরো বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনাদের বুঝতে কোথাও অসুবিধা হবে না। গলার ক্যান্সার কোন ছোটখাটো বিষয় নয় এজন্য এটাকে অবহেলা করবেন না।
বিবরণ - গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচর উপায়
গলার ক্যান্সার অথবা গ্লোটিস ক্যান্সার একটি ক্যান্সার ধরন যা গলার অংশে উত্পন্ন হয়। গলা বা গ্লোটিস মানে হল শ্বাসনালীর মাধ্যমে শব্দ উত্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত অঙ্গ। গলার ক্যান্সার সাধারণত গলা পাশাপাশির অংশে শুরু হয় এবং পরে অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যায়।গলার ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে দুর্বল শ্বাসন, শ্বর পাল্টে যেতে পারে, গলার ব্যাথা বা ব্যথার অনুভব, কাশি ও কান ব্যাথা, হলুদ।
অথবা সাদা রঙের দাগ বা জলন্ত ফোস্ফেটি উত্পন্ন হতে পারে।গলার ক্যান্সার সাধারণত কারিনোজেনিক এজেন্টস যেমন সিগারেট ধূমপান, স্বাস্থ্যকর না খাবার, পান মাছি খাবার, সিগারেট বা টোয়েলে বাম্পের ব্যবহার, শ্বাসন প্রণালীর অস্বাস্থ্যকর পরিবর্তন ইত্যাদির ফলে উত্পন্ন হতে পারে। আরও কিছু ঝুঁকি সৃষ্টিকারী ফ্যাক্টর যেমন পুরুষদের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, বেশি বয়সে গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি বা যাবতীয় পীড়নের ইত্যাদি।
গলায় ক্যান্সার কেন হয়
গলা ক্যান্সার একটি মেডিকেল অবস্থা যা গলা ক্যান্সারজনিত কোষসমূহের বৃদ্ধি বা কোষসমূহের উত্পাদন সম্পর্কে বোঝায়। এটি মুখভাগে, জিভা, গলা, পানিপাথ এবং সংক্রামক পাথে উৎপন্ন হতে পারে।গলা ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো গলায় স্বাভাবিক কোষগুলির অনির্দিষ্ট কারণে পরিবর্তন।
এই পরিবর্তন সাধারণত স্বল্পমাত্রার গ্রীষ্মকালীন সময়ে ঘটে আসে এবং বেশ কয়েকবার এটি গায়ের সমস্যা হিসাবে সংক্রামক হতে পারে।কিছু পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম রয়েছে নিয়মিত ধুয়ে পানি খাওয়া, ধূমপান করা, মাটিয়ে রয়েছে পুড়ে রাখা তামাক ইত্যাদি।গলা ক্যান্সারের অন্যান্য উপাদান এবং কারণগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:
কার্সিনোজেনিক পদার্থসমূহঃ কিছু কেমিক্যাল এবং বিভিন্ন পরিবারের কর্মসংস্থানে আবশ্যকতামূলক হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদার্থ গলা ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এরমধ্যে যে কিছু উল্লেখযোগ্য উল্লেখ করা যায় তামাক, বায়ুমণ্ডলের দুষ্পরিণামকারী গ্যাসের ধূমপান, বিতর্কিত পানি পান এবং নিরামিষ খাদ্য ব্যবহার।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল কোনটা ভালো
কারণগুলিঃ গলাই ক্যান্সার হওয়ার অন্য একটি কারণ হল কারো ক্যান্সার থাকলে তার এটো খেলে নিজের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য কারো গলায় ক্যান্সার হলে এবং তাদের এঠো খাবার-দাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
উপাদান হলো রোগের অবস্থায় একজন ব্যক্তির গলায় অন্য অবস্থার থেকে আক্রান্ত হওয়া। উদাহরণস্বরূপ, একজন গলা রোগীর বিপরীতে সম্পর্ক যাত্রী ব্যক্তির গলা এবং মুখে ক্যান্সার থাকলে এটি সংক্রামক হতে পারে।
গলার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
গলার ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হলো পুঁজে অনুভূতি বা প্রতিশব্দের সমস্যা। রোগীর গলায় একটি অবস্থানে অস্বস্তি বা আবেগ অনুভব করা যেতে পারে। এছাড়াও, স্পষ্টতম ভাবে বলতে অস্বাভাবিকভাবে প্রতিশব্দ বা স্পষ্টতম ভাবে কথা বলা অসম্ভব হতে পারে।গলায় ব্যথা বা ব্যাথা: গলার ক্যান্সারে রোগীর গলায় ব্যথা বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
গলার ক্যান্সার বৃদ্ধি এবং উৎপন্ন অনিয়মিত কোষ এই ব্যথা হতে পারে।গলা বা মুখের লম্বা বা মাঝামাঝি স্বাধোন। গলার ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হলো গলা বা মুখের লম্বা বা মাঝামাঝি স্বাধোন। গলায় ক্যান্সারের বৃদ্ধি জনিত উপাদানের কারণে রোগীর গলা বা মুখের ক্ষেত্রে মেশানো একটি মারকট অনুভব হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায়
