আলসার কত দিনে ভাল হয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়

  আজকে আপনাদের জানাবো আলসার কত দিনে ভাল হয় ও গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়।পেটের গ্যাস্ট্রিক আলসার হলো পেটের পাকস্থলীর প্রকারের একটি রোগ যেখানে পাকস্থলীর ভিতরের পর্দামাত্রা ক্ষয় হয়ে উদ্ভব হয়। পেটের গ্যাস্ট্রিক আলসারের মূল কারণ হলো পাকস্থলীর ভিতরে অমিজ নামক কিছু প্রকারের ত্রিকার্ণিক এসিডের স্তর এবং পাকস্থলীর পর্দামাত্রা ক্ষয় করার ব্যক্তিগত উত্থানের কারণে।

আলসার কত দিনে ভাল হয়

পোস্ট সূচিপত্রঃএই ক্ষতি প্রকারের এসিডের কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সাথে আরও গভীর ক্ষতি হয়, যা যেহেতু পেটের পানিভরাগের সাথে মিলিত হয় তাই পেটের আলসার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।আমাদের ছোট-বড় প্রায় সকলের এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।তাই আজকের আলোচনার বিষয় আলসার কত দিনে ভাল হয় ও গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়

গ্যাস্ট্রিক আলসার হল আমাদের পাকস্থলীর ভেতরে খাদ্যনালীর নিচের অংশে ক্ষত বা ঘায়ের সৃষ্টি হওয়া। সাধারণভাবে স্টোমা আলসার টা তখনই ঘটে যখন আমাদের পাকস্থলীর ভেতরে থিক মিউকাস প্লেয়ার থাকে যা আমাদের ডায়েটিস জুস থেকে একটু আমাকে প্রটেকশন করে। তার পরিমাণটা যখন কমে যায় বা এইচ পাইলোরি এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও কিন্তু গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে।

এছাড়া বেশি দিন ধরে স্পিডিং বা হাইপো প্রোফিন জাতীয় মেডিসিন জীবনের ফলেও গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক স্টমাক আলসারের লক্ষণ গুলো কি কি-

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

বুক বা পেট জ্বালাপোড়া করা। হালকা পেটের ব্যথা অনুভব হওয়া। স্টমাক যখন খালি থাকে অর্থাৎ খালি পেটে ব্যথাটা একটু বেশি অনুভব হয়। এই ব্যথাটা কয়েক মিনিট বা কয়েকঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। এরপর শরীরের ওজনটা ধীরে ধীরে কমতে থাকে অথবা ব্যথার জন্য কিছু খেতে না পারা। বমি ভাব অথবা কিছু খেলে বমি হয়ে যাওয়া রক্তশূন্যতা ইত্যাদি। এমন কোন লক্ষণ গুলো যদি আপনার মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আলসার হলে কি হয় | আলসার কত দিনে ভাল হয়

পেটে আলসার হলে পেটের জীবাণু আক্রমণের ফলে পেটের অংশে একটি শক্ত জ্বালানী ছোঁয়ার কারণে পেটের পর্দার একটি ক্ষতি উত্পন্ন হয়ে থাকে। এই ক্ষতি হলে ব্যক্তির পেটের বিভিন্ন সেকশনে শক্ত ব্যথা অনুভব করতে পারে।পেটে আলসারের সাধারণভাবে নিচে দেওয়া হল।

  • পেটে জ্বালানী বা ব্যথা অনুভব করা
  • পেটের জন্য প্রস্তুতি অনুভব করা বা ক্ষেত্রে সময় কেটে যাওয়ার অনুভূতি
  • পেটের উপরে জায়গায় গ্যাসের উত্পাত দেখা
  • বমি অস্বাভাবিকভাবে বা রক্তমিশ্রিত বা আন্তরিক ব্যথা অনুভব করা
  • পেটের মধ্যে সাধারণ ব্যথা অনুভব করা

