সূরা ইখলাস আরবি - সূরা ইখলাস এর অর্থ
সূরা কদর বাংলা উচ্চারণ অর্থসহসূরা ইখলাস খুবি ছোট সূরা হওতে যারা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন না এদের মধ্যে অনেকেই সূরা ইখলাস মুখস্ত করে নিয়েছে। সূরা ইখলাস এর ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহর রাসূল বলেছেন এটি পবিত্র কুরআনের এক তৃতীয় অংশ, সুবহানাল্লাহ। তাহলে ভেবে দেখুন সূরা ইখলাস এর ফজিলত ও গুরুত্ব কত বেশি। হাদিস দ্বারা এই কথাটি প্রমাণিত হয়েছে যে সূরা ইখলাস কত বেশি পরিবারের ফজিলত পূর্ণ সূরা এবং এর গুরুত্ব কত বেশি।
পোস্ট সূচিপত্রঃপবিত্র কুরআন শরীফে মোট ১১৪ টি সূরা আছে তার মধ্যে সূরা এখলাছ হচ্ছে ১১২ নাম্বার। আপনি যদি নিয়মিত এই সূরাটি তিলাওয়াত করেন তাহলে আপনার রিজিকের অবাভ দূর হয়ে যাবে। আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নিয়মিত এই সূরাটি তেলাওয়াত করতে পারেন। সূরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ছোট্ট একটি সূরা তবে এর ফজিলত অনেক বেশি।
সূরা ইখলাস আরবি
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
- قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ
- ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ
- لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
- وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢ
সূরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
- কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ
- আল্লাহুস সামাদ
- লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ
- ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ
সূরা ইখলাস এর অর্থ
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
- বলুন (হে রাসুল!), তিনিই আল্লাহ, একক।
- আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
- তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।
- আর তার সমতুল্য কেউ নেই।
সূরা ইখলাস এর ফজিলত
কেউ যদি নিয়মিতভাবে সূরা ইখলাস পাঠ করেন তাহলে কোরআন শরীফের তিন ভাগের একভাগ পড়ার সুয়াব হয়ে যাবে। তিনবার পাঠ করলে একবার কোরআনের সওয়াব পাওয়া যাবে। তিনশ বার পাঠ করলে ১০০ বার করাত খতমের সওয়াব পাওয়া যাবে। এই সূরাটির মধ্যে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব এবং সততার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। হাদিস শরীফে এসেছে জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর কাছে গিয়ে বললেন, আমি সূরা ইখলাসকে ভালবাসি। তখন রাসুল (সাঃ) বললেন, এই সূরা কে ভালবাসার কারণে তুমি জান্নাতে যেতে পারবে। সুবহানাল্লাহ
একবার আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদেরকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ শোনাবো। এরপর আল্লাহর রাসূল সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করে শোনালেন। হাদিস শরীফে এসেছে যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সূরা ইখলাস আল্লাহতালা তাকে বিপদ আপদ বালা মুসবত এবং হতাশার হাত থেকে রক্ষা করিবে।
আরো পড়ুনঃ সুরা ইয়াসিন বাংলাতে
হযরত আবু সাঈদ খুদিরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন। এক ব্যক্তি অন্য আরেক ব্যক্তিকে রাতের বেলা বার বার সূরা এখলাস পড়তে শুনেছেন। তিনি সকালবেলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি সম্পর্কে জানালেন। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ওই সত্তার কসম। যার কুদরতি হাতে আমার জীবন। অবশ্যই সূরা এখলাস পবিত্র কোরআনের এক তৃতীয় অংশের সমান।
একবার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবীদের একদল সৈন্য কে যুদ্ধ করার জন্য পাঠান। তাদের মধ্য থেকে একজনকে সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি যুদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে শুধুমাত্র সূরা এখলাস দিয়ে নামাজ পড়েছিলেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার সময় সৈন্য রা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন।
তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো কেন সে এরকম করেছে, সাহাবীরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সেনাপতি সাহাবীদেরকে জানালেন, এই ছোট্ট সূরাটির মধ্যে আল্লাহর গুণাবলী বর্ণনা রয়েছে। তাই আমি এই সূরাকে ভালোবাসি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন সাহাবীদেরকে বললেন, তোমরা সেনাপতিকে গিয়ে বল আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একদা এক সাহাবী এসে বললেন হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি সূরা এখলাছ কে ভালবাসি তখন আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন। এই ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ২০০ বার সূরা এখলাস পাঠ করবে তার ৫০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। তবে তার যদি কোন ঋণ থাকে তাও মাফ হবে না।
হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে তার দরিদ্রতার কথা বললেন। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যখন তুমি ঘরে প্রবেশ করবে তখন সালাম দিবে। এবং একবার সূরা এখলাস পাঠ করবে, এই এমন করার মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যে তার দরিদ্রতা দূর হয়ে গেল
আল্লাহ পাক আমাদেরকে যেন পবিত্র কুরআন মাজীদের হক আদায় করার তৌফিক দান করেন এবং কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ সূরা সমূহের আমল করার তৌফিক দান করেন। আল্লাহ পাক যেন প্রত্যেক মুসলমান নর নারীকে সহি শুদ্ধভাবে কুরআন পড়ার তৌফিক দান করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস অনুসারে জিন্দেগি গরার তৌফিক দান করেন।আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে পবিত্র কোরানের সূরা এখলাস এর আমল করার তৌফিক দান করেন আমিন।
রেদওয়ান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url