সূরা কদর বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ - সূরা কদর ফজিলত
সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণসাধারণত আমরা সকলেই জানি রমজান মাস ২৬ শে দিবাগত রাত্রে লাইলাতুল কদর বলা হয়। কুরআনের প্রত্যেকটি সূরা বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ ও ফজিলত রয়েছে। কদর শব্দের অর্থ হল সম্মান বা ভাগ্য। সুতরাং কোরআন শরীফের দ্বারা আমল করলে ইনশাল্লাহ খুব দ্রুত কবুল হবে। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এই আমলকে খুব দ্রুত কবুল করে নেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃলাইলাতুল কদর সারা রাত্রি জেগে সূরা কদর দিয়ে নামাজ পড়লে আল্লাহ তায়ালা দ্রুত কবুল করে নেন। এবং পবিত্র অবস্থায় ওযুর শহীতে সূরা আল কদর পড়ে আমল করলে তাহলে ওই ব্যক্তির জীবনে আল্লাহ তা'আলা রাব্বুল আলামিন সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন।
সূরা কদর আরবি
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
- إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
- وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
- لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
- تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
- سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
সূরা কদর বাংলা উচ্চারণ
বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।
- ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
- ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।
- লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
- তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
- ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা’ইল ফাজর।
আরো পড়ুনঃ মৃত ব্যক্তির গোসলের পদ্ধতি
সূরা কদর এর অর্থ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
- আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
- শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
- শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
- এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
- এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
সূরা কদর ফজিলত
আজকে আপনাদের জানাবো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতময় একটি আমল সম্পর্কে। আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকি এবং নামাজের আগে ওযু করে থাকি। অজুর পরে একবার সূরা আল কদর পাঠ করার মহা ফজিলতের কথা। হাদিস শরিফে রয়েছে, যে ব্যক্তি অজু করার পর একবার সূরা কদর পাঠ করবে সে ব্যক্তি সিদ্দিকীনের পর্যায়ভুক্ত হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস বাংলা
আর যে ব্যক্তি দুইবার সূরা আল কদর পাঠ করে সেই ব্যক্তি শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি তিনবার সূরা আল কদর পাঠ করবে সেই ব্যক্তিকে হাশরের ময়দানে নবীগণের সাথে রাখবে।সূরা আল কদরের আরেকটি আমল হল, যদি কোন ব্যক্তি চায় যে তাকে সবাই ইজ্জত সম্মান করুক এবং উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে চাই সকলের কাছে প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য বিশেষ করে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনসহ।
সকালবেলা তিনবার সূরা আল কদর এবং সন্ধ্যাবেলায় তিনবার সূরা আল কদর পাঠ করবে আল্লাহ তার উচ্চ মর্যাদা দান করবেন এবং তাকে ইজ্জত সম্মান দান করবে, সকলে তাকে সম্মান করবে। এ আমল আল্লাহ রাব্বুল আলামীন খুব দ্রুত কবুল করে নেন। আসুন আমরা ওযুর পরে কমপক্ষে একবার করে হলেও সূরা আল কদর পাঠ করব।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url