এই লক্ষণগুলি সাধারণভাবে খাবার খেতে পারে বা দিনের প্রতিদিনের কাজে সাধারণ প্রকারের চিকিৎসা নিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু যদি ক্ষতি সবল হয় এবং উপযুক্ত পরিচর্য না হয়, তবে আলসারের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ বেশি হতে পারে এবং প্রকারিত অবস্থাগুলি খারাপ উত্পন্ন হতে পারে।

সাধারণভাবে আলসার একটি প্রসারণশীল অবস্থা হয়, যা অ্যান্টাসিড মেডিসিন ব্যবহার করে কিছুটা ভালো করা যেতে পারে। কিন্তু যদি লক্ষণগুলি বাড়তে থাকে বা অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য সাধারণ প্রস্তুতি করা গুরুত্বপূর্ণ।

আলসার থেকে কি ক্যান্সার হয় | আলসার কত দিনে ভাল হয়

এই ধারণা সঠিক নয়। পেটের আলসার বা পাকস্থলীর ঝিল্লির স্পর্শ বা ক্ষতি এক ধরনের ক্ষতি এবং আলসারে জ্বালানি পোড়ালে পেটে ব্যথা হয়। কিন্তু, পেটে আলসার থেকে একজনের ক্যান্সার হওয়ার সাথে এটি সম্পর্কিত কোনো স্পষ্ট প্রমাণ নেই।

পেটে ক্যান্সার বা পেটের অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে কিছু অন্যান্য ফ্যাক্টর, যেমন পেটে হেলিকোব্যাক্টার পিলোরি এবং পেটের অন্যান্য জনিত এবং পর্যায়কে কার্সিনোজেনের প্রভাব থাকতে পারে। তবে পেটে আলসার সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত এবং প্রভাব এবং উপযুক্ত চিকিত্সা নির্ধারণ করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ক্যান্সার হলে কিভাবে বুঝব

সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ যে, পেটে জ্বালানী বা ব্যথা, খুব বেশি কালো বা রক্তমিশ্রিত বা পেটের ফাংসের একটি অক্ষমতা দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে ধরনভেদের জন্য যেমন গ্যাস্ট্রিক বা পেটের আলসার সম্পর্কে আপনি সন্দেহ করলে, চিকিৎসকের পরামর্শ প্রাপ্ত করার জন্য অবিলম্বে চিকিৎসা করা উচিত হবে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু প্রথমে প্রাথমিকভাবে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন। গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা প্রদানের জন্য সাধারণভাবে কিছু উপায় ব্যবহার করা হয়।

অ্যান্টাসিডঃ অ্যান্টাসিড ওষুধ পেটের গ্যাস এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এগুলোর বেশিরভাগই সাধারণত পেটের মেদ কমাতে ব্যবহৃত হয়।

প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI)ঃ এই প্রকারের ঔষধ পেটের অমিজ উৎস কমিয়ে দেয়, যা গ্যাস্ট্রিক আলসারের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে।

হিস্টেমিন টু রিসেপ্টর ব্লকার (H2 ব্লকার)ঃ এটি পেটের অমিজ উৎস কমাতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণগুলি ব্যাধি করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

খাবারের পদ্ধতিঃ পেটের আলসারের ক্ষেত্রে খাদ্যের পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে খাবারে শাকসবজি, ফল, পুষ্টিকর খাবার এবং পানির প্রবাহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। অবশ্যই বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে এবং অ্যালকোহল যুক্ত কোন কিছুই খাওয়া যাবেনা। আর ধূমপান করা যাবে না, ধূমপান করলে আলসারের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

মানসিক স্থিতিঃ মানসিক তন্দ্রা গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ প্রভাবিত করতে পারে। ধ্যান করুন যে মানসিক স্থিতি ভাল রাখলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমাধানে সাহায্য করতে পারে। ধ্যানায়ান, যোগাসণ, ব্যায়াম, সাহায্য সেবা বা মানসিক স্বাস্থ্য সেবার উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে।এই উপায়ে মেনে চললে কিছুটা গ্যাস্ট্রিক আলসার সাধারণভাবে সমাধান হয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা | আলসার কত দিনে ভাল হয়

গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীর জন্য সঠিক খাবারের পদ্ধতি খোলামেলা এবং স্বাস্থ্যকর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই রোগের প্রতিরোধ করতে এবং সমস্যা কমাতে খাবারের তালিকা উপযুক্ত আপনাদের সুবিধার জন্য দেয়া হলো।

স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা-

শাকসবজিঃ সবজি প্রধান খাবারের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পেঁয়াজ, শিম, মুলা, গাজর, বিট, বেগুন, ফুলকপি, ব্রোকলি, স্পিনাচ, প্যারসলে, ঘি সবজি পেটের আলসার রোগীর জন্য খুব ভাল এবং স্বাস্থ্যকর ভাবে প্রস্তুত করা স্টিম করা সবজি উপকারী হয়ে থাকে।

ফলঃ বিশেষভাবে পেঁপে, পক্ষি, পেয়ারা, কমলা, লেবু, আম, পাপড়ি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং কম আস্তা ফল গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর জন্য উপকারী। এগুলি পেটের জ্বালানী ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

প্রোটিন সোর্সঃ লেবু পুঁজি প্রোটিন স্বতন্ত্র ভাবে পেটের আলসারের প্রতিরোধে ভাল। প্রোটিন এমন খাবার যেমন মাছ, মাংস, চিকেন, ডাল, পনির এবং সোয়াইস প্রোটিন পেটের আলসার রোগীর জন্য ভাল এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সিরিয়ালঃ পাউরুটি, ভাত, রোটি, ওয়েফেলস, প্রোটিন পুডিং, ওয়াফেলস সিরিয়াল গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টি।

দুগ্ধজাত খাবারঃ দুধ, দই, প্যানের তেল, মাখন ও পানি গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের জন্য ভালো। দুধের মতো খাবার পেটের গ্যাস ও ব্যথা কমাতে সক্ষম।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীর জন্য পেটের আলসারের সময় খাবারে এই সেবার সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, চিকিৎসকের পরামর্শের অনুসারে খাদ্যের পদ্ধতি পরিবর্তন করা যেতে পারে, সেইসাথে অনিয়মিত খাবার খাওয়া এবং কাফিন, নিকোটিন এবং এলকোহল এইসবের থেকে বিরত থাকুন।প্রতিটি ব্যক্তির স্বাস্থ্যস্থিতি এবং পেটের আলসারের প্রকারে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শের সাথে সমন্বয় করা গুরুত্বপূর্ণ।

আলসার কতদিনে ভালো হয় | আলসার কত দিনে ভাল হয়

পেটের আলসারের গুণকারী সময় অনেকের ভিন্ন ভিন্ন ভাবে হতে পারে এবং আলসারের মাত্রা, আলসারের ধরন, এবং চিকিৎসা প্রকারের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, পেটের আলসার যদি সাধারণ হয় তবে এটি প্রায় এটি ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান হয়।

আরো পড়ুনঃ ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে কতদিন সময় লাগে

তবে, এই সময়কাল অপনার সামান্য পরিবর্তে আলসারের মাত্রা, পরিশ্রমের পরিমাণ, খাবারের পদ্ধতি, প্রকাশের কারণ এবং চিকিৎসার প্রকারের উপর ভিত্তি করে প্রভাবিত হতে পারে। কয়েকটি ক্ষেত্রে, আলসার বেশ কয়েক মাস লাগতে তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শের সঙ্গে সমন্বয় করা প্রয়োজন।

একজন ব্যক্তি যদি আলসারের লক্ষণ বা সমস্যা অনুভব করে তবে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা উচিত। আপনি চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসরণ করে উচিত এবং প্রস্তুতি করতে যত্ন নেওয়া উচিত যাতে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url