গলায় ক্যান্সার রোগীর গলায় গাঠি বা মাসপেশির অস্তিত্ব হতে পারে। এই গাঠিতে শক্ত বা কঠিন সংরক্ষিত অঞ্চল অনুভব হতে পারে।গলার ক্যান্সারের এই লক্ষণগুলি অন্যান্য অবস্থাগুলির সঙ্গেও সংযোগিত হতে পারে এবং তার উপর নির্ভর করে ক্যান্সারের আকার, স্থান এবং প্রগতির উপর। এক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
গলায় ক্যান্সার হলে করনীয়
যদি আপনি গলায় ক্যান্সারে ভুগছেন, তবে নিম্নলিখিত করনীয় অনুসরণ করা প্রয়োজন-
চিকিৎসকের পরামর্শঃ প্রথমেই, আপনাকে গলার ক্যান্সারের জন্য নিদিষ্ট চিকিৎসা পেতে হবে। তাই সঠিক চিকিৎসা পরামর্শের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
অপরিবর্তিত জীবনযাপনঃ আপনার জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন, নিরামিষ খাদ্য পদার্থ পরিবেশন করা যাবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পরিপন্থী অনুসরণ করুন।
নিয়মিত চিকিৎসাঃ ডাক্তারের নির্দেশানুযায়ী নিয়মিতভাবে চিকিৎসা নিন। সকল ঔষধ এবং চিকিৎসামূলক পদার্থ নিয়মিতভাবে গ্রহণ করুন।
সমর্থন নেটওয়ার্কঃ আপনার কাছে যদি কোনও সমর্থন নেটওয়ার্ক থাকে, তাহলে সেই নেটওয়ার্কের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এটি আপনার মানসিক এবং মানসিক সমর্থন প্রদানে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণগুলো কি কি
নিয়মিত অনুসন্ধানঃ নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে নিন যাতে ক্যান্সারের প্রগতি ও উৎপাদনে সনাক্ত হতে পারে। আপনার ডাক্তারের নির্দেশানুযায়ী পরীক্ষা সমূহ করুন।এছাড়াও, মানসিক সমর্থন ও পরিবারের সমর্থন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের আলাদা সময় কাটান এবং তাদের সমর্থন ও প্রেরণা গ্রহণ করুন।
সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি ডাক্তারের নির্দেশানুযায়ী অনুসরণ করা উচিত এবং আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কোনও প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
গলায় ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
গলায় ক্যান্সারের আবশ্যক বাঁচার সময় বিভিন্ন কারণে ভিন্নভাবে ভিন্ন হতে পারে। এটি ক্যান্সারের ধরণ, স্থান, স্থিতি এবং ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। কিছু গলার ক্যান্সার ধরণ এগুলো হয়:
- পরমাণুকেল ক্যান্সার: এই ক্যান্সারের আগমন আরম্ভে বা শুরুতেই অজ্ঞাত হয়ে থাকে এবং এর মেয়াদ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দেখা যায়।
- ক্যারসিনোমা: এই ক্যান্সার বর্ধিত হলে বাঁচার আবশ্যকতা সাধারণত কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে যায়। কিন্তু এর বিপরীতেও কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মেয়াদ কিছু বার্ষিক হতে পারে।
যেহেতু গলার ক্যান্সার প্রকৃতপক্ষে উচ্চমাত্রার ক্যান্সারের মধ্যে পড়ে, তাই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক চিকিৎসা পেতে এবং বিশেষজ্ঞের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। অগ্রিম চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল মারাত্মক সাধারণ এবং জীবনের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
সতর্ক থাকুন যে, গলার ক্যান্সারের মেয়াদ বা বাঁচার সময় যথার্থভাবে জানা বা নির্ণয় করা কঠিন।প্রতিটি ব্যক্তির জীবনযাপন, স্বাস্থ্য অবস্থা, ওজন ইত্যাদি ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সহজেই একটি নির্ধারণ করা যায় না।
অতএব, সবসময় চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা ও উপযুক্ত চিকিৎসা পেতে পর্যাপ্ত পরামর্শ ও পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।
গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচর উপায় - শেষ কথা
সঠিক চিকিৎসা পেতে নিশ্চিত হোন। এটি আপনার গলার ক্যান্সারের ধরণ এবং অবস্থার উপর নির্ভর করবে। চিকিৎসকের নির্দেশানুযায়ী চিকিৎসা পেতে সমর্থন করুন।অবস্থানিক চিকিৎসা পেতে সঠিক হাসপাতাল বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যান। যখন গলার ক্যান্সারের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পেতে প্রয়োজন হয়, তখন সেখানে যানবেন।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।আশা করি আপনাদের এই সকল তথ্য জেনে উপকৃত হবে। এই বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্য পেতে রেদওয়ান আইটি ফলো করুন।এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url