জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ
মানুষ বাঁচে তার কর্মে বয়সে নয়জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান এই ভাব সম্প্রসারণটি বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য খুব সহজভাবে সুন্দর করে শেয়ার করা হলো। এই ভাব সম্প্রসারণটি পড়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে।
আবার পড়ে নিজের ভাষায় বানিয়েও লিখতে পারবে। জ্ঞানের মানুষ পশুর সমান ভাগ সম্প্রসারণটি খুব সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সকল শ্রেণীর স্টুডেন্টরা পড়তে পারবে এবং তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান এই ভাব সম্প্রসারণটি।
মূলভাবঃ পশু মানুষের মধ্যে পার্থক্য রচনা করে জ্ঞান। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই সেরা জীবের এ আসন দান করার অন্যতম কারণ হলো তার জ্ঞান। তাই জ্ঞান অর্জিত না হলে মানুষ আর পশুতে কোন প্রভেদ থাকে না।
সম্প্রসারিত ভাবঃ জ্ঞান মানুষের জীবনে এক অন্যান্য মানবীয় গুণ। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের জ্ঞানের উন্মেষ ঘটে। যা পশুর বা অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে অনুপস্থিত তাই একজন জ্ঞানের ব্যাগটি পশুর মতই বর্বর। খেয়ে নেয় অন্যায় কিছুই বোঝেনা। আপন অস্তিত্বকে সে টিকে রাখতে পারে না। সে অজ্ঞানতার অন্ধকারে ধুকে ধুকে মরে। দার্শনিক প্লেটো বলেছেন, অজ্ঞ থাকার চেয়ে পৃথিবীতে না জন্মানোয় ভালো। কারণ অজ্ঞতা সব দুর্ভাগ্যের মূল। জ্ঞানহীন মানুষ কোনদিন সাফল্য লাভ করতে পারে না। সে পশু শক্তির তাড়নায় জর্জরিত হয়ে কুপথে ধাবিত হয়।জ্ঞানের অভাবে তারা আধুনিক জীবনের সম্পদও ভোগ করতে পারে না। তাদের জীবনের সঙ্গে পশুর জীবনের কোন পার্থক্য নেই। মানুষ ও পশুর মধ্যে জ্ঞানই ভেদরেখা টেনে রাখে। তাই জ্ঞান অর্জিত না হলে মানুষ আর পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। সে নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলে।অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য এখানে। বিশ্বের তাবৎ প্রানীর উপর মানুষ প্রভুত্ত্ব করছে জ্ঞানের শক্তিতেই। বিশ্ব সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে জ্ঞানের অবদানের ফলে। বিশ্বজগতের বর্তমান উন্নতির পেছনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষের জ্ঞানের সাধনা। অপরদিকে শিক্ষা-দীক্ষার অভাবে জ্ঞানের সঙ্গে যেসব মানুষ পরিচিত হতে পারেনি। তারা অজ্ঞানতার অন্ধকারে চিরদিন আবদ্ধ হয়ে আছে।জ্ঞান মানুষের জীবনে এক অন্যন্য মানবীয় গুণ। জ্ঞান আছে বলেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব জীবনের নানামুখী অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের জ্ঞানের উন্মেষ ঘটে। অর্জিত জ্ঞানের বলেই মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচারবোধের অধিকারী হতে পারে। হীরা, মণি-মানিক্যের চেয়ে জ্ঞানের মূল্য বেশি। অপর পক্ষে জ্ঞান মানুষকে সোনালী পথের নির্দেশনা দেই। তাই পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে তাকে জ্ঞান অর্জন করতেই হবে। জ্ঞান অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষের লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে তুলতে হবে।প্রাচীনকালে মানুষ উপসনালয়ে যেতেন, ধর্মগুরু কিংবা কোন মহৎ ব্যক্তির কাছে থেকেও শিক্ষা-দীক্ষা লাভ করতেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, কিছু সম্প্রদায় আছে; যারা তাদের ধর্মগুরু বা মুর্শিদের কাছ থেকে শিক্ষা-দীক্ষায় গ্রহণ করে জ্ঞানার্জনের পথ সুগম করে। জ্ঞানার্জনের বিষয়কেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে মানুষ তাই গড়ে তুলেছে পাঠশালা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ জ্ঞানের আলোয় মানুষের জীবন বিকাশিত হয়। আর একজন মানুষকে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষত্ব অর্জন করতে হয়। তাই পূর্ণ মানুষ রূপে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাইলে মানুষের সম্মান পেতে চাইলে তাকে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মন্তব্যঃ পশুর বিবেক নেই, খেয়ে পড়ে বাচ্চাকে ই জীবনের ধর্য মনে করে। সুতরাং সুন্দর ও সুখী জীবনযাপনের জন্য প্রতিটি মানুষের জ্ঞান অর্জনে আবশ্যক।পৃথিবীতে মানুষ জ্ঞানের সাধনা করে বলে তাই তারা সেরা জীব হিসেবে পরিচিত।মানুষের মধ্যে পশু শক্তি সরিয়ে ফেলে বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। বিশ্বশান্তির প্রয়োজনে প্রকৃত জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে তা করